সামাজিক সম্পর্কসহ যে কোনো ক্ষেত্রেই তর্ক-বিতর্ক স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু তা যদি বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে যায় তখন সম্পর্ক নষ্টসহ নানা ধরনের বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। এ লেখায় রয়েছে তেমন কয়েকটি বিষয়।
১. তর্ক বড় করবেন না
পারিবারিক কথাবার্তায় কিংবা অন্য যে কোনো ক্ষেত্রে ছোটখাট তর্ক-বিতর্ক প্রায়ই হয়ে থাকে। এটি স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু মনে রাখতে হবে তুচ্ছ ঘটনাও অনেক সময় বড় সমস্যা সৃষ্টি করে। তাই তুচ্ছ বিষয় যেন তুচ্ছই থাকে সেজন্য সতর্ক হোন।
২. নাটক নয়
বাস্তব জীবন নাটকীয়তার জায়গা নয়। এখানে কৃত্রিমতার বড় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই যে কোনো বিষয় নিয়ে নিজের মনের অনুভূতিই প্রকাশ করুন। কৃত্রিম অনুভূতি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
৩. অপরের দোষ খোঁজা
কোনো একটি ভুল হয়ে গেলে তার পেছনে একে অন্যকে দায়ী করার চেয়ে তা সংশোধন করা এবং ভুলটি যেন আর না হয় সেজন্য সাবধানে থাকাই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আপনি যদি এমন কোনো ঘটনার পর সেজন্য অন্যকে দায়ী করতে থাকেন তাহলে তা সমস্যা বাড়িয়ে তুলবে। আর এ কারণেই অপরের খোঁজা বাদ দিতে হবে।
৪. খুঁতখুঁতে স্বভাব
অনেকের স্বভাবই থাকে যে কোনো বিষয়ে ক্রমাগত খুঁতখুঁত করা। এটি যে কোনো ক্ষেত্রেই অন্যের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট করে। তাই সর্বদা খুঁতখুঁত না করে বিষয়গুলো স্বাভাবিকভাবে মেনে নিন।
৫. নিজেকে প্রত্যাহার করা
কোনো একটি কাজ বা আলোচনা থেকে হঠাৎ নিজেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হতে পারে আপনার প্রিয় একটি বিষয়। কিন্তু এটি অন্যদের আপনার সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করে। কোনো বিষয় আপনার পছন্দ না হলে সে বিষয়ে আপনি মতামত জানাতে পারেন। কিন্তু সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা কাম্য নয়।
৬. অন্যের সঙ্গে তুলনা
সম্পর্ক নষ্ট করার একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারণ হতে পারে অন্যের সঙ্গে তুলনা। প্রত্যেক মানুষই স্বতন্ত্র। এক্ষেত্রে একজন মানুষ কখনোই অন্যের মতো সফল বা ব্যর্থ হতে পারেন না। তাই প্রত্যেককে স্বতন্ত্রভাবে বিবেচনা করুন। এখানে একজনের সঙ্গে অন্যজনের তুলনা করা হলে তা তুলনাকারীর মানসিকতায় প্রভাব ফেলে এবং সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়।