করোনা সংকটের এই সময়ও দেশে দুষ্টচক্রের কালো হাত থেমে নেই। মাস্ক কেলেঙ্কারি, করোনার নমুনা পরীক্ষায় জালিয়াতি, ত্রাণসামগ্রী আত্মসাৎ, চিকিৎসায় জালিয়াতির মতো ঘটনা আমাদের সামনে এসেছে। তবে আমরাও দায়িত্ব পালনে পিছপা হইনি। তাদের বিরুদ্ধে আইনি উদ্যোগ নিয়েছি। ভবিষ্যতেও নেয়া হবে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন। দুদকের ষোড়শ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এই আলোচনায় তিনি বলেন, করোনাকালে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমাদের ৭০ জনের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তিনজন প্রতিশ্রুতিশীল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে হারিয়েছি। তারপরও দুর্নীতিপরায়ণদের সুখকর সময় পার করতে দেয়া হচ্ছে না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, গণমাধ্যম, সুধীসমাজ, রাজনীতিবিদসহ সমন্বিত সামাজিক আন্দোলন সৃষ্টির আহ্বান জানাই।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কমিশন সব সময় গঠনমূলক সমালোচনাকে স্বাগত জানায়। কারণ গঠনমূলক সমালোচনাই কর্মপ্রক্রিয়াকে শাণিত করে। সবাই সব কিছু জানে না। তাই অন্য কেউ ভালো পথ দেখালে তা গ্রহণ করতে আমাদের আপত্তি নেই। আমরা সমালোচনার প্রত্যুত্তর করি না, বরং তা গ্রহণ করি। নিজেদের পরিশুদ্ধ করার চেষ্টা করি।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, সমাজে কিছু ব্যক্তি দুর্নীতিগ্রস্ত। তাই সমাজের কাছে আমাদের অঙ্গীকার থাকতে হবে। সব ধরনের ভয়-ভীতি, লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করতে হবে।
আলোচনাসভায় দুদক কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলাম বলেন, শিক্ষিত হয়েও যাঁরা দুর্নীতি করছেন তাঁরা জঘন্য অমানবিক অপরাধ করছেন। সবাই সন্তানদের জজ-ব্যারিস্টার, ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার, সরকারি বড় কর্মকর্তা বানাতে চান। এটা ভালো কথা। একই সঙ্গে সন্তানদের মানবিক গুণাবলিসম্পন্ন হিসেবে গড়ে তোলার কাজটিও মা-বাবাকে করতে হবে।
দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্ত বলেন, লকডাউনকালে যখন সব অফিস-আদালত বন্ধ ছিল তখনও দুদক মামলা করেছে। আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। সব কার্যক্রম ডিজিটালি সম্পন্ন করা হয়েছে।