করোনা ভাইরাসের মধ্যে জনগণের জন্য অত্যাবশ্যকীয় জরুরি সেবা সহজ করতে বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম চালু করেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। ইউরোপের মতো কন্ট্রাক্ট ট্রেসিং অ্যাপ চালুই নয়, যুক্তরাষ্ট্রের মেডট্রনিকের কারিগরি সহযোগিতায় দেশে ভেন্টিলেটর মেশিন উৎপাদনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। করোনা সংক্রান্ত নীতি-কৌশল গ্রহণে ব্যবহার করা হচ্ছে ক্রাউডসোর্স এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। ডিজিটাইজেশনের পথে বর্তমান সরকারের অগ্রগতির ফলেই এটি সম্ভব হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহেমদ পলক। তিনি বলেছেন, করোনাকালে দেশের স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, সংযোগ, বিনোদন ও নিত্যপণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে প্রযুক্তিকে ব্যাপকভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে।
করোনার কারণে পরিস্থিতি কোন দিকে যেতে পারে এবং উদ্ভূত সেই পরিস্থিতি প্রযুক্তির মাধ্যমে কিভাবে মোকাবেলা করা যাবে সেদিকে আগে থেকেই নজর ছিল আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর। সেজন্য করোনা শনাক্ত হওয়ার পরপরই তিনি অংশীজনদের সঙ্গে জরুরি মত বিনিময়সভা করেছিলেন। এ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০ মার্চে ডিজিটাল প্রেস কনফারেন্স করে আগামী দিনে আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে কী ধরনের কর্মকা- করা উচিত, এমন পাঁচটি কন্টিনিউটি প্ল্যান তুলে ধরেছিলাম। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, লজিস্টিক, ডিজিটাল কানেক্টিভিটি ও এন্টারটেইনমেন্ট কন্টিনিউটি প্ল্যান তৈরি করি। যদি আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব বন্ধ হয়ে যায় তাহলে ঘরে বসে শিক্ষা, ঘরে বসে স্বাস্থ্য, সরবরাহ, নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট যোগাযোগ এবং ঘরে বসে বিনোদন এই পাঁচটি বিষয় আমরা তুলে ধরেছিলাম। সেই প্রস্তুতিটি আমরা প্রধানমন্ত্রী ও উপদেষ্টা মহোদয়ের কাছে পাঠিয়েছিলাম। স্ট্যান্ডার্ড অপারেশনস প্রসিডিউর (এসওপি) এবং বিজনেস কন্টিনিউটি প্ল্যান (বিসিপি) দুটি ডকুমেন্ট পাঠানোর মাত্র তিন দিনের মধ্যে তিনি অনুমোদন করে দিয়েছিলেন।
জুনাইদ আহেমদ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও সাহসী নেতৃত্ব করোনা মোকাবেলায় সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে। গত ১১ বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশের যে অগ্রযাত্রা, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সুপরামর্শ ও সরাসরি নির্দেশনায় তাঁরা দ্রুত প্রযুক্তির ব্যবহার করতে পেরেছেন। তিনি বলেন, এটুআইয়ের (অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন) সহায়তায় আমরা যে হাব করি, যেখানে ৩০টি প্রাইভেট সেক্টর পার্টনারকে যুক্ত করে ২০ হাজারের বেশি কন্টেন্ট নিয়ে আসি। যাতে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা ঘরে বসে শিখতে পারে এবং কর্মসংস্থানমুখী প্রশিক্ষণ নিতে পারে। আমাদের মুক্তপাঠ, এটুহাব এবং সংসদ টেলিভিশনের মাধ্যমে আমরা ঘরে বসে শিক্ষা অব্যাহত রাখি।