১. দাঁত ব্রাশ ও ফ্লস করাঃ দাঁত সুস্থ রাখার জন্য দৈনিক দাঁত ব্রাশ ও ফ্লস করা অত্যন্ত জরুরি। এটি দাঁতের ক্ষয়রোধ করে এবং নানা রোগ থেকে দূরে রাখে।
আমেরিকান ডেন্টাল অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, দৈনিক দুইবার করে দুই মিনিট দাঁত ব্রাশ ও একবার ফ্লস করা দাঁতের সুস্থতার জন্য প্রয়োজনীয়।
২. আয়নার সামনে হাসাঃ আপনার দাঁত ব্রাশ করার মতোই দৈনিক একটি কাজ হওয়া উচিত আয়নার সামনে হাসা। এটি হতে পারে দৈনিক ১০ সেকেন্ড। এ হাসি আপনার মন ভালো করবে এবং মানসিক উদ্বেগসহ বহু সমস্যা দূর করতে সহায়তা করবে।
৩. গুরুত্বপূর্ণ কাজ লিখে রাখাঃ দৈনিক আমাদের বহু কাজই করতে হয়। কিন্তু এর মধ্যে কোনটি গুরুত্বপূর্ণ এবং কোনটি গুরুত্বপূর্ণ নয়, তা নিয়ে নানা সমস্যা তৈরি হয়। তাই আপনার দৈনিক কাজের একটি তালিকা তৈরি করুন।
৪. বিছানা গোছানঃ অগোছালো ঘরবাড়ি আপনার মন খারাপ করতে পারে। এ ক্ষেত্রে ঘরবাড়ি গুছিয়ে রাখার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ হতে পারে বিছানা গুছিয়ে নেওয়া। এটি আপনার ভালো ঘুম আনতেও সহায়ক হবে।
৫. ধ্যানঃ প্রতিদিন মাত্র কয়েক মিনিট করে ধ্যান করা মানসিকতায় বিপুল পরিবর্তন আনতে পারে। এটি মানসিক চাপ কমাবে, মন সুস্থ করবে এবং মস্তিষ্কের ক্ষতি রোধ করতে সহায়তা করবে।
৬. কৃতজ্ঞতা প্রকাশঃ প্রতিদিনের সব কিছুর জন্যই আপনার কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। বর্তমানে বিশ্বের বহু মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছে। আপনার বর্তমান অবস্থা যে সে তুলনায় অনেক ভালো সে জন্য কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত।
৭. ভালো পোশাক পরাঃ সবাই যেখানে একটি নির্দিষ্ট ক্যাজুয়াল পোশাক পরছে, সেখানে আপনি সামান্য একটু ভালো পোশাক পরুন। এটি আপনাকে অন্যদের তুলনায় বাড়তি সুবিধা দেবে।
৮. ভয়কে জয়ের চেষ্টাঃ আপনার ভয় ও উদ্বেগ তৈরি করে—এমন কোনো কাজ দিনে একবার করে করুন। এতে সে বিষয়টির ভয় কাটানো সহজ হবে।
৯. নতুন কিছুঃ কাজের ক্ষেত্রে সব সময় যে গতানুগতিক পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে, এমন কোনো কথা নেই। কিভাবে তা আরো উন্নত করা যায় এমন কিছু ভাবুন। প্রয়োজনে নতুন কোনো উপায়ে কাজটি সমাধার চেষ্টা করুন।
১০. হাঁটাঃ হাঁটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এ ছাড়া অন্য সব শারীরিক অনুশীলনের তুলনায় হাঁটা সহজ। দৈনিক নানা কাজের ফাঁকেও হাঁটা যায়। এটি আপনার দেহের উদ্যম যেমন বাড়াবে তেমনি সৃজনশীলতা ও মুড ভালো করতেও সহায়তা করবে।