বাংলাদেশের অন্যতম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি ২৯ এপ্রিল উদ্যাপন করল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। ‘মানসম্মত শিক্ষায় অগ্রজ’ শ্লোগান নিয়ে ২০০৩ সালের ২৯ এপ্রিল যাত্রা শুরু করে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি (ইউ)। দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানে সাজানো ছিল বর্ণিল এই আয়োজন। দিনের প্রারম্ভে ‘বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষা’ বিষয়ক সেমিনারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি শুরু হয়। বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান জনাব মোহাম্মদ এনায়েত উল্লাহ’র সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. হোসেন জিল্লুর রহমান। নির্ধারিত বিষয়ের ওপর প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি’র সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুর রব।
সেমিনারের শেষাংশে কেক কাটা ও ডকুমেন্টারী প্রদর্শনী হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য, প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. আবদুল হান্নান চৌধুরী, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, রেজিস্ট্রার, বিভাগীয় চেয়ারপার্সন, সাংবাদিক, পরিচালক, শিক্ষক, শুভানুধ্যায়ী, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের ২য় পর্ব সাজানো ছিল সাংস্কৃতিক পরিবেশনায়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
অতিথিবৃন্দ তাঁদের বক্তৃতায় বলেন, এই যুগে সর্বত্র বিশ্বায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য মানব সম্পদের যথার্থ উন্নয়ন প্রয়োজন। আর তার জন্য প্রয়োজন শিক্ষা। বাংলাদেশে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন সংখ্যা সীমিত হওয়ায় অপেক্ষাকৃত বেশি ভালো ছাত্র-ছাত্রীরাই শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ পায়। সেক্ষেত্রে তুলনামূলক কম মেধাবীরা বাদ পড়ে যায়। তখন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ঘষে মেজে যোগ্য করে তোলে। এ যোগ্যতা নিয়ে তারা দেশে ও বিদেশে অন্যদের সাথে প্রতিযোগিতায় বেশ ভালো করে এবং করছে। গত ১২ বছরে ৫০৯৩ জন শিক্ষার্থী এখান থেকে শিক্ষাজীবন শেষে দেশ বিদেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে উচ্চপর্যায়ে কর্মরত রয়েছে। তাই উচ্চ শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে ও বিস্তার ঘটাতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।