ক্যাম্পাসঃ অনন্য অনুকরণীয় প্রতিষ্ঠান
রাজিব গুপ্ত
উপ-সহকারী পরিচালক
কম্পিউটার শেখার অদম্য আগ্রহ নিয়ে আমি যখন যুৎসই একটি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার খুঁজছিলাম, তখনই একটি দৈনিক পত্রিকার সংবাদে জানতে পারি ক্যাম্পাস’র ফ্রি কম্পিউটার ট্রেনিংয়ের কথা। পরবর্তীতে ক্যাম্পাস এ কম্পিউটার শিখতে এসে অবাক হয়ে এটা লক্ষ্য করি যে, কম্পিউটার শিক্ষার মাধ্যমে এই ক্যাম্পাস কীভাবে ছাত্র-যুবকদের বিবেকবোধকে জাগ্রত করার কাজ করছে!
মানুষকে ভালোবাসা এবং মানুষের প্রতি সহানুভূতি ও সহযোগিতার মনোভাব পোষণ, সকল ক্ষেত্রে স্বচ্ছ ও সৎ থাকা, দেশপ্রেমী ও মানবপ্রেমী হওয়া এ সবকিছুর শিক্ষাই আমি ক্যাম্পাস থেকে পেয়েছি। আমি বুকে হাত রেখে বলতে পারি এই প্রতিষ্ঠানে এসে আদর্শ মানুষ হওয়ার যে অনুপ্রেরণা আমি পেয়েছি, তা আর কোথাও পাইনি। সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে সার্বিক কল্যাণ এ দৃষ্টিভঙ্গির কোনো প্রতিষ্ঠান ক্যাম্পাস ছাড়া আমি আর দেখিনি। একটি পত্রিকা অফিসে কম্পিউটার শিখতে এসে যা শিখলাম, যা জানলাম তার জন্য ক্যাম্পাস আমার কাছে অনুকরণীয় নাম এবং আমি ক্যাম্পাস’র কাছে চিরঋণী।
ক্যাম্পাস এ না এলে আমার জানার একটা বিরাট অংশই অপূর্ণ থেকে যেত। ক্যাম্পাস’র সামাজিক সচেতনতা কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে দেখলাম এ প্রতিষ্ঠান দেশ ও জাতিকে সচেতনভাবে গড়ে তোলার জন্য, মানুষের মাঝে মানবিক গুণাবলী বিকাশের জন্য, খারাপ অভ্যাস ত্যাগ করে ভালো হওয়ার জন্য দেশব্যাপী নিঃস্বার্থভাবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। জীবনে সৎ থাকার প্রেরণা সবচেয়ে বেশি পেয়েছি আমি এই প্রতিষ্ঠান থেকে। নিয়মানুবর্তিতা, শৃঙ্খলা, সময়ের প্রতি গুরুত্ব, পারস্পরিক সম্মান ও সহমর্মিতা এসবের শিক্ষাই ক্যাম্পাস থেকে পেয়েছি।
ক্যাম্পাস’র বিভিন্ন ওয়ার্কশপ, সেমিনার ও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে অনেক বিখ্যাত ব্যক্তির বক্তব্য শোনার সুযোগ পেয়েছি; যাদের প্রতিটি কথা, উপদেশ, আশার বাণী আমার জীবনে প্রতিফলিত করার চেষ্টা করছি। আসলে ক্যাম্পাস একটি পরিবারের মতো, সবাই সবাইকে যেভাবে সহযোগিতা করে, শেয়ারিং ও কেয়ারিং করে তা সত্যিই অনুকরণীয়।
এসব ব্যতিক্রমী অনুকূল কার্যক্রম দেখে আমি স্থায়ীভাবে এখানে কাজ করার জন্য আবেদন করি, আমার আবেদন গৃহীত হয় এবং আমি শিক্ষানবিশ-স্টাফ হিসেবে এ প্রতিষ্ঠানে যোগদান করি।
যাঁর হাতে এ ক্যাম্পাস’র ভিত্তি স্থাপন, তাঁকে যতবার দেখি, মনে হয় নতুন করে দেখছি। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পত্রিকার সম্পাদক এম হেলাল স্যারের প্রতিটি কথাই আশার বাণী, আলাকিত মানুষ হওয়ার প্রেরণা। তাঁর স্নেহ, ভালোবাসা ও নির্দেশনার পরশে ক্যাম্পাস’র স্টাফ ও কর্মীরা হয়ে উঠছে বিশেষ গুণের মানুষ; ক্যাম্পাস হয়ে উঠছে এক অনন্য প্রতিষ্ঠান। স্যারের প্রতি রইল আমার বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি। আমি ক্যাম্পাস পরিবারের সাথে যুক্ত হতে পেরে নিজকে ধন্য মনে করছি এবং সবসময়ই আমি ক্যাম্পাস’র সাথে যুক্ত থাকতে চাই।