১. সব কিছুর মূল্যায়নঃ উদ্যোক্তারা ব্যবসা উদ্যোগের নেতা। তাঁরা নিজ ব্যবসার সব বিষয়ের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত।
আর এ কারণেই প্রতিষ্ঠানের ছোট একটি কাজ থেকে শুরু করে ম্যানেজমেন্টের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পর্যন্ত তাঁকে নিয়মিত মূল্যায়ন করতে হবে। এ কারণেই উদ্যোক্তাকে হয়ে উঠতে হয় একাধারে হিসাবরক্ষক থেকে শুরু করে বিক্রির পরিসংখ্যান পর্যন্ত বিষয়গুলো অনুধাবনের মতো বিচক্ষণ। আর এ কাজগুলো করতে গিয়ে সব সময়েই মূল্যায়ন করার অভ্যাস গড়ে তোলা প্রয়োজন।
২. সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নঃ সিদ্ধান্ত যত ভেবেচিন্তে নেওয়া হোক না কেন, মূল বিষয় হলো বাস্তবায়ন। এ কারণে সফল উদ্যোক্তাদের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সবচেয়ে গুরুত্ব দিতে হয়। কারণ সিদ্ধান্ত সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে না পারলে কোনো ভালো সিদ্ধান্তও ব্যর্থতায় পর্যবসিত হতে পারে। আবার আপাতদৃষ্টিতে ভুল বলে মনে হওয়া সিদ্ধান্ত থেকেও ভালো ফলাফল আসতে পারে।
৩. সঙ্কট সমাধানঃ যেকোনো ব্যবসার শুরুতে অসংখ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। একজন ভালো উদ্যোক্তার কখনোই এসব সমস্যা দেখে পিছিয়ে যাওয়া উচিত নয়।
এ জন্য সমস্যাগুলোকে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে এবং তা সমাধান করতে সর্বশক্তি নিয়োগ করতে হবে।
৪. মানুষের সহায়তাঃ উদ্যোক্তাদের জন্য মানুষ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সফল ব্যবসা গড়ার জন্য বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সদস্যদের সহায়তাও প্রয়োজনীয়। তাদের সহায়তায় উদ্যোক্তার মনোবল যেমন অটুট থাকে তেমন ব্যবসার সাফল্যেও তা ভূমিকা রাখে।
৫. আইডিয়া কাজে লাগানঃ মাথায় নিত্যনতুন আইডিয়া অনেকেরই আসে। কিন্তু তা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে না করে ভুলে যায় বেশির ভাগ মানুষ। যদিও সফল উদ্যোক্তা হতে হলে আইডিয়াগুলো ফেলে দিলে চলবে না। এ আইডিয়াগুলোকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে লিপিবদ্ধ করতে হবে এবং যাচাই করতে হবে। দেরি না করে বাস্তব আইডিয়াগুলোকে কাজে লাগাতে হবে।