বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ভিসিহীন চলছে ২০ মার্চ থেকে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম, অর্থনৈতিক কর্মকা- ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রমসহ নানা কার্যক্রমে অনেকটাই স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। এদিকে ভিসি পদে নিয়োগকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের মাঝে কিছুদিন ধরে অসন্তোষ-কোন্দল দেখা দিয়েছে। এদিকে ভিসির স্বাক্ষর ছাড়া বেতন বিলে কারো স্বাক্ষরের অনুমতি না থাকায় শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বেতন তুলতেও পারছেন না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধশতাধিক শিক্ষক এক বিবৃতিতে বলেন, ভিসি মাহবুবর রহমানের চার বছরের মেয়াদ শেষ হয় গত ১৯ মার্চ। তার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ওই প্রতিষ্ঠানে তিনি শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদানে যুক্ত হন। তারস্থলে এখনও কোনো ভিসি নিয়োগ হয়নি। এতে গত ২০ মার্চ থেকে এখনও ওই বিশ্ববিদ্যালয়টি চলছে ভিসিহীনভাবে। অধ্যাপক মাহবুবর রহমানের মূলনীতি ছিল সততা, নিষ্ঠা, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি নিঃস্বার্থ ভালবাসা, শিক্ষা গবেষণার প্রতি দায়িত্বশীলতা, জঙ্গি ও সন্ত্রাসমুক্ত শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করা।
বিবৃতিতে বলা হয়, ভিসি হিসেবে অধ্যাপক মাহবুবর রহমানের শেষ কর্মদিবস থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি পদলাভে আগ্রহী সিনিয়র দুইজন শিক্ষক তাদের অনুসারী ২৫-৩০জন শিক্ষক নিয়ে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সাবেক ভিসি’র বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার চালিয়ে মানববন্ধন, সংবাদসম্মেলন ও ব্যানার প্রদর্শন করে বিশ্ববিদ্যালয় তথা সরকারের ভাবমূর্তিকেও ক্ষুণœ করেছেন। সাবেক ভিসির বিরুদ্ধে তাদের নানা বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য ও কর্মকান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশকে মারাত্মকভাবে ব্যহত করছে। যা আগে কখনও হয়নি। এমতাবস্থায় বিবৃতিদানকারী শিক্ষকরা প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর কাছে দ্রুত ওই প্রতিষ্ঠানের ভিসি নিয়োগদানের অনুরোধ জানিয়েছেন।
তারা আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো ভিসি না থাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে অর্থনৈতিক লেনদেন ও উন্নয়ন কার্যক্রমসহ নানা কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ মাহফুজুল আলম জানান, প্রতিমাসের প্রথম দিনে বেতনভাতা উত্তোলন করা গেলেও বর্তমানে ভিসি না থাকায় এবং বেতন বিলে ভিসির বিকল্প কারো স্বাক্ষরের অনুমতি না থাকায় মঙ্গলবার পর্যন্ত বেতন-ভাতা উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি।