ক্যাম্পাস পরিচালিত ডায়নামিক কম্পিউটার ট্রেনিংয়ের ১৪০তম ব্যাচের উদ্বোধন হয় ১৯ এপ্রিল। ক্যাম্পাস অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সুন্দর, সফল কর্মজীবনের অধিকারী, ন্যায়নিষ্ঠ, দায়িত্বশীল, দেশপ্রেমী ও কল্যাণকামী চৌকস সরকারি কর্মকর্তা, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান মাফরুহা সুলতানা।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পত্রিকার সম্পাদক ও ক্যাম্পাস সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (CSDC) এর মহাসচিব ড. এম হেলাল।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথিকে পুষ্পমাল্যে বরণ করে নেয়া হয় এবং তাঁকে উপহার হিসেবে অর্পণ করা হয় ক্যাম্পাস’র জ্ঞানমেলা সিরিজে প্রকাশিত সৃজনশীলতা বৃদ্ধি, আত্মোন্নয়ন ও জাতি জাগরণমূলক বিভিন্ন বইয়ের সেট; ক্যাম্পাস’র নিজস্ব গবেষণায় প্রকাশিত ২টি মডেল, বিভিন্ন সিডির সেট ও স্যুভেনির।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর শীর্ষ নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে অসামান্য অবদান সৃষ্টিকারী গৌরবোজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব মাফরুহা সুলতানাকে ক্যাম্পাস’র সম্মাননা ক্রেস্ট অর্পণ করেন সিএসডিসি’র মহাসচিব ড. এম হেলাল।
কম্পিউটার কোর্স সম্পন্নকারীরা যেন স্মার্ট এন্ড গ্লোবাল ইয়থ জেনারেশনরূপে দেশ ও জাতির অন্ধকার দূরীকরণে তাদের অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারে, সে কামনায় প্রধান অতিথির হাতে আশা-জাগানিয়া মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা হয়। এরপর কম্পিউটার কোর্সের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
ভালো কাজে পুরস্কার, মন্দ কাজে তিরস্কার ক্যাম্পাস’র চিরায়ত রীতি; সে রীতির ধারাবাহিকতায় ক্যাম্পাস’র ৪ সদস্যকে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়। এরা হলেন ক্যাম্পাস পরিচালিত ইংলিশ এন্ড স্মার্টনেস কোর্স ফর লিডারশিপ এর ততোধিক স্মার্ট ও চৌকস রিসোর্স পার্সন এডভোকেট গোলাম কিবরিয়া; শব্দ চয়নে তাৎক্ষণিক উপস্থিত বুদ্ধি প্রদর্শনের জন্য ক্যাম্পাস’র সহকারী পরিচালক মনিরুজ্জামান; ক্যাম্পাস কার্যক্রম বইয়ের কারেকশন ও এডিটিংয়ে ভালো পারফরমেন্স এর জন্য ওয়েব ডেভেলপার এন্ড গ্রাফিক্স ডিজাইনার রিমেল বড়–য়া; ক্যাম্পাস পত্রিকায় প্রকাশিত বিভিন্ন ব্যক্তিত্বের নাম-পরিচয়সহ যেকোনো সংখ্যার তথ্য তাৎক্ষণিক বলতে পারায় সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ইউসুফ আলী রানা। পুরস্কার প্রদান পর্ব শেষে শুরু হয় বক্তৃতা পর্ব।
ক্যাম্পাস শুধু একটি পত্রিকাই নয়, এটি মাল্টিডাইমেনশনাল আলোকিত একটি প্রতিষ্ঠান
-মাফরুহা সুলতানা
