১. শিক্ষকতাঃ শিক্ষার্থীরাও শিক্ষকতা করতে পারেন। বাড়িতে ছোট ছেলেমেয়েদের পড়াতে পারেন। এতে লেখাপড়ার চর্চাটা থাকল, আবার বেশ কিছু পয়সা এলো পকেটে। যেসব বিষয়ে আপনি খুব ভালো বোঝেন, সেসব বিষয়ে জুনিয়রদের পড়াতে পারেন। এমনিতে বিজ্ঞান, গণিত, পদার্থ বা রসায়ন কিংবা ইংরেজির মতো বিষয়ে শিক্ষকতার অনেক সুযোগ রয়েছে। এ কাজে বিশেষ কোনো কোর্সের প্রয়োজন নেই। আপনি নিজে ভালো বুঝলে অন্যদেরও বোঝাতে পারবেন। ভালো পড়াতে পারলে একাধিক ছাত্রছাত্রী পেয়ে যাবেন। এ কাজ করে অনায়াসে নিজের পড়াশোনার খরচ তুলে ফেলতে পারবেন।
২. ভালো রেস্টুরেন্ট বা ক্লাবে চাকরিঃ পড়ার ফাঁকে কাজটি করা যায়। উচ্চমানের রেস্টুরেন্ট বা ক্লাবে পার্টটাইম চাকরির ব্যবস্থা রয়েছে। তারা শিক্ষিত তরুণদের কিছু কাজের দায়িত্ব দিতে চায়। সাধারণত উন্নত দেশে এর বিস্তর সুযোগ রয়েছে। তবে আপনিও চেষ্টা করে একটি জোগাড় করে নিতে পারেন। এসব কাজে বেশ ভালো বেতন মেলে।
৩. ডে-কেয়ারের কাজঃ খুব সাধারণ শোনা যেতে পারে। কিন্তু কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য দারুণ একটি কাজ হতে পারে। দিনের বিশেষ একটা সময়ে বাচ্চাদের দেখাশোনা করে কাটিয়ে দিতে পারেন। মেয়েদের জন্য কাজটা বেশ উপভোগ্যও বটে। এ কাজে তেমন পেরেশানি নেই। কেবল তাদের দেখভাল করা। এ কাজেও ভালো পারিশ্রমিক পেতে পারেন যদি উন্নত কোনো ডে-কেয়ার সেন্টারে সময় দেন।
৪. ফ্রিল্যান্সার লেখালেখিঃ পত্রিকা, ম্যাগাজিন বা অনলাইন পোর্টালে ফ্রিল্যান্সার লেখালেখি করতে পারেন। যাঁদের এ কাজে আগ্রহ রয়েছে তাঁরা বেশ পয়সা কামিয়ে নিতে পারেন। আর এমন সৃষ্টিশীল কাজে মেধা ও মননের চর্চা ঘটবে। এ কাজে দক্ষতা থাকলে বসে থাকা উচিত নয়। পড়াশোনার ফাঁকে ফিচার লিখতে পারেন।
৫. ইউটিউবের ভিডিওঃ ক্যামেরা নিয়ে যাঁরা আনন্দ পান, তাঁদেরও টুপাইস কামানোর সুযোগ রয়েছে। নিয়মিত ভিডিও করে যেতে পারেন। এমন কিছু ভিডিও, যা মানুষ দেখতে পছন্দ করে। ভালো দর্শক পেয়ে গেলে বিজ্ঞাপন থেকে বেশ ভালো আয় আসতে পারে। এটা অনেকটা ব্যবসার মতো। আপনি ভিডিও তৈরি করছেন এবং ইউটিউবে আপলোড দিচ্ছেন। গুগল অ্যাডসেন্সের সঙ্গে এদের সংযোগ ঘটান। মানুষ আপনার ভিডিও দেখতে থাকলে বিজ্ঞাপনে ক্লিক করবে এবং পয়সা আসতে থাকবে। হাজার হাজার দর্শক পেয়ে গেলে প্রতি মাসে নিয়মিত ভালো কামাই আসতে থাকবে। তবে এ অবস্থায় আসার আগে বেশ কয়েকটি ভিডিও প্রাথমিক অবস্থায় তুলে দিতে হবে।
৬. যাতে দক্ষ আপনিঃ আরো অনেক কাজ রয়েছে যেখানে আপনি দক্ষ। ওয়েবসাইট তৈরি, ভিডিও বানানো, গ্রাফিক ডিজাইন ইত্যাদি কাজ থেকে বেশ পয়সা উপার্জন সম্ভব। সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই নিজের কাজের প্রচারণা চালাতে পারবেন। এসব কাজে যেমন পয়সা আসবে, তেমনি উপভোগ করবেন আপনি।
৭. ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টঃ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ছাড়াও বড় বড় কম্পানি তার ব্যবসার প্রসারে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট ব্যবহার করে। ব্যবসার ক্যালেন্ডার আপডেট করা, ভার্চুয়াল কর্মী বা ফ্রিল্যান্সার তৈরি, সভা বা অনুষ্ঠান বিষয়ে বার্তা প্রস্তুত, ব্যবসার নানা গবেষণা পরিচালনা ইত্যাদি কাজ ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্টের দায়িত্ব।
৮. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাজঃ কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের নানা কাজে শিক্ষার্থীদেরও নিয়োগ দিতে পছন্দ করে। কোনো বিভাগে সেক্রেটারি বা রিসিপশনিস্ট হিসেবে কাজ করা যেতে পারে।