শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একটি উন্নয়ন প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। কেরানীগঞ্জে জবি’র দ্বিতীয় ক্যাম্পাস হচ্ছে। সেখানে ১৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে ছেলেদের জন্য একটি ২০তলা হল এবং একটি একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হবে। সম্প্রতি সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার বৈঠকে এ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
আর গতকালই ছিল জবি’র দশম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এই সুখবর দেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিশ্বমানের শিক্ষা, বিশ্বমানের জ্ঞান, বিশ্বমানের প্রযুক্তি এবং বিশ্বমানের দক্ষতা অর্জন করতে একজন শিক্ষার্থী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়। ক্লাসে বসে লেকচার শুনে