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি, সফল কর্মজীবনের অধিকারী মাফরুহা সুলতানা বলেন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পত্রিকা সম্পর্কে আগে থেকেই আমার ধারণা ছিল; এ পত্রিকা আমি নিয়মিত পড়ি; ক্যাম্পাস’র ক্যালেন্ডার, স্টিকার আমার দপ্তরেও শোভা পায়। তবে আজ ক্যাম্পাস অফিসে এসে আমার ধারণা নতুনভাবে পাল্টে গেল। ক্যাম্পাস শুধু একটি পত্রিকাই নয়, এটি মাল্টিডাইমেনশনাল আলোকিত একটি প্রতিষ্ঠান। দেশনিয়ন্তা এবং নীতি নির্ধারকদেরকে লাইট হাউজের মতো পথ দেখাচ্ছে ক্যাম্পাস। সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার স্বপ্নকে ধারণ করে যুবসমাজকে উজ্জীবিত করছে, তাদেরকে ডায়নামিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করছে ক্যাম্পাস। আমি ক্যাম্পাস’র বহুমূখী কার্যক্রম দেখে অভিভূত হয়েছি। দেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্যই তারা এসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে চলেছে।
প্রধান অতিথি বলেন, ক্যাম্পাস’র বড় স্বপ্ন হলো মানুষের জন্য কল্যাণকর কাজ করা। অন্যের সাহায্যে এগিয়ে আসলে দেশ ও সমাজ এগিয়ে যাবে। অন্যকে সাহায্য করতে থাকলে নিজের সমস্যা থাকবে না। ক্যাম্পাস’র এ সেøাগান আমাদেরকে আলোড়িত করে, উজ্জীবিত করে।
চৌকস সরকারি কর্মকর্তা মাফরুহা সুলতানা বলেন, আমি সাধারণ মানুষ। মফস্বলে বড় হয়েছি, জীবনে বড় স্বপ্ন ছিল না, বড় স্বপ্ন দেখতে হবে সেকথা বলারও কেউ ছিল না। তবে আত্ববিশ্বাস ছিল যে, কোনো দায়িত্বপূর্ণ পদে কাজ করতে পারব। ১৯৭৪ সালে ক্যাডার সার্ভিস থার্ড ব্যাচে সরকারি চাকরিতে যোগ দেই। চাকরিতে যোগদানের সময় এ্যাডমিনিস্ট্রেশনকে ফার্স্ট প্রেফারেন্স উল্লেখ করলাম, সেকেন্ড প্রেফারেন্স উল্লেখ করলাম ফরেন সার্ভিসকে। এ্যাডমিনিস্ট্রেশনকে প্রথম চয়েস দেয়ার কারণ দেশের মধ্যে থেকে সরাসরি দেশের এবং দেশের মানুষের সেবা করার সুযোগ লাভ করা। অন্যদিকে ফরেন ক্যাডার সার্ভিসকে দ্বিতীয় স্থানে রাখলাম এ ভেবে যে, সে সার্ভিসটা দেশের কল্যাণে হলেও সেখানে সমাজ, মানুষ ও দেশসেবায় সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ নেই।
ন্যায়নিষ্ঠ, দায়িত্বশীল কর্মকর্তা মাফরুহা সুলতানা বলেন, রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরোতে যোগদানের পর কাজকর্মে গতিশীলতা আনার উদ্যোগ নিয়েছি। শুরুর দিকে ২৫টি পণ্য নির্ধারিত কয়েকটি দেশে রপ্তানি হতো, এরমধ্যে অধিকাংশই ছিল কৃষিপণ্য। আমরা সীমাবদ্ধ মার্কেটের উপর নির্ভরশীল ছিলাম। এ বৃত্তের বাইরে এসে নতুন নতুন পণ্যের মার্কেট খুঁজতে থাকি। কেননা নতুন নতুন দেশে নতুন নতুন পণ্য আমরা রপ্তানি করতে পারলে আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন অনেক বেড়ে যাবে, আমাদের রিজার্ভ বেড়ে গেলে আমরা পদ্মাসেতুর মতো বড় বড় প্রকল্প নিজেরাই বাস্তবায়ন করতে পারব। তখন বিদেশি সংস্থার কাছে হাত পাততে হবে না, তাদের অযৌক্তিক শর্ত মেনে নিতে হবে না।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু করেছিলেন, কিন্তু ঘাতকরা তাঁকে সে স্বপ্ন পূরণের সুযোগ দেয়নি। বঙ্গবন্ধুর সেই অসমাপ্ত কাজ শেষ করার গুরুদায়িত্ব নিয়েছেন তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা।
