১. অন্যের মতামতঃ অধিকাংশ মানুষই অন্যের মতামত ও সমালোচনা ভালোভাবে গ্রহণ করতে পারে না। এটুকা সহনশীলতা সবারই চর্চা করা উচিত। অনেক জটিলতা এর থেকেও এড়ানো সম্ভব। ২. দুঃখ প্রকাশঃ ভুল হলে অন্যের ঘাড়ে দোষ না চাপিয়ে তা স্বীকার করে নেওয়া উচিত। মনে রাখতে হবে, মানুষ মাত্রই ভুল করতে পারে। এটি অস্বাভাবিক নয়। ভুলের জন্য দ্রুত দুঃখ প্রকাশ করতে শিখুন। ৩. বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে সময় ব্যয়ঃ সময় একবার চলে গেলে তা আর ফিরে আসে না। এ কারণে সময় ব্যয়ে বিচক্ষণ হওয়ার বিষয়টি শেখা উচিত । ৪. ‘না’ বলাঃ কোনো কাজে অপারগ হলে সে জন্য ‘না’ বলে দেওয়ার কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু ‘না’ বলা অনেকের জন্যই খুব কঠিন কাজ। এ কারণেই ‘না’ বলা শিখতে হবে। ৫. সহমর্মিতাঃ অন্যের দুঃখ-দুর্দশায় সহমর্মিতা প্রকাশ আপনাকে তার কাছাকাছি নিয়ে যাবে। এটি মানুষের সামাজিক হয়ে ওঠার অন্যতম উপায়। তাই অন্যের সঙ্গে সহমর্মিতা প্রকাশের উপায়ও শিখে নিতে হবে। ৬. শরীরের ভাষাঃ শুধু মুখের ভাষাই নয়, আপনার দাঁড়ানোর ভঙ্গি, মুখভঙ্গিমা, হাতের নড়াচড়া ইত্যাদি আপনার সম্পর্কে অন্যের ধারণা তৈরিতে সহায়ক হবে। তাই কিভাবে শরীরের ভাষায় নিজেকে ভালোভাবে প্রকাশ করতে হবে, তা জেনে নিন। ৭. বন্ধু তৈরিঃ যেকোনো পরিবেশেই আপনার আশপাশের মানুষদের বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে আপনার শিখে নিতে হবে কিভাবে তাদের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়াবেন, তার কিছু কৌশল। ৮. একাধিক ভাষাঃ শুধু আপনার মাতৃভাষা শেখার মধ্যে কোনো বাহাদুরি নেই। একটু কষ্ট করে একাধিক ভাষা শিখে নিন। এটি আপনাকে যেমন স্মার্ট হিসেবে পরিচিত করবে তেমনি আপনার দক্ষতাও বহুগুণ বৃদ্ধি করবে। ৯. বাজেট অনুযায়ী চলুনঃ ব্যক্তিগত আর্থিক বিষয়গুলো নিয়ে একটি বাজেট তৈরি করুন। এরপর সে বাজেট অনুযায়ী জীবনধারণ করা শিখে নিন। এতে আপনার আর্থিক স্বস্তি আসবে। ১০. বক্তব্যঃ জনসমক্ষে বক্তব্য প্রদান করতে গেলে অনেকেই বিব্রতবোধ করেন। যদিও একটু অনুশীলনেই তা শিখে নেওয়া যায়। সঠিকভাবে বক্তব্য প্রদান শিখতে পারলে তা আপনাকে জীবনে অনেকদূর এগিয়ে নেবে।