ক্যাম্পাস পত্রিকা ও প্রতিষ্ঠান থেকে আমার চাওয়ার চাইতে পাওয়া হয়েছে ঢের বেশি

নাছরিন আক্তার হিরা ॥
জুনিয়র এক্সিকিউটিভ



সর্বপ্রথম আমি বলবো যে, ক্যাম্পাস হলো আমার জন্য এক অসাধারণ ও অনন্য প্রতিষ্ঠান। কারণ, ক্যাম্পাস থেকে আমি ব্যতিক্রম অনেক কিছু শিখেছি, বুঝেছি এবং আমার চিন্তার বিভিন্ন দিগন্ত উন্মোচন করেছি। ক্যাম্পাস এর সবচেয়ে বড় দিক হলো, মানুষের ভিতরের সুপ্ত প্রতিভা ও মনুষ্যত্ববোধ জাগ্রত করে দেয়া এবং সেসব গুণ মানবকল্যাণে নিয়োজিত করতে উদ্বুদ্ধ ও সহযোগিতা করা।

এ পরিসরে সবার আগে ধন্যবাদ জানাবো আল্লাহকে। কারণ, তিনি আমার ভাগ্যে যা লিখেছেন তা ভালোই বলে মনে হচ্ছে। তারপর ধন্যবাদ জানাবো ক্যাম্পাস সমাজ উন্নয়ন কেন্দ্র এর মহাসচিব মহোদয় ড. এম হেলাল স্যারকে। কারণ, তিনি যে কত মহৎ, সত্যবাদী, দূর-দৃষ্টিসম্পন্ন চিন্তার অধিকারী -তা তাঁকে দেখলে কিংবা তাঁর সাথে কথা বললে যে কেউ বুঝতে পারবে। তিনি সবার সাথে মানবিক ও আন্তরিক আচরণ করেন এবং তিনি অফিসের স্টাফদেরকে শিখিয়েছেন মানুষের সাথে মানবিক হয়ে বন্ধুসুলভ আচরণ করতে। নতুন হিসেবে গত ৭/৮ মাসে আমাকে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করার জন্য আমি সকল স্টাফকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আমরা জুনিয়র স্টাফরা বিভিন্ন ভুল করি, কিন্তু সিনিয়র স্টাফরা ড. হেলাল স্যারের আদর্শের অনুকরণে নম্র ও ভদ্র্রভাবে তা সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দেন। এবারে ধন্যবাদ জানাই নিজেকে। কারণ, আমার চেষ্টার ফলেই আমি এতটা এসেছি এবং আমার বিশ্বাস, আমি বহুদূর এগিয়ে যাব।

আমি অনেক ছোট। নিজেকে ছোট ভাবতে আমার কোনো অসুবিধে নেই। নিজেকে আমি ছোট ভেবেও আমি যে এত কাজ করার সুুযোগ পাবো বা আমাকে সুযোগ দেয়া হবে কিংবা সকল কাজ আন্তরিকভাবে বুঝিয়ে দিবার মানুষ পাবো -তাই নিজেকে আমি অনেক গর্বিত মনে করি। ক্যাম্পাস এ যোগদান করার পরপরই ক্যাম্পাস’র বার্ষিক ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমার বিভিন্ন জায়গায় কাজ করার সুযোগ হয়েছে। যেমনঃ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, জাতীয় সংসদ ভবন, বাংলাদেশ সচিবালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, নর্দান ইউনিভার্সিটি, কনকর্ড, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, জজকোর্ট, হাইকোর্ট, সুপ্রিমকোর্ট গিয়েছি। এসব ব্যাপারে সম্পাদক স্যার ও মনির ভাই আমাকে সুযোগ করে দিয়েছেন। ঐ সকল অফিসে ভিজিট করতে পেরে এবং যাবতীয় সকল কাজ সম্পন্ন করতে পেরে আমি নিজেকে সত্যিই অনেক ধন্য মনে করছি।

ক্যাম্পাস হচ্ছে ছাত্র-যুবকদের চিন্তার পরিবর্তনে এবং সমাজ জাগরণের বিস্ময়কর প্রতিষ্ঠান। ক্যাম্পাস এ রয়েছে নানামুখী ডায়নামিক কর্মসূচি, যার অন্যতম হচ্ছে ফ্রি কম্পিউটার ট্রেনিং। ট্রেনিংয়ের সুবিধার্তে ক্যাম্পাস এর সাথে সম্পৃক্ত হয়েছিলাম। এখন সেই ট্রেইনী আমি একজন ট্রেইনার হিসেবে অন্যদেরকে কম্পিউটার প্রশিক্ষণে প্র্যাকটিক্যাল শিখাই। ক্যাম্পাস এ প্রোএকটিভ এন্ড পজিটিভ এটিচিউড সম্পর্কিত সেমিনার হয়ে থাকে। যার ফলে ছাত্র-ছাত্রীরা এখান থেকে জীবন পরিবর্তনের অনেক কিছু শিখে যায়। কীভাবে একটা খারাপ মুহূর্তে কিংবা দুর্যোগ মুহূর্তে প্রোএকটিভ, পজিটিভ ও ধীরস্থির থাকা যায়। এভাবে অন্যদের মতো আমিও শিখেছি এখান থেকে; যার ফলে এখন যে কোনো নেতিবাচক পরিস্থিতিতে পড়লে বা তার সম্মুখীন হলে প্রোএকটিভ হয়ে যাই। আমার ফলাফল ১০০ তে ১০০% হয়।

ক্যাম্পাস পরিবারে আমাদের সকলের কর্মের উদ্দেশ্য মহৎ ও লক্ষ্য সৎ, তাই আমরা সফল হয়েছি এবং হব -এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস। অবশেষে বলবো- বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পত্রিকা ও ক্যাম্পস সমাজ উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে আমি যা প্রত্যাশা করেছি, তার চাইতে ইতোমধ্যেই আমার পাওনা অনেক বেশি। ক্যাম্পাস’র কাছে চিরদিন ঋণী থাকবো।

(মতামত লেখকের নিজস্ব)