কর্মজীবনের শুরুর দিকে অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে প্রধান অতিথি বলেন, ক্যাডার সার্ভিসে প্রথম পোস্টিং ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে; আইনের কিছুই বুঝি না, অথচ বিচার করতে হবে, রায় দিতে হবে। আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে ভাবলাম আমি পারি, আমি পারব। এ বিশ্বাসে বলীয়ান হয়ে কাজ করে যাচ্ছি এবং আজকের অবস্থানে এসেছি। তিনি বলেন আমরা যে কাজই করি না কেন, আমাদের নৈতিকতার মান উঁচুতে রাখতে হবে। ‘ঘুষ খাবো না, দুর্নীতি করব না, দুদকে যাব না।’ গানকে জপমন্ত্রের মতো মনে রাখতে হবে। সবধর্মের মূলকথা মানবকল্যাণ। সমাজ জীবনে, কর্মজীবনে এর প্রাসঙ্গিকতা, প্রয়োজনীয়তা অনুভব করতে হবে। এটি আমাদের জীবনকে আলোকিত করবে, কর্মকে করবে মহিমান্বিত। বেঁচে থাকার জন্য মানুষের বেশি কিছু প্রয়োজন হয় না, তবু মানুষ অবৈধ পথে অর্থবিত্ত গড়ে তোলার চেষ্টা করে। আমাদের চাহিদাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। শুধু নিজ স্বার্থের চিন্তা না করে অন্যের কল্যাণ-স্বার্থেরও চিন্তা করতে হবে; তাহলে সম্পদের হাহাকার থাকবে না।
তাজকেরা খায়ের
ওয়ার্ল্ড-ওয়াইড ফ্যামেলি লাভ মুভমেন্টের চেয়ারপার্সন, বিশিষ্ট সমাজসেবী তাজকেরা খায়ের বলেন ক্যাম্পাস’র সাথে যুক্ত হওয়া মানে আলোকিত মানুষের সান্নিধ্যে আসা। এখানে আলোকিত মানুষের সম্মিলন ঘটে। আজকের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথিও এমনই একজন আলোকিত মানুষ। তাঁর উপস্থিতিতে ছাত্র-যুবকরাও নিজ জীবনকে আলোকিত করার অনুপ্রেরণা লাভ করবে।
তিনি বলেন ক্যাম্পাস’র প্রতিটি কার্যক্রমই দেশের উন্নতিতে কার্যকর ভূমিকা রাখছে। বিভিন্নমুখী কর্মসূচির সাথে নারী সমাজের উন্নয়নের কর্মসূচি ক্যাম্পাস গ্রহণ করলে তাদের কার্যক্রম আরও সমৃদ্ধ হবে। আজকের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ক্যাম্পাস’র কল্যাণকর কর্মসূচিতে সহযোগিতার হাত সম্প্রসারণ করবেন বলে বিশ্বাস।
ড. আলমাসুর রহমান
প্রোএকটিভ এন্ড পজিটিভ এটিচিউড আন্দোলনের প্রবক্তা, ক্যারিশমাটিক উপস্থাপক ড. আলমাসুর রহমান বলেন নেগেটিভ থট, নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি মানুষের শরীরে রোগব্যাধি সৃষ্টির জন্য ৮০% দায়ী। রাগ খারাপ, তা জানা সত্বেও মানুষ রাগ করে। জ্ঞান ও বুদ্ধি দু’য়ের মাধ্যমে রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। যে জানে, সে জ্ঞানী; আর যে জ্ঞানকে সঠিক কাজে লাগাতে পারে, সে বুদ্ধিমান। তাই শুধু জ্ঞান থাকলে চলবে না, বুদ্ধিও থাকতে হবে। রাগ খারপ, ঘুষ খাওয়া মহাপাপ; এসব জানা সত্ত্বেও অনেকে রাগ করে, ঘুষ খায়। কারণ তার জ্ঞান আছে, কিন্তু বুদ্ধি না থাকার কারণে সে জ্ঞানকে কাজে লাগাতে পারে না। ফলে এসব সর্বনাশী পথে পা বাড়ায়।
এডভোকেট এম জি কিবরিয়া
ক্যাম্পাস পরিচালিত ইংলিশ এন্ড স্মার্টনেস কোর্স ফর লিডারশিপ এর রিসোর্স পার্সন এডভোকেট গোলাম কিবরিয়া অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন আজ অনুষ্ঠানে যে মহীয়সী নারী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছেন, তিনি তাঁর কর্মগুণে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে পরিচিত করেছেন। রপ্তানির ইতিহাসে তিনি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। একটি সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে গেছেন নিজেকে; পৌঁছেছেন সর্বোচ্চ পর্যায়ে।
