বিশেষ খবর



Upcoming Event

ক্যারিয়ারে এগিয়ে যেতে হলে...

ক্যাম্পাস ডেস্ক আত্মোন্নয়ন
img

ক্যারিয়ারে এগিয়ে যেতে কে না চান? চাকরি ছেড়ে দেওয়া বা নতুন চাকরিতে যোগ দেওয়া বা নতুন করে লেখাপড়া শুরু করা- পরিস্থিত যাই হোক না কেন, সফলতা পেতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কিছু শিক্ষা অর্জন জরুরি। সাধারণত অভিজ্ঞজনরা নতুনদের এসব শিক্ষা দিতে পারেন। এখানে ফোর্বসের ক্যারিয়ার বিশেষজ্ঞ ট্রাভিস ব্রাডবেরি তুলে ধরেছেন সেই সব শিক্ষার কথা। আগে থেকেই এসব না শিখে রাখলে পরবর্তিতে পস্তানো ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। ১. প্রথমেই আত্মবিশ্বাস : সফল মানুষের মাঝে আত্মবিশ্বাসের বিচ্ছুরণ দেখা যায়। কারণ তারা নিজেদের ওপর বিশ্বাস রাখেন। তাদের কাছে প্রথমেই আসে আত্মবিশ্বাস, তারপর অন্য বিষয়গুলো। আর তা আনতে হলে নিচের বিষয়গুলো বুঝে নিন। ক. সন্দেহ সব সময় নতুন সন্দেহের জন্ম দেয়। আপনার ওপর কেন অন্য কেউ ভরসা আনবেন? যদি নির্ভরতার উপাদানগুলো আপনার কাছে আছে বলে মনে করতে পারেন, তবেই অন্যের কাছে নিজের বিশ্বস্ততা দাবি করতে পারেন। খ. নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে হলে আত্মবিশ্বাস জরুরি। মানুষ যেখানে স্বস্তিবোধ করে না, সেখানে বিশ্বাস আনতে চায় না। কারো ওপর বিশ্বাস আনতে হলে তার সংস্পর্শকে নিরাপদ মনে হতে হবে। সফল ক্যারিয়ারের চারদিকে শক্ত ভিত্তি গড়তে থাকে আত্মবিশ্বাস। গ. যাদের নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস নেই, তারা অভ্যন্তরের নানা পেরেশানিতে ভুগতে থাকেন। সফল মানুষরা নিজের ভেতর থেকে কোনো বাধার সম্মুখীন হন না। ২. জীনটা ছোট যা আপনিই গড়বেন : আপনি আসলে পরিস্থিতির শিকার নন। সিদ্ধান্ত নিতে কেউ-ই আপনাকে জবরদস্তির মাধ্যমে বাধ্য করতে পারে না। যে পরিস্থিতিতে আজকে রয়েছেন তার কারণ আপনি নিজেই। আপনিই তা সৃষ্টি করেছেন। হতে পারে লক্ষ্য অর্জনে যা করা দরকার ছিল তা করার সাহস আপনার মধ্যে ছিল না। যখন শুরু করবেন তখন মইয়ের নিচ থেকে বেয়ে বেয়ে ওপরে ওঠার পরিকল্পনা করবেন। ৩. ব্যস্ততাই উৎপাদনশীলতা নয় : আপনি সারা দিন কাজে ব্যস্ত থাকেন। এর অর্থ এই নয় যে, ব্যস্ততার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যেতে পারছেন। একের পর এক মিটিং শেষে আপনার অর্জন শূন্য হতে পারে। সফলতা কেবলমাত্র ব্যস্ততা থেকে আসে না। মনসংযোগ থেকে আসে যা উৎপাদনশীল কাজে ঢেলে দেওয়া হয়। জ্ঞানগর্ভ থেকে উৎপাদনশীল কাজ বেছে নিন। আপনার ব্যস্তাতার ফলে যা বেরিয়ে আসবে যা ফলপ্রসূ না হলে কোনো লাভই নেই। ৪. অন্যদের মতো আপনিও দক্ষ : এমন মানুষের চারপাশে অবস্থান করবেন যারা আপনাকে অনুপ্রেরণা দেবে। অন্য সব যোগ্য মানুষের মতো আপনার মাঝেও যোগ্যতা ও মেধা রয়েছে। যারে নিচে টেনে নেয় তাদের সঙ্গে থাকলে পতন ঘটবেই। জীবনের পরিসর অনেক ছোট। কাজেই এসব নেতিবাচক মানুষের চারপাশে থেকে ময় নষ্ট করবেন না। ৫. না চাওয়া পর্যন্ত `হ্যাঁ` বলবেন না : ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার এক গবেষণায় বলা হয়, `না` কথাটা বলতে যত অস্বস্তি বোধ করবেন, মানসিক চাপ ততই বেড়ে যাবে। `না` কথাটা অনেক শক্তিশালী যার মাধ্যমে বহু বাজে পরিস্থিতি এড়িয়ে চলা যায়। যা করতে চাইছেন না, সেখানে `না` বলুন। মন থেকে চাইলেই `হ্যাঁ` বলতে পারেন। ৬. অতিমাত্রায় নেতিবাচক চিন্তা পরিহার করুন : ক্যারিয়ারে সব সময় আনন্দের উপকরণ পাবেন না। তখন নিজেকে নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধবে। নৈরাশ্যবাদ ভর করবে। এগুলো নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করলে আত্মবিশ্বাস হারাতে থাকবে। তবে ভেতর থেকে যা খুব বেশি সমস্যা সৃষ্টি করছে তা বোঝার চেষ্টা করুন। ৭. `যদি এমন হয়` চিন্তাটা ত্যাগ করুন : লক্ষ্য নির্ধারণে এই চিন্তা পদে পদে বাধা সৃষ্টি করবে। `যদি এমন হয়` কথাটি মনে উদয় হলেই তা না-বোধক শব্দ হয়ে যায়। এই সন্দেহ এমন এক পরিস্থিতিতে নিয়ে যায়, যেখানে কোনো সম্ভাবনা থাকে না। ৮. স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন : স্বাস্থ্য ঠিক না থাকলে কোনো কাজই সম্পন্ন হবে না। মস্তিষ্ককে কর্মক্ষমতা দেয় ঘুম। তাই নিয়মিত গভীর ঘুম অতি জরুরি। আবার নিয়মিত ব্যায়াম আপনাকে আরো বেশ কর্মক্ষম করে তুলতে পারে। আত্মনিয়ন্ত্রণ, মনোযোগ বৃদ্ধি এবং স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতে ঘুম ও ব্যায়াম বিকল্প নেই। ইস্টার্ন অন্টারিও রিসার্চ ইনস্টিটিউটের এক গবেষণায় বলা হয়, যারা প্রতি সপ্তাহে দুই বার ব্যায়াম করেন, ১০ সপ্তাহ পর তারা নিজেদের প্রতিযোগী মনে করেন। ৯. ছোটখাটো বিজয় উদযাপন : সফলতা সব সময় বড় আকারে আসবে এমন কোনো কথা নেই। ছোটখাটো অর্জন কোনো না কোনো সময় ঠিকই আসছে। তাই এগুলো আপনাকে আরো উজ্জীবিত করে তুলতে পারে। এতে টেসস্টোস্টেরন হরমোনের ক্ষরণ বাড়ে। এই হরমোন আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে। ১০. নিখুঁত কাজ আশা করবেন না : কোনো কাজই নিখুঁত হয় না। প্রকৃতিগতভাবেই কোনো কিছু নিখুঁত নয়। তাই এমনটা পেতে চাইলে কেবল সময়ের অপচয়ই হতে থাকবে। তা ছাড়া মানসিক পীড়া বাড়বে। এর প্রতি সব খেয়াল ঢেলে দিলে ব্যর্থতা চলে আসবে। তাই সফল হতে গুণগত মানসম্পন্ন কাজ করুন। ১১. সমাধানে মনোযোগ দিন : সমস্যা থাকবেই। তাই সব সময় সমাধানের খোঁজ করুন। যেকোনো সমস্যা সমাধানের উপায় রয়েছে। সমস্যা নিয়ে পড়ে থাকলে নেতিবাচক চিন্তা-ভাবনা উঁকি দেবে মনে। ১২. নিজেকে ক্ষমা করুন : মাঝে মাঝে ব্যর্থতার শিকার হবে। পিছলে পড়ে যাবেন। ভুল হতেই পারে। এ নিয়ে অনুতাপ করবেন না। ভুল তখনই মূল্যবান হয় যখন এর থেকে শিক্ষা নিতে পারবেন। অনুতাপে না ভুগে নিজেকে ক্ষমা করে দিন। এ কাজ না করতে পারলে ধীরে ধীরে আত্মবিশ্বাসে ক্ষয় ধরবে। তখন নিজের ওপর নিজেই আস্থা রাখতে পারবেন না।


বিশ্ববিদ্যালয় কম্পাস পত্রিকার সংখ্যা সমূহ

আরো সংবাদ

শিশু ক্যাম্পাস

বিশেষ সংখ্যা

img img img