নর্দান ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তির ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে বেসরকারি মেডিকেল/ডেন্টাল/আইএইচটি/ম্যাটস প্রতিষ্ঠা/আসন সংখ্যা বৃদ্ধি, নবায়ন ও কোর্স অনুমোদন সংক্রান্ত কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
নর্দান কলেজ কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) এর শর্তসমূহ পালন করায় দীর্ঘ ৫ বছর পর স্থগিতাদেশটি প্রত্যাহার করা হয়। এ সিদ্ধান্তের ফলে চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে নতুন ছাত্রছাত্রী ভর্তি করতে ও তাদের বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন পেতে আর কোনো বাধা থাকলো না।
এদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এ সিদ্ধান্তে নর্দান মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি অধ্যয়নরত বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের মনে খুশির জোয়ার বইছে। কলেজটিতে অধ্যয়নরত সকল শিক্ষার্থী ও বিশেষত এমবিবিএস পাস করার পরও এতদিন যারা বিএমডিসি’র বৈধ রেজিস্ট্রেশন পাননি সে সকল শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা দুশ্চিন্তামুক্ত হয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও বিএমডিসির একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, রাজধানীর ধানমন্ডির এ বেসরকারি মেডিকেল কলেজটিতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, শিক্ষক ও শিক্ষা উপকরণ কিছুই ছিল না। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তৎকালীন পরিচালক (চিকিৎসা শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন) প্রফেসর ডাঃ খন্দকার মোঃ শিফায়েত উল্ল্যাহর নির্দেশে সরজমিন পরিদর্শনে গিয়ে কর্মকর্তারা হতবাক হন।
এ বিষয়ে বিএমডিসি’র রেজিস্ট্রার ডাঃ জেড এইচ বসুনিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের পর মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদনকৃত আসন সংখ্যার বিপরীতে কত সংখ্যক শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে তার হিসাব নিকাশ চাওয়া হয়েছে। সঠিক হিসাব প্রাপ্তি সাপেক্ষে পাসকৃতসহ সকল শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন প্রদান করা হবে বলেও জানান তিনি।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, বেসরকারি মেডিকেল কলেজ স্থাপন নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালিত না হওয়ায় ২০০৯-২০১০ সালে নর্দান মেডিকেল কলেজ পরিচালনার ওপর স্থগিতাদেশ আরোপ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
যদিও বিগত বছরগুলোতে কলেজ কর্তৃপক্ষ আদালতে রিট করে প্রতি বছর শিক্ষার্থী ভর্তি করে আসছিল। কিন্তু স্থগিতাদেশ থাকার কারণে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ছিলেন। কারণ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা না হলে পাস করার পরও শিক্ষার্থীরা বিএমডিসি’র রেজিস্ট্রেশন পেতেন না।
জানা গেছে, গত কয়েকমাস আগে একটি ব্যাচের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী পাস করে বেরিয়েছে। তারা এখনও রেজিস্ট্রেশন পায়নি। ফলে তারা কোথাও বৈধভাবে প্রাকটিস করতে পারছেন না।