বাংলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে সম্প্রতি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন কলেজের ৪০০ জন অধ্যক্ষের সঙ্গে ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর পরিচালনা ব্যবস্থা ও শিক্ষার মানোন্নয়ন’ বিষয়ে এক মতবিনিময় সভা উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি।
প্রধান অতিথির ভাষণে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় শুধু দেশের মধ্যেই বৃহত্তম নয়, সারা বিশ্বের মধ্যে অন্যতম বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়। এ প্রতিষ্ঠানে প্রধানত অস্বচ্ছল পরিবারের সন্তানরা পড়াশুনা করে থাকে। কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত, উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে এমনি একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হাজারও সমস্যায় জর্জড়িত হয়ে পড়ে এবং এ বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে মানুষের হতাশার অন্ত ছিল না। আমি আজ অত্যন্ত খুশি যে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় চরম হতাশা ব্যাঞ্জক একটি অবস্থা থেকে ক্রমান্বয়ে উঠে আসছে এবং বহুলাংশে নিয়ম-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। বিশেষকরে শিক্ষার্থীদের দুর্বিষহ সেশনজট নিরসনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ইতোমধ্যে অনেক অগ্রগতি সাধন করেছে, যা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়।
তিনি আরো বলেন, বিশ্বায়নের এই যুগে মেধা, প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও যোগ্যতা ব্যতীত কী ব্যক্তি কী জাতীয় কোনোভাবেই টিকে থাকা ও উন্নয়ন অর্জন সম্ভব নয়। এ জন্য প্রয়োজন মানসম্পন্ন শিক্ষা। তাই এ বিষয়টির প্রতি সরকার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।
সভাপতির ভাষণে উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, সারা দেশজুড়ে অবস্থিত ২২০০ অধিভুক্ত কলেজের ২১ লক্ষাধিক শিক্ষার্থীকে তথ্য-প্রযুক্তি অবলম্বনে সমাজের চাহিদা, দেশের প্রয়োজন তথা যুগপযোগী শিক্ষাদান সম্ভব হলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটসগণ নিজেদের জন্য কর্মসংস্থানের পাশাপাশি দেশের সার্বিক উন্নয়নে অসামান্য ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।