বরিশাল নগরীতে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে কোচিং সেন্টার। যার সংখ্যা অর্ধশতাধিক। এসব কোচিং সেন্টার মূলত স্কুল-কলেজকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে। সেখানে পাঠদান করাচ্ছেন নামিদামি স্কুলের শিক্ষকরা। বিধিনিষেধের তোয়াক্কা না করে বেশির ভাগ কোচিং সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা পরিচালনা করছেন। বরিশাল নগরীতে কোচিং সেন্টারের মধ্যে রয়েছে শাহীন শিক্ষা পরিবার, সিকদার কোচিং, অনির্বাণ কোচিং সেন্টার, শিক্ষণ কোচিং, এসসিএইচ কোচিং, রাইট কোচিং সেন্টার, দ্বীপশিখা কোচিং, সোলায়মান স্যারের কোচিং, মা-মনি কোচিং, প্রাইম কোচিং, স্কয়ার কোচিং, প্রতিভা কোচিং সেন্টার, মানিক স্যারের কোচিং ও উত্তরা কোচিং সেন্টার।
সরকারি জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য বাড়তি ক্লাসের ব্যবস্থা করেছি। যেখানে শিক্ষকরা ক্লাস নিয়ে থাকেন। তাই কোচিং ব্যবসা অনেকটা কমে গেছে। এর পরও আমরা সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখছি কোনো শিক্ষক কোচিং সেন্টারে পাঠদান করাচ্ছেন কি না।
লিনা আক্তার নামের এক অভিভাবক বলেন, আমার ছেলে অতুল সাহেদ সরকারি জিলা স্কুলে নবম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। একই সঙ্গে ওই স্কুলের দুই শিক্ষকের বাসায় পরিচালিত একটি কোচিং সেন্টারে পড়তে যায়। এ কারণে তার ফলাফল ভালো হয়। স্কুলের চেয়ে কোচিংয়ে লেখাপড়া বেশ ভালো হয়। স্কুলের চেয়ে কোচিং সেন্টারে শিক্ষকরা ভালোভাবে পাঠদান করান।
ইমন নামের আরেক অভিভাবক বলেন, অধিকাংশ কোচিং নামিদামি স্কুলের শিক্ষকরা পরিচালনা করছেন। তাঁরা ক্লাস না নিয়ে কোচিং সেন্টারে শিক্ষার্থীদের যেতে বলেন। তাই বাধ্য হয়ে ভালো ফলাফলের জন্য সন্তানদের কোচিংয়ে দিচ্ছি।
কোচিং সেন্টার বন্ধে গঠন করা তদন্ত কমিটির সদস্যসচিব মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় উপপরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা কোচিং সেন্টার বন্ধে নিয়মিত প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নজরদারি করছি। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজন শিক্ষককে কোচিংয়ে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছে। এর পরও কোচিং-বাণিজ্য নীরবে হচ্ছে।