দুর্নীতি বাংলাদেশের একটি বড় ব্যাধি। এটি দেশের সার্বিক অগ্রগতি এবং উন্নয়ন ব্যাহত করছে। কেবল দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে দুর্নীতি দমন করা সম্ভব নয়। এর জন্য সর্বস্তরে মূল্যবোধ সৃষ্টি এবং সচেতনতা বাড়াতে হবে।
সম্প্রতি শিল্পকলা একাডেমিতে শ্রেষ্ঠ দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্যদের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, আমরা সকলে মনে করি, রোগের চিকিৎসার চেয়ে যদি রোগ প্রতিরোধ করা যায়, তাহলে বেশি কাজে দেয়। আমরা যদি আমাদের শুভবুদ্ধি, মূল্যবোধ, দেশপ্রেম দিয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধ করতে পারি, তাহলে দুর্নীতি দমনের বিষয়ে যে নানা প্রশ্ন, তা দ্বিতীয় স্তরে নেমে আসবে।
দুদক’র কর্মকর্তারা উচ্চ নৈতিকতার পরিচয় দেবেন -এমন আশা ব্যক্ত করে আনিসুজ্জামান বলেন, যতদিন দেশে দুর্নীতি থাকবে ততদিন পর্যন্ত দুদককে কার্যকরী ভূমিকায় দেখতে চাই। আশা করি কমিশনের সঙ্গে যারা জড়িত তারা উচ্চ নৈতিকতার পরিচয় দেবেন। তাহলে জনগণের আস্থা ফিরে আসবে এবং দুর্নীতি প্রতিরোধের সঙ্গে যারা জড়িত তারাও কাজ করতে সাহস পাবে।
ভয় দিয়ে কোনো কিছু জয় করা যায় না উল্লেখ করে সভাপতির বক্তব্যে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, আমি মনে করি দুদককে বাঘের সঙ্গে তুলনা করা উচিত না। যারা দুর্নীতিবাজ তারাই কেবল দুদককে ভয় পাবে। কিন্তু সাধারণ জনগণের এটি আস্থার প্রতিষ্ঠান। আমি বিশ্বাস করি, ভয় দিয়ে নয়, সম্মান ও সততা দিয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে ঢাকা, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের জেলা ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির ১১৭ জন সদস্যকে সনদ ও সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের শ্রেষ্ঠ ‘জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি’ হিসেবে নরসিংদী কমিটি, ময়মনসিংহ বিভাগে ময়মনসিংহ জেলা কমিটি ও সিলেট বিভাগের সিলেট জেলা কমিটিকে পুরস্কৃত করা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দুদক কমিশনার (তদন্ত) এ এফ এম আমিনুল ইসলাম, দুদক সচিব আবু মোঃ মোস্তফা কামাল, দুদক মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) ড. শামসুল আরেফিন প্রমুখ।