সংসদ সদস্য এবং মহানগর আওয়ামী নেতার উপাচার্যসহ শিক্ষকদের লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদ ও জড়িতদের শাস্তির দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ক্যাম্পাসে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন অব্যাহত রেখেছে। এদিকে, ক্যাম্পাসে এমন অবস্থার মধ্যেই ৭ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে ছাত্রলীগ। যার ফলে এখন টালমাটাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।
উপাচার্যসহ শিক্ষকদের লাঞ্ছিতের ঘটনায় জড়িতদের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে ক্যাম্পাসে মানববন্ধন, মৌন মিছিল ও সমাবেশ করেছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ এবং ফোকলোর বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে থেকে একটি মৌন মিছিল বের করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় সেখানে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।
পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক জাহানুর রহমানের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা, প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুনুর রশীদ তালুকদার, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক সফিকুন্নবী সামাদী প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, উপাচার্যকে লাঞ্ছিত করার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ হাজার শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ে নজিরবিহীন। এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সেজন্য সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে। সমাবেশ চলাকালে সিনেট ভবনের সামনে শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের উদ্যোগে মমতাজ উদ্দিন কলাভবনের পশ্চিম গেটের সামনে মানববন্ধন থেকে উপাচার্য ও শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের শাস্তি দাবি করা হয়। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক নীলুফার সুলতানা, বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ওয়ারদাতুল আকমামসহ তিন শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী। একই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মমতাজ উদ্দিন কলা ভবনের সামনে থেকে সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা একটি র্যালি বের করেন।