বিএসবি-ক্যামব্রিয়ান এডুকেশন গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অগ্রগতিতে অ্যাড. লায়ন খন্দকার সেলিমা রওশন এর গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যময় ভূমিকা অপরিসীম। তিনি একজন মানবিক, সমাজসচেতন এবং বিদূষী মহীয়সী নারী। তিনি ক্যামব্রিয়ান এডুকেশন গ্রুপের ভাইস-চেয়ারম্যান, দেশের শীর্ষস্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিংস স্কুল অ্যান্ড কলেজের ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান, বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের নির্বাহী পরিচালক, বিশ্বের সর্ববৃহৎ সেবা সংগঠন লায়ন্স ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশ-এর অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন বিভিন্ন সময়ে। এছাড়া তিনি লায়ন্স ক্লাব অব ঢাকা, বারিধারা এর প্রতিষ্ঠাতা। সম্প্রতি পাক্ষিক ক্যাম্পাস পত্রিকার প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট লায়ন খন্দকার সেলিমা রওশনের মুখোমুখি হন। সেই সাক্ষাৎকারের উল্লেখযোগ্য অংশ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসঃ বিএসবি-ক্যামব্রিয়ান এডুকেশন গ্রুপের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্পর্কে কিছু বলুন।
অ্যাড. লায়ন খন্দকার সেলিমা রওশনঃ ২০০৪ সালে ক্যামব্রিয়ান কলেজ প্রতিষ্ঠার পর শিক্ষার ক্ষেত্রে ক্যামব্রিয়ানের অনেক শাখা-প্রশাখার বিস্তৃতি লাভ করেছে। ক্যামব্রিয়ান এডুকেশন গ্রুপের আওতায় প্রায় ২৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ক্যামব্রিয়ান ওঝঙ সার্টিফিকেটধারী একটি প্রতিষ্ঠান এবং অঝওঈ, টক কর্তৃক স্বীকৃতি (প্রিমিয়ার স্ট্যাটাস) প্রতিষ্ঠান।
ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজ (ঢাকা, চট্টগ্রাম) ছাড়া এই গ্রুপের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছেÑ কিংস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মেট্রোপলিটন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, উইনসাম স্কুল অ্যান্ড কলেজ, নর্থ সিটি কলেজ, ক্যামব্রিয়ান ইন্টা. কলেজ অব এভিয়েশন, ক্যামব্রিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্টাডি সেন্টার, আরাবি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, মাদ্রাসাতু ছালেহা খাতুন, ক্যামব্রিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ল্যাংগুয়েজ সেন্টার, ক্যামব্রিয়ান কালচারাল একাডেমি ইত্যাদি।
উল্লেখিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সাফল্যের ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্বের দাবীদার। আগামী দিনগুলোতেও ক্যামব্রিয়ান শিক্ষা গ্রুপ থেকে নতুন নতুন আধুনিক ও যুগোপযোগি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হবে। আমাদের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই ডিজিটাল, তথ্য-প্রযুক্তি এবং শিক্ষায় টেকনোলজি সমৃদ্ধ এক একটি প্রতিষ্ঠান।
বি ক্যাঃ ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার?
অ্যাড. সেলিমা রওশনঃ ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজ দেশের শিক্ষাঙ্গনে এক নন্দিত নাম। আদর্শ, আধুনিক, ফলাফল, যুগোপযোগি এডুকেশন টেকনোলজি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সর্বাগ্রে ক্যামব্রিয়ানকে এগিয়ে রাখতে হবে। ক্যামব্রিয়ানের শ্রেষ্ঠত্বের নেপথ্যে বহুবিধ কারণ অন্তর্নিহিত। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে শ্রেষ্ঠত্বের তালিকায় টপ টেনে ক্যামব্রিয়ানের অবস্থান। বহুবিধ বৈশিষ্ট্যের মধ্যে অন্যতম- ছাত্র ঃ শিক্ষক অনুপাত ১০ঃ১, ৩০ থেকে ৪০ জনের জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্মার্ট ক্লাস রুম। কোচিং-এর পরিবর্তে ঝঝচ সুবিধা, ইঘঈঈ, স্কাউট ও খেলাধুলার অংশগ্রহণের সুযোগ, ১০১টি শিক্ষা উপকরণ ফ্রি এবং উচ্চশিক্ষায় বিএসবি ফাউন্ডেশন স্কলারশিপ ও ভিসা সাপোর্ট ইত্যাদি। এছাড়া রয়েছে পাঠ পরিকল্পনা অনুসারে পাঠদান, অভিজ্ঞ ও নিবেদিত শিক্ষকম-লী, বাংলা ও ইংরেজিতে পাঠদান, ক্লাসে আধুনিক শিক্ষা উপকরণ ব্যবহার, গাইড ও শ্রেণি শিক্ষকের নিবিড় পরিচর্যা, নিয়মিত অভিভাবক সভা, ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ এবং কম্পিউটার ল্যাব, ইন্টারনেট ও স্মার্ট ক্লাসরুম ব্যবহারের সুবিধা।
আরো রয়েছে ডিবেট, ল্যাংগুয়েজ, আবৃত্তি ও বিজ্ঞান ক্লাবে অংশগ্রহণের সুযোগ। ক্যামব্রিয়ান একাডেমির মাধ্যমে নাচ, গান, আবৃত্তি, অংকন ও অভিনয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। বিশেষ সার্ভিসের মধ্যে রয়েছে নিয়মিত চিকিৎসা পরামর্শ, হোম টিচিং সাপোর্ট, গাইড টিচার সাপোর্ট, হোস্টেল ও ট্রান্সপোর্ট সাপোর্ট ইত্যাদি। এসব কারণে অভিভাবকদের কাছে ক্যামব্রিয়ান প্রিয় কলেজ এবং শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার।
বি ক্যাঃ ক্যামব্রিয়ান কলেজের লেখাপড়ার মানন্নোয়নে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে?
