১. ভাবুন এবং স্থির করুন
এমন একটা স্থান নির্বাচন করুন আপনি, যেখানে বসে কোনো রকমের গোলমাল ছাড়াই ভাবতে পারবেন। আপনার স্বপ্ন এবং দক্ষতা দুটো মিলিয়ে লক্ষ্য স্থির করুন। সে লক্ষ্যটা যেন কিছুতেই নিজের ওপর চাপিয়ে দেওয়া না হয়। আপনি কোন কাজ করতে ভালোবাসেন, কোন কাজে আপনি বেশি দক্ষ সে ব্যাপারটাই লক্ষ্য স্থির করতে গুরুত্ব দিন।
২. লিখে রাখুন
নিজের স্বপ্ন এবং লক্ষ্যটা লিখে ফেলুন। লিখে রাখুন নিজের লক্ষ্যকে ঘিরে আপনার ভালোবাসার তীব্রতার কথাও। মাঝে মাঝে পড়বেন, এসব লিখে রাখা কথাগুলো। ক্লান্তিকর দিনগুলোতে নতুন উদ্দীপনায় এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা পাবেন।
৩. লক্ষ্যে পৌঁছার পথগুলো ঠিক করুন
কোন পথে এগোলে আপনি আপনার লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবেন সেই পথগুলো বাছুন। প্রয়োজনে একের অধিক উপায় ভেবে রাখুন, যাতে একটি উপায়ে অসফল হলে অন্য উপায়ে এগোতে পারেন। মাথায় না রেখে কাগজে কলমে লিখে রাখুন উপায়গুলো। যাতে প্রয়োজনের সময় বেশি ভাবতে না হয়।
৪. চোখের সামনে রাখুন
বাসার যে স্থানটিতে আপনি বেশি সময় কাটান কিংবা যে টেবিলে বসে আপনি কাজ করেন, সেখানে চোখের সামনে লক্ষ্যগুলো লিখে টাঙিয়ে বা সেঁটে রাখুন। যাতে এগুলো আপনার চিন্তাকে সবসময় নাড়া দেয় এবং আপনি যেন আপনার লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত না হন।
৫. এগিয়ে যান
শুধু লক্ষ্য স্থির করলে কিংবা লক্ষ্যে পৌঁছার উপায়গুলো স্থির করলেই হবে না। সেই লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য ধীরে ধীরে এগিয়ে যেতে হবে। সহজে সফলতা পেতে প্রথমে দীর্ঘমেয়াদি পথ বেছে নেবেন না। ছোট ছোট লক্ষ্যগুলো আগে পূরণ করে অনুপ্রাণিত হোন।
৬. সঞ্চয় করুন
অনেক সময় দেখা যায়, সব কিছু ঠিক থাকলেও অর্থনৈতিক সাপোর্টের অভাবে লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হয় না। তাই একটু একটু করে সঞ্চয় করুন। প্রয়োজনে অনেকখানি কাজে লাগবে এ সঞ্চয়। লক্ষ্যে পৌঁছতে মনোবল বাড়াবে আপনার।
৭. নেতিবাচক চিন্তা ঝেড়ে ফেলুন
সব রকমের নেতিবাচক চিন্তা মন থেকে ঝেড়ে ফেলুন। কথায় কাজে ইতিবাচক মনোভাব ধরে রাখুন। যাদের সঙ্গে মিশে, কথা বলে আপনি অনুপ্রাণিত হবেন, লক্ষ্যে পৌঁছতে সঠিক দিকনির্দেশনা পাবেন তাদের সঙ্গেই মিশুন।