এডভোকেট কিবরিয়া বলেন ক্যাম্পাস’র আজকের অনুষ্ঠানে এসে আমি আবেগাপ্লুত হয়েছি। মাত্র ৪ জনকে দিয়ে শুরু হয়েছিল কম্পিউটার কোর্স, আজ ১৪১ তম ব্যাচের উদ্বোধন করা হলো। ক্যাম্পাস সার্টিফাইড মানুষকে কোয়ালিফাইড করে তোলে। ক্যাম্পাস’র প্রতিটি কথা আমাদের আলোড়িত করে, আলোকিত করে।
তিনি বলেন, আমি ক্যাম্পাস এ ইংলিশ কোর্স পরিচালনা করছি। এখানে শিক্ষার্থীরা যখন ভর্তি হয়, তখন তারা হাসতেও পারে না; কিন্তু বিদায় নেয়ার সময় ইংরেজিতে তারা বক্তব্য রাখে। বিভিন্ন মাল্টিডাইমেনশনাল কর্মসূচি নিয়ে ক্যাম্পাস সময়ের সাথে এগিয়ে যাচ্ছে। ‘ঘুষখোর দুর্নীতিবাজ বয়কট করি আজ’ ক্যাম্পাস’র এই সময়োপযোগী স্টিকার সচিবালয়ে লাগাতে গিয়ে ক্যাম্পাস কর্মীরা সচিবালয় থেকে ফিরে এসেছিল। কিন্তু ক্যাম্পাস হতাশ হয়নি, কারণ সে সত্যের পথে আছে। ক্যাম্পাস’র সেই স্টিকার এখন দেশের সব অফিস-রুমে জ্বলজ্বল করছে।
ক্যাম্পাস’র এসব কল্যাণকর, ডায়নামিক কর্মসূচি আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে ক্যাম্পাস স্টাডি সেন্টার নির্মাণ এখন সময়ের দাবি, যা ক্যাম্পাস’র একার পক্ষে বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। এজন্য বিত্তশালীদের এগিয়ে আসতে হবে। প্রধান অতিথি তাঁর ব্যক্তিগত কিংবা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ক্যাম্পাসকে কম্পিউটার প্রদান কিংবা অনুরূপ সহযোগিতায় এগিয়ে আসবেন বলে আমি আশা করি।
ড. এম হেলাল
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পত্রিকার সম্পাদক এবং সিএসডিসি’র মহাসচিব ড. এম হেলাল বলেন, ক্যাম্পাস’র ডায়নামিক কম্পিউটার কোর্স অন্যান্য কর্মসূচির মতো একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। এই কোর্সের মাধ্যমে ছাত্র-যুবকদের শুধু কম্পিউটারই শেখানো হয় না; তাদের মস্তিষ্কে সেট হওয়া নেতিবাচক চিন্তা ডিএক্ট করে ইতিবাচক চিন্তার সন্নিবেশ ঘটানো হয়। এভাবে তাদেরকে বিশেষ মানুষরূপে গড়ে তোলা হয়।
ড. এম হেলাল বলেন আজকের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কল্যাণমানসিকতার কর্মযোগী এক প্রতিভাদীপ্ত ব্যক্তিত্ব। তিনি সাফল্যের সাথে বাণিজ্যমেলা অনুষ্ঠান করে দেশের অর্থনীতি উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তাছাড়া দেশপ্রেম ও মানবতাবোধ ফুটে উঠেছে তাঁর কার্যে। নানা মানবিক গুণে গুণান্বিত এ ব্যক্তিত্ব ক্যাম্পাস’র অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে ছাত্র-তরুণদেরকে অনেক স্বপ্ন দেখিয়েছেন। ছাত্র-তরুণরা সে স্বপ্নে উদ্ভাসিত হয়ে নিজ জীবনকে আলোকিত করবেন। এভাবে লক্ষ কোটি প্রদীপের আলো ছড়িয়ে পড়ে সমগ্র দেশ আলোকিত হবে। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ উন্নততর দেশ হিসেবে পরিচিত হবে।