তথ্য-প্রযুক্তিকে এগিয়ে নিতে বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ আইন ২০১৫ অনুমোদন দিয়েছে সচিব কমিটি। এর ফলে একটি সংস্থার মাধ্যমে তথ্য-প্রযুক্তির এ ফেলোশিপ দেয়া হবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গতসপ্তাহে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব সচিব কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ চালু করার জন্য ২০১০ সালের ২ মার্চ এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব একনেক সভায় অনুমোদন দেয়া হয়। ওই সময় ৮৫ কোটি ৯৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয় ২০১৫ সালের জুন পর্যন্ত। পরবর্তীতে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষায়িত যোগ্যতাসম্পন্ন বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ, গবেষক ও একাডেমিশিয়ান তৈরির লক্ষ্যে এমএস, পিএইচডি ও পোস্ট-ডক্টোরাল গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বর্তমান সরকার বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ প্রবর্তন করে।
বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ অন সায়েন্স অ্যান্ড আইসিটি প্রকল্পের আওতায় বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে উচ্চতর শিক্ষায় এ ফেলোশিপ দেয়া হচ্ছে। এই ফেলোশিপ পাওয়ার যোগ্য বলে যারা গণ্য হবেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞানের বিষয়ে ভর্তি হলে এ ফেলোশিপের জন্য গণ্য হবেন। তবে বোর্ড বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যূনতম তিনটি প্রথম বিভাগ বা শ্রেণি থাকতে হবে এবং কোনো পরীক্ষায় তৃতীয় বিভাগ অথবা শ্রেণি গ্রহণযোগ্য হবে না। পিএইচডি’র জন্য ২৭ জন, পিএইচডি-উত্তরের জন্য আটজনকে দেয়া হবে বৃত্তি। প্রকল্পটি চালু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত বিদেশে ৫৫ জন পিএইচডি, ৪৭ জন এমএস এবং দেশে ১০০ জনকে পিএইচডি এবং ১৫ জনকে পিএইচডি উত্তর ফেলোশিপ প্রদান করা হয়েছে।