শিক্ষা নিয়ে ব্যবসা করা বা টাকা বানানো চলবে না বলে জানিয়ে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এছাড়া যেসব শিক্ষকরা এসব কাজের সাথে জড়িত থাকবেন তাদের গেটআউট করে দেয়া হবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। সম্প্রতি রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁও কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নোট বই, গাইড বই, প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। শিক্ষকদের সম্মান সবার ওপর। কিন্তু কিছু কিছু শিক্ষকদের কাজ নৈতিকতা বিবর্জিত। তাদের গেটআউট করে দেয়া হবে। কারিগরি শিক্ষার ক্ষেত্রে বেসরকারিভাবে যারা উদ্যোগ নিয়েছেন তাদের মানের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। শিক্ষা নিয়ে ব্যবসা করা বা টাকা বানানো চলবে না।
অন্যদিকে বর্তমানে মোট শিক্ষার্থীর ১৪ শতাংশ কারিগরি শিক্ষা গ্রহণ করছে। এই হার ২০২০ সালে ২০ শতাংশ করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এখন শিক্ষা খাতকে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দিয়েছেন। আর এই শিক্ষাখাতের মধ্যে কারিগরি শিক্ষাতেই বেশি অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। বিশ্বমানের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে ভোকেশনাল স্কুল কলেজগুলোকে উন্নত করা হচ্ছে।
দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কারিগরি স্কুল ও কলেজ তৈরি করা হবে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, কারিগরি শিক্ষার দিকে এখন মানুষ আগ্রহ দেখাচ্ছে। আর তাই প্রতি উপজেলায় একটি করে কারিগরি স্কুল এন্ড কলেজ করা হবে। কারিগরি শিক্ষকদের ট্রেনিং দেয়ার ক্ষেত্রে যাতে বিদেশে যেতে না হয় সে জন্য দেশেই মানসম্মত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।
এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি প্রকল্পের প্রিন্সিপাল কো-অর্ডিনেটর মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, সরকার শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ করতে এক পায়ে তৈরি। কিন্তু সে সব জিনিস ব্যবহার তো করতে হবে। অনেক স্কুলে কম্পিউটার দেয়া হয়েছে। কিছু কিছু স্কুলে সেসব কম্পিউটার খুলেও দেখাও হয়নি। অনেক পলিটেকনিকে উন্নতমানের ল্যাব দেয়া হয়েছে তা ব্যবহার করা হচ্ছে না। বেসরকারি খাতের পলিটেকনিকগুলোতে মানের দিকে নজর দিতে হবে। পোশাক শিল্পখাতে মিড লেভেল ম্যানেজমেন্টে দেশের বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসে কাজ করাতে হচ্ছে। কিন্তু আমরা যদি দক্ষ জনবল তৈরি করতে পারতাম তাহলে এখানে আমাদের ছেলেমেয়েরা কাজ করতে পারতো। বৈদেশিক মুদ্রা বাঁচতো। এসব দিকে নজর দিতে হবে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ আলমগীর।