প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি (বুয়েট) এর ভাইস চ্যান্সেলর নিযুক্ত হয়েছেন। ২০১৬ সালের ২৩ জুন তিনি এ পদে যোগদান করেন। প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ, ইলেকট্রিকেল ও ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে সুদক্ষ প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম বুয়েট থেকে ১৯৭৫ সালে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার (ইলেকট্রিক্যাল) ডিগ্রি ও ১৯৭৭ সালে এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং (ইলেকট্রিক্যাল) ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৬ সালে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অজর্ন করেন।
প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলামের শিক্ষকতা, গবেষণা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ৪১ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি ১৯৭৫ সালের মে মাসে বুয়েটে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টে প্রভাষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন এবং ১৯৮৮ সালে বুয়েট’র ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স ডিপার্টমেন্টে প্রফেসর হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেন। প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম ১৯৯১-৯৩ সময়কালে বুয়েট’র ইলেকট্রিক এন্ড ইলেকট্রনিক্স ডিপার্টমেন্টের প্রধান ছিলেন এবং ১৯৯৬ সালে বুয়েট’র কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভাগীয় প্রধান ছিলেন। ১৯৯৫-৯৭ সময়কালে তিনি বুয়েট’র ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স ফ্যাকাল্টির ডিন ছিলেন। তিনি ১৯৯৫-৯৬ সেশনে বুয়েট’র ১ম বর্ষে ভর্তি কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। পরবর্তীতে ১৯৯৬-৯৭ সেশনেও তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন।
প্রফেসর সাইফুল ইসলাম ১৯৯১ সালে জাপানের কানাজাওয়া ইউনিভার্সিটিতে ভিজিটিং প্রফেসরের সমমর্যাদায় Matsumae Fellow হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৯-২০০০ সময়কালে তিনি ঢাকার গাজীপুরে অবস্থিত ইসলামিক ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (আইইউটি) ভিজিটিং প্রফেসর ছিলেন।
২০০২-২০০৫ সময়কালে প্রফেসর সাইফুল ইসলাম ঢাকাস্থ আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (আইইউবি) এর ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির প্রথম ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি আইইউবি এর ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখেন। তিনি শুরু থেকে আইইউবি জার্নাল অব সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এর এসোসিয়েট এডিটর হিসেবে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন।
বাংলাদেশর রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে প্রফেসর সাইফুল ইসলাম ২০১৩-২০১৬ সাল পর্যন্ত ঢাকার প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বুয়েট এবং বুয়েট’র বাইরে বিভিন্ন কমিটিতে বহুবার মেম্বার অথবা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
প্রফেসর সাইফুল ইসলাম ২০০০ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (BIT) খুলনা এর বোর্ড অব গভর্নস এর মেম্বার ছিলেন। পরবর্তীতে এটি খুলনা ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি (কুয়েট)-এ রূপান্তরিত হয়। তিনি ২০০৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে জুন ২০০৭ সাল পর্যন্ত কুয়েট’র প্রথম সিন্ডিকেটের সদস্য হন।
উপাচার্য হিসেবে তাঁর অনুভূতি ও প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে প্রফেসর ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, অনুভূতি ব্যক্ত করতে হলে আমাকে একটু পেছনের দিকে যেতে হবে। ১৯৭৫ সালে আমি যখন শিক্ষক হিসেবে বুয়েটে যোগদান করি তখন শিক্ষক সংখ্যা ছিল ৮৪ জন। আজকে শিক্ষক সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৪ শ’। ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যাও বেড়েছে, জায়গার পরিমাণও বেড়েছে। কিছু নতুন জায়গা আমরা পেয়েছি। সব মিলিয়ে বুয়েট এখন কোয়ালিটি ও উচ্চশিক্ষার জন্য আদর্শ বিদ্যাপীঠে পরিণত হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতি আমাকে পছন্দ করে এ গুরুদায়িত্ব দিয়েছেন, এজন্য তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
