নীতি ও আদর্শে ক্যাম্পাস
ইরফাত জাহান
ক্যাম্পাস’র শিক্ষানবিশ
আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ছি এবং শিক্ষানবিশ হিসেবে ক্যাম্পাস সমাজ উন্নয়ন কেন্দ্রে কর্মরত। আজ আমি বলতে চাই ক্যাম্পাস’র ৬টি নীতি সম্পর্কে, যা উন্নততর মানুষ বা Superior Human Being হওয়ার জন্য অত্যাবশ্যক। আর সে নীতিগুলো হলো
১. যুক্তিভিত্তিক ও ন্যায়ভিত্তিক আচার-আচরণ করা; ২. অন্যের অধিকার ও নিজ দায়িত্বের প্রতি সচেতন হওয়া; ৩. ন্যাচারাল হওয়া অর্থাৎ সহজ-সরল ও স্বাভাবিক থাকা; ৪. ক্ষমাশীল ও ধৈর্যশীল হওয়া; ৫. Thanksful & Grateful হওয়া; ৬. ধর্ম-কর্ম পালন ও অন্যের ধর্মকে সম্মান করা।
চাওয়ার মধ্যে ত্রুটি না থাকলে সে বস্তু অবশ্যই পাওয়া যায়; আর আমি মনে করি তা পাওয়ার জন্য ক্যাম্পাস’র এই ৬টি নীতি নিজের মধ্যে লালন করলে তা অবশ্যই সম্ভব। আমার চিন্তা-চেতনার অপূর্ণতায় পূর্ণতা দিতে ক্যাম্পাস’র ৬টি নীতি কী প্রভাব ফেলছে এবং কীভাবে নিজেকে পরিবর্তন করে উন্নততর মানুষ হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছি, সে সম্পর্কে না বললেই নয়। এইসব নীতিগুলো আমার মধ্যে কমবেশি থাকলেও তা ৪০% থেকে এখন ৮০% বৃদ্ধি পেয়েছে, আর তা সম্ভব হয়েছে ক্যাম্পাস এ আসার ফলেই ।
‘ক্যাম্পাস’ শব্দটি উচ্চারণ করলে কয়েকটি রুম আমার কাছে মনে হয় না; মনে হয় এটা এক আলাদা জগৎ, যা মানুষকে স্বপ্ন দেখাতে এবং তা বাস্তবায়ন করার জন্য যোগ্য করে গড়ে তোলার সফল কারখানা। কেননা ক্যাম্পাস এ অতিবাহিত প্রতিটি মুহূর্তই শিক্ষণীয় এবং ‘ক্যাম্পাস পরিবার’ কাউকে কোনো কিছু শেখাতে কার্পণ্য করে না। আমি আশা করছি যেন ক্যাম্পাস’র ৬টি নীতি শুধু ক্যাম্পাস পরিবারেই নয়, তা বাংলাদেশ ও বিশ্বের সকল সমাজের অফিস-আদালতসহ বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়বে এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিকসহ সকল দুর্যোগের ঘণঘটা দূর করে বইবে শান্তির সুবাতাস। সবশেষে আমি সবার দোয়া কামনা করছি যেন আগামী ২/১ মাসের মধ্যে ক্যাম্পাস’র ৬টি নীতি পালনে আমি ১০০% সক্ষম হই এবং উন্নততর মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে পারি।
বাংলাদেশের শীর্ষ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং স্কুল-কলেজে পড়ে আমি যা শিখতে পারিনি, তা শিখছি এই ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠানে; এজন্য ক্যাম্পাস’র নিকট চিরঋণী থাকব।
তারিখঃ ডিসেম্বর ২০১১