গ্র্যাজুয়েটরা যাতে তাদের মেধা ও সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারে তার সুযোগ সৃষ্টি করতে সংশ্নিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে প্রয়োজন দক্ষ মানবসম্পদ। দেশের জনসংখ্যাকে দক্ষ করে তুলতে পারলে তা হবে আমাদের জন্য আশীর্বাদ। তিনি নবীন গ্র্যাজুয়েটদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে চাকরির পাশাপাশি স্বকর্মসংস্থানে নিয়োজিত হওয়ার কথাও বলেন।
সম্প্রতি ঢাকায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) চতুর্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ভাষণে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ও রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশের অমূল্য সম্পদ ও সম্ভাবনা এখনও সেভাবে ব্যবহার করা যায়নি উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, আমাদের সব প্রয়াসের কেন্দ্রবিন্দু হবে নবপ্রজন্মের উন্নয়ন। কারণ একটি জাতির উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি তরুণ প্রজন্মের শিক্ষার ওপর নির্ভরশীল। তিনি বলেন, সরকার তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও কর্মমুখী শিক্ষাসহ নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এর সুফল আমাদের নিতে হবে।
রাষ্ট্রপতি প্রাথমিক থেকে উচ্চ স্তরে মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষার পাশাপাশি বিজ্ঞান শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব প্রেক্ষাপট বিবেচনায় ভিশন-২০২১ তথা ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, একবিংশ শতাব্দী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে। গোটা বিশ্ব আজ তীব্র প্রতিযোগিতার সম্মুখীন। এ প্রতিযোগিতায় টিকতে হলে তরুণ প্রজন্মকে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তোলার বিকল্প নেই। রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন- বিইউপি সময়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে একাডেমিক শিক্ষা ছাড়াও প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষা প্রদানে সচেষ্ট থাকবে।
নতুন গ্র্যাজুয়েটদের অভিনন্দন জানিয়ে আবদুল হামিদ তাদের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ ও আত্মমর্যাদাশীল বাংলাদেশ গড়তে আত্মনিয়োগ করতে বলেন। পরে বঙ্গবন্ধু চেয়ার উদ্বোধন করেন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফ্যাকাল্টি ঘুরে দেখেন রাষ্ট্রপতি।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান ও সমাবর্তন বক্তা অধ্যাপক আবদুল মান্নান, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, বিইউপি উপাচার্য মেজর জেনারেল এম সালাহউদ্দিন মিয়াজী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। সেনাবাহিনী পরিচালিত বিইউপি ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। চলতি বছর ২২ শিক্ষার্থী স্বর্ণপদক লাভ করেন।