পাঁচশ টাকার একটি গগলসের দাম পাঁচ হাজার টাকা, দুই হাজার টাকার পিপিই’র দাম চার হাজার ৭০০ টাকা, একটি বঁটির দাম ১০ হাজার টাকা, বালিশের দাম ২৮ হাজার টাকা। বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় মন্ত্রণালয়গুলোর পণ্য ও উপকরণের এমন অস্বাভাবিক দাম নির্ধারণে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়েছে সরকারকে। এসব নিয়ে গণমাধ্যমে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও এর লাগাম টানা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নিতে যাচ্ছে সরকার।
উন্নয়ন প্রকল্পে পণ্য ও উপকরণের দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়গুলো যাতে আরো সতর্ক হয় এবং বাজারমূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য থাকে, তা নিশ্চিত করতে নির্দেশনা দিতে যাচ্ছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। এজন্য সব মন্ত্রণালয়ের সচিবদের বৈঠকে ডেকেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। সম্প্রতি রাজধানীর শেরেবাংলানগরে এনইসি সম্মেলনকক্ষে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। মন্ত্রণালয়ের বাজেট বেশি, প্রকল্পের সংখ্যাও বেশিÑএমন মন্ত্রণালয়ের সচিবদের সরাসরি বৈঠকে থাকতে বলা হয়েছে। আর তুলনামূলক প্রকল্পের সংখ্যা কম বা বরাদ্দ কম থাকা মন্ত্রণালয়ের সচিবদের ভার্চুয়াল বা অনলাইনে যোগ দিতে বলা হয়েছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর নোটিশও পাঠানো হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সচিব মো. মোহসীন বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করতে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় থেকে একটি নোটিশ পেয়েছি। বৈঠকে আমাদের মতামত জানাব। উন্নয়ন প্রকল্পে অস্বাভাবিক খরচে লাগাম টানতে প্রথমবারের মতো বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করতে যাচ্ছেন পরিকল্পনামন্ত্রী। এর আগে ২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনের পর দায়িত্ব নিয়ে দেশের সব বিভাগে সফরে যান পরিকল্পনামন্ত্রী। ওই সব সফরের উদ্দেশ্য ছিল, মাঠ পর্যায়ে প্রকল্পগুলোর অবস্থা জানা এবং অনিয়ম, ত্রুটি ও সমস্যা থাকলে তাৎক্ষণিক সমাধান করা।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো নোটিশে সভার আলোচ্যসূচিতে বলা হয়েছে, প্রকল্পের গুণগত মান কিভাবে উন্নত করা যায়, সে বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বা এডিপি’র টাকায় কিভাবে কাজের সুষ্ঠু ও গুণগত মান নিশ্চিত করা যায়, সে বিষয়েও আলোচনা হবে।