অ্যাড. সেলিমা রওশনঃ ক্যামব্রিয়ান গ্রুপের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিয়ত অগ্রগতি সাধিত হচ্ছে। শিক্ষার অগ্রগতি এটা একটা চলমান প্রক্রিয়া। পাঠদানে, ক্লাসে আধুনিক শিক্ষা উপকরণ ব্যবহারে, কন্টেন্ট ব্যবহারে, স্মার্টবোর্ড ব্যবহারে, ফিডব্যাক ক্লাস, স্পেশাল মোটিভেশন ক্লাস ইত্যাদির মাধ্যমে ক্যামব্রিয়ান একস্থানে থেমে থাকে না। ছয় মাস পরপর শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, শিক্ষায় নিত্যনতুন আধুনিক টেকনোলজি রপ্ত করার জন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। তাতে একই পদ্ধতিতে লেখাপড়া করানোর প্রবণতা থাকে না। ফলে পাঠদানে শিক্ষক, ও পাঠগ্রহণে শিক্ষার্থীরা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। এভাবে ক্যামব্রিয়ান এডুকেশন গ্রুপের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিত্যনতুন অগ্রগতির মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
বি ক্যাঃ ক্যামব্রিয়ানকে ঘিরে আগামীতে আপনার কী স্বপ্ন রয়েছে?
অ্যাড. সেলিমা রওশনঃ ক্যামব্রিয়ান হচ্ছে শিক্ষার এক স্বপ্নের ঠিকানা। ক্যামব্রিয়ান তার শিক্ষা ব্যবস্থায় নিজে স্বপ্ন দেখে এবং অন্যকে স্বপ্ন দেখাতে সহযোগিতা করে। যেমন- লেসন প্লান, একাডেমিক ক্যালেন্ডার, নোট গাইড, ডিজিটাল কন্টেন্ট, ক্যামব্রিয়ানের নিজস্ব পাঠদান পদ্ধতি, স্মার্টবোর্ডসহ আধুনিক শিক্ষা উপকরণ ব্যবহারের প্রশিক্ষণ প্রদানে বিনামূল্যে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে। গ্রামের সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নিয়মিত এসব সুযোগ-সুবিধা ক্যামব্রিয়ান থেকে গ্রহণ করছে Ñযা অন্য কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রত্যাশা করা যায় না।
আমরা প্রতিটি শিক্ষা বোর্ডে একটি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা নিয়েছি। এর উদ্দেশ্য আরো বেশি করে আদর্শ মেধাবী এবং গ্রামীণ ছাত্র-ছাত্রীদের স্কলারশিপের মাধ্যমে লেখাপড়ার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া। কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার ব্যাপারেও আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে আন্তর্জাতিক শিক্ষা ব্যবস্থার একটি সেতুবন্ধন তৈরির ব্যাপারে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ক্যামব্রিয়ান বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন এটা এখন সময়ের দাবি। আমাদের এ ব্যাপারে সার্বিক প্রস্তুতি সুসম্পন্ন। এখন সরকারের সুদৃষ্টির অপেক্ষায় রয়েছি।
বি ক্যাঃ তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারে ক্যামব্রিয়ান কিভাবে এগিয়ে যাচ্ছে?
অ্যাড. সেলিমা রওশনঃ ডিজিটাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ক্যামব্রিয়ান ইতোমধ্যে শিক্ষাঙ্গনে খ্যাতি অর্জন করেছে। প্রথম ডিজিটাল ক্যাম্পাস হিসেবে দাবীদার ক্যামব্রিয়ান। দেশের স্মার্ট ক্লাস রুম প্রবর্তনে ক্যামব্রিয়ান প্রথম। এভাবে আধুনিক টেকনোলজি ব্যবহারে শিক্ষাঙ্গনে ক্যামব্রিয়ান এখনো অগ্রগামী।
স্মার্টবোর্ড, স্মার্ট ক্লাস রুম, ক্লাসরুমে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্ট ব্যবহার, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির জন্য ফিঙ্গার প্রিন্টের ব্যবহার, হেলথ কার্ড, স্মার্টওয়াচ, স্মার্ট জঋওউ কার্ড প্রদান (যা বাংলাদেশে প্রথম) করা হয়। এভাবে ক্যামব্রিয়ান শিক্ষা ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।