স্বাধীনতার ও সত্যনিষ্ঠতার মূল্যবোধকে প্রতিষ্ঠা করে ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭৩-এর আদেশের আদর্শগত ভিত্তি দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও পরিচালিত হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই ভবিষ্যৎ রচনা করে এগিয়ে নেবে দেশকে, নেতৃত্ব দেবে সমাজ ও রাষ্ট্রকে -বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
‘শতবর্ষের পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঃ উচ্চশিক্ষায় অর্জন ও প্রত্যাশা’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির বার্ষিক সেমিনার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারটি ১৫ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামানের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এ সময় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজিমউদ্দিন খান।
আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক, আর্থ এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন ও সূর্যসেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম, বাংলা বিভাগের সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক।
উপাচার্য আরও বলেন, সত্য বলা কঠিন তবে সত্য প্রকাশের সাহসিকতার যে শিক্ষা তোমরা অর্জন করছ তা নিয়ে ভ্রান্তি সৃষ্টি নয়, সত্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মাসুম বিল্লাহ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সেমিনার সঞ্চালনা করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক সানাউল হক সানী। অনুষ্ঠানে সমিতির বার্ষিক প্রকাশনা ‘প্রতিষ্ঠার ৩০ বছর’ শীর্ষক সংকলন প্রকাশ করা হয়।