আমি এ বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্র ছিলাম, পরবর্তীতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করি। আমার পরিচিত পরিবেশে ফিরে আসতে পেরে আনন্দবোধ করছি। এ বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যেতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাবো।
বুয়েট’র প্রকাশনা কার্যক্রমের সাথে শুরু থেকেই জড়িত ছিলাম, বুয়েট’র উন্নয়ন কর্মকান্ড প্রত্যক্ষভাবে দেখেছি; বুয়েটকে জানার-বোঝার সুযোগ হয়েছে। দুঃখের বিষয়, বুয়েট’র সাবেক ভিসি প্রফেসর খালেদা একরাম এর অকাল মৃত্যুতে কিছুটা গ্যাপ বা শূন্যতা সৃষ্টি হয়। তাঁর হাতে যেসব বিষয় ছিল যেগুলো তিনি নিজে দেখতেন, বিষয় সম্পর্কে ওয়াকেবহালও ছিলেন। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর পর সেগুলো দেখার দায়িত্ব আমার উপর পড়েছে। দায়িত্ব গ্রহণে আমার দ্বিধা বা ভয় নাই। আমি মনে করি আল্লাহ আমাকে একটা সুযোগ দিয়েছেন, আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করবো, কর্মসূচি সফল করে তুলবো। এ জন্য আল্লাহর দরবারে আমি শোকর আদায় করছি। আমার বেশি কিছু চাওয়ার নেই। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেছি। ক্যামব্রিজে যে জ্ঞান অর্জন করেছি সেটি কাজে লাগিয়ে যদি ক্যামব্রিজ, এমআইটি, বার্কলী এর মতো বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলতে পারি, তাহলে জ্ঞান সাধনায় এতদিনের পরিশ্রম সার্থক মনে করব। আমি একাডেমিক কর্মকান্ডে বিশ্বাস করি, একাডেমিশিয়ানদের সম্মান করি, সুন্দর একটা বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করি। যখন যে দেশে গেছি উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য, সেখানে পড়ালেখাই করেছি, গবেষণা করেছি, অন্যকোনো কাজ করিনি।
বুয়েটকেও আমি উন্নত মানসিকতার দৃষ্টিতে দেখি; আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি, তবে আমার একার পক্ষে সব করা সম্ভব হবে না। সবাইর সহায়তা প্রয়োজন হবে, এটি কমিউনিটির কাজ। সবারই হাত লাগাতে হবে, তবেই না তা সাফল্যমন্ডিত হবে। আমি আমার সহকর্মীদের সাথে আলোচনা করেছি, আমি সবার সহযোগিতা কামনা করেছি। আমি সবাইকে বলেছি- আমাদের লক্ষ্য একটাই- আমরা ভালো পড়াশোনা করাবো, মেধাবী শিক্ষার্থী গড়ে তুলবো; যাতে তারা বিশ্বের যে কোনো অঙ্গনে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারে, সহজে কর্মসংস্থান করতে পারে।
বুয়েট সম্পর্কে ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষকদের একটা আবেগ-অনুভূতি আছে। তারা আমার কাছে এসে বলে-আমি যেন বুয়েটকে সুন্দর সমুজ্জ্বল নান্দনিক করে গড়ে তোলার কর্মসূচি হাতে নিই। আমি সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছি। প্রফেসর সাইফুল ইসলাম আরও বলেন, আমি পিওর একামেডিশিয়ান, এখনও রাত জেগে থেকে পড়ালেখা করি। ছাত্রদেরকে মানুষ করা, তাদের জীবন গড়ে দেয়া আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। আমরা বই পড়িয়ে, প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস নিয়ে ছেলে-মেয়েদের পাস করিয়ে দিতে পারি। কিন্তু সেটাই বড় কথা নয়। সাথে সাথে তাদেরকে মানবিক গুণাবলি সম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
ক্যামব্রিজের বিশিষ্ট প্রফেসর এর সাথে একসঙ্গে কাজ করেছি গভীর সন্তষ্টি নিয়ে। পরবর্তীতে সবসময়ই আমার শ্রদ্ধা-ভালোবাসা জানিয়েছি। আমি আমার গুরুজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের এভাবে সম্মান জানাই। আমার গুণী শিক্ষকদের কাজ দেখে আমি উদ্বুদ্ধ হয়েছি। তাদের কাছে শিখেছি। সেভাবেই নিজেকে গড়ে তুলেছি। ছাত্ররা যাতে বিপথে যেতে না পারে সে ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
