ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ২/১ রিং রোড, শ্যামলী, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭ এই ঠিকানায় অবস্থিত।
২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত এ কলেজটি স্বাস্থ্যসেবা ও স্বাস্থ্যশিক্ষার ব্যতিক্রমী প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে।
ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় অনুমোদিত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিবন্ধিত এবং বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) কর্তৃক স্বীকৃত।
স্বাস্থ্যসেবা পরিচালনার ক্ষেত্রে ডাক্তার এবং আনুষঙ্গিক পেশাজীবীগণ হলেন এর মেরুদন্ড। কিন্তু বাংলাদেশে প্রতি ৩,১২৫ জন লোকের জন্য রয়েছে মাত্র একজন ডাক্তার। এজন্য মেডিকেলে ভর্তির জন্য যে ক’টি আসন রয়েছে তাতে মেধাবী প্রার্থীদের ক্ষুদ্রাংশই কেবল ভর্তি হতে পারে, বিপুল সংখ্যক মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা চিকিৎসাশাস্ত্রে অধ্যয়নের স্বপ্ন ত্যাগ করে ভগ্ন হৃদয়ে ফিরে যেতে হয়। তাদের ডাক্তার হওয়া এবং আর্ত মানবতার সেবার স্বপ্ন অংকুরেই বিনষ্ট হয়ে যায়। এ পরিস্থিতিতে সচ্ছল পরিবারের সন্তানরা পার্শ্ববর্তী দেশসমূহের মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ গ্রহণ করে, সেক্ষেত্রে দেশের মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয়ের ফলে জাতীয় অর্থনীতির ক্ষয় হয় নিয়মিত।
এক্ষেত্রে সময়ের দাবি মেটাতে, ভর্তি-বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের ডাক্তার হবার স্বপ্ন পূরণের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা হিসেবে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কয়েকজন দানশীল উদ্যোক্তা ব্যবসায়ীর মানস-সন্তান হলো ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।
লক্ষ্য
১। ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের লক্ষ্য হলো-প্রধানত রোগীর যতœ ও সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা;
২। চিকিৎসা সেবায় শিক্ষার্থীদের যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সৎ, বিশ্বাসযোগ্য চিকিৎসক হিসেবে গড়ে তোলা;
৩। রোগীর সাথে এ্যাটেনডেন্ট এবং তাদের কলিগদের সুসম্পর্ক গড়ে তোলা এবং বজায় রাখা;
৪। সাধারণ রোগ এবং স্বাস্থ্যসমস্যা মোকাবেলার সামর্থ্য অর্জন করা, কমিউনিটি বিশেষত: পল্লী অঞ্চলের মানুষের সেবার মানসিকতা অর্জন করা;
৫। ধারাবাহিক পেশাগত চর্চার মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতা ধরে রাখা;
এটি শুধু ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নয়, সমগ্র জাতির লক্ষ্য।
উদ্দেশ্য
১। এমবিবিএস কোর্স সমাপনান্তে নতুন ডাক্তাররা চিকিৎসার বিভিন্ন ক্ষেত্রে যাতে তাদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারে;
২। পেশাগত দক্ষতা অর্জন করে প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান করতে পারে;
৩। পেশাগত উৎকর্ষের লক্ষ্য ব্যবহারে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করতে শেখে।
কলেজে যেসব সুযোগ-সুবিধা রয়েছে
সব ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা ও প্রযুক্তি সম্বলিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ কলেজ। এখানে একাডেমিক সুযোগ-সুবিধা, লাইব্রেরি, হাসপাতাল ও ল্যাবরেটরি সুযোগ রয়েছে।
কলেজে যেসব বিষয়ে পড়ানো হয়
এনাটমি, ফিজিওলজি, বায়োক্যামেস্ট্রি, কমিউনিটি মেডিসিন, ফরেনসিক মেডিসিন, ফার্মাকোলজি এন্ড থেরাপিউটিক্্স, প্যাথলজি, মাইক্রোবায়োলজি, মেডিসিন এন্ড এলাইড সাবজেক্টস, সার্জারি, ইএনটি, অফথালমোলজি, অর্থপেডিক, শিশু বিভাগ ও শিশু সার্জারী, রেডিওলজি, গাইনোকোলজি এন্ড অবস্টেট্রিক্স। হাসপাতালে ওঈট, ঘওঈট এবং ডায়লাইসিস চালু রয়েছে।
ঢাকা সেন্ট্রাল মেডিকেলের সাফল্যের রহস্য হলো সর্বক্ষেত্রে ঐক্যবদ্ধতা ও ঐকমত্য। এ নতুন কলেজের সাফল্যের পেছনে রয়েছে এর একাডেমিক কাউন্সিল এবং প্রশাসনের দূরদর্শী চিন্তার সফল প্রয়োগ। একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীদের ওপর প্রযোজ্য।প্রশাসনের ক্ষেত্রে প্রিন্সিপাল হলেন নির্বাহী প্রধান। তিনি হিউম্যান রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট, শিক্ষা কর্মসূচি এবং শিক্ষার পরিবেশ রক্ষার ব্যাপারে সচেতন থাকেন।