আপনার দায়িত্ব নেয়ার পর বুয়েটের উন্নয়নে কী কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন - এমন প্রশ্নের জবাবে দূরদর্শী শিক্ষাবিদ এবং প্রাজ্ঞ শিক্ষা প্রশাসক প্রফেসর সাইফুল ইসলাম বলেন, আমাদের বেশ কয়েকটি প্রজেক্টে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক সহযোগিতা দিচ্ছে, আমরা উদ্যোগী হওয়ায় এ প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে। আসলে কেউ আমাদেরকে দেয় না। এটা ঠিক নয়, নেয়ার ক্যাপাসিটি থাকতে হবে। আমরা সরকারকে প্রজেক্টটির গুরুত্ব বোঝাতে সক্ষম হয়েছি বলে এ সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আমি নেগেটিভ কোনো কথা বলতে চাই না; ইউজিসি আগের চেয়ে এখন অনেক সক্রিয় আমরা আশাবাদী যে, ইউজিসি’র মাধ্যমে আমরা আরও সরকারি সাহায্য সহযোগিতা পাবো, বুয়েটকে আরও শক্ত অবস্থানে দাঁড় করাতে পারবো।
বুয়েট’র শিক্ষামান বিশ্বে প্রশংসিত, কিন্তু গবেষণা ক্ষেত্রেও বুয়েট বর্তমানে বেশ এগিয়েছে। সরকারি সাহায্য-সহযোগিতা প্রাপ্তিতে কোনো বাধা আছে কী- এমন প্রশ্নের জবাবে আশাবাদী উপাচার্য- প্রফেসর সাইফুল ইসলাম বলেন, শিক্ষাখাতে যে বাজেট বরাদ্দ তা উন্নয়নশীল অনেক দেশের তুলনায় কম; গবেষণা ছাড়া দেশের অগ্রগতি হবে না, অথচ পর্যাপ্ত ফান্ডের অভাবে অনেক প্রয়োজনীয় গবেষণা করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর সাথে দেখা হওয়ার সময় অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে কথা হয়েছে; গবেষণা কার্যক্রম জোরদার করার ব্যাপারে তিনিও সচেতন। আমি বিশ্বাস করি, ভালো কিছু সাফল্যের আশায় লক্ষ্যের পেছনে লেগে থাকতে হবে।
আপনারা যখন ছাত্র ছিলেন তখনকার বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশের সাথে বর্তমান সময়কার পরিবেশের কোনো পার্থক্য দেখেন কী- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রফেসর সাইফুল ইসলাম বলেন, যুগের পরিবর্তন হয়েছে, মূল্যবোধের পরিবর্তন ঘটেছে। ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক আগের মতো নেই। তরুণরা মাঝে মাঝে বিপথগামী হচ্ছে। এটি আমাদের ব্যর্থতাও বটে। তবে মা-বাবা, অভিভাবকদেরও দায়িত্ব রয়েছে তাদের সন্তানদের সম্পর্কে নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখা, কোথায় যায়, কার সাথে থাকে, বাসায় ফিরতে দেরি হয় কেন- এসব বিষয়ে নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখলে যুবকরা চাপের মধ্যে থাকবে। শিক্ষাঙ্গনে একাধারে ১০ দিন অনুপস্থিত থাকলে প্রতিষ্ঠান অভিভাবককে জানিয়ে খোঁজ খবর নেবে। তাহলে ত্বরিত গতিতে অনুসন্ধান করে এর রহস্য উদঘাটন করা যাবে।
আপনার সহকর্মীদের প্রতি কী আহ্বান জানাবেন- এমন প্রশ্নে উপাচার্য প্রফেসর সাইফুল ইসলাম বলেন, আমি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাদেরকে জানিয়েছি যে, আমার একার পক্ষে এ বিশাল দায়িত্ব পালন কঠিন। আমার সহকর্মীগণ যদি আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসেন তাহলে আমরা সফল হবো, বুয়েটকে নিয়ে আমার যে স্বপ্ন তা সফল হবে। প্রত্যেকের নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে, সকল কর্মপ্রচেষ্টা দুর্নীতিমুক্ত থাকবে, শিক্ষার্থীদের মেধাবিকাশে হতে হবে আন্তরিক। আমার সহকর্মীগণ আমাকে আশ্বস্ত করেছেন যে, তারা তাদের সর্বোচ্চ শ্রম, মেধা ও সময় বুয়েট’র উন্নয়নে, শিক্ষার্থীর কল্যাণে ব্যয় করবেন। তাদের স্বতঃস্ফূর্ত আচরণ আমাকে মুগ্ধ করেছে, করেছে আশান্বিত।
ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে মূল্যবান পরামর্শ প্রদান প্রসঙ্গে উপাচার্য প্রফেসর সাইফুল ইসলাম বলেন, বুয়েট’র ছাত্র-ছাত্রীরা গোল্ডেন স্টুডেন্ট, দেশ সেরা, তারা এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এসে যদি সঠিকভাবে পড়ালেখা না করে অন্য কিছুতে ঝুঁকে পড়েন, তাহলে সেটি হবে অত্যন্ত দুঃখজনক। তাদের মা-বাবা, অভিভাবকগণ তাদেরকে মানবিক গুণাবলি সম্পন্ন মানুষ হয়ে বের হবার জন্য আমাদের কাছে পাঠিয়েছেন, অভিভাবকদের আশা আকাক্সক্ষা পূরণে তাদেরকে সচেষ্ট হতে হবে। বুয়েটে তাদের জন্য যেসব সুযোগ-সুবিধা রাখা হয়েছে সেগুলো কাজে লাগিয়ে প্রকৃত মানুষের মত মানুষ হয়ে এ শিক্ষাঙ্গন ত্যাগ করবে। তারা যেন দেশসেবা ও মানবসেবাকে ব্রত হিসেবে গ্রহণ করে, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির অংশীদার হতে পারে সেদিকে তাদের লক্ষ্য থাকবে, তারা সুন্দর হোক, সফল হোক তাদের কর্মজীবন- তাদের কাছে এ আমার প্রত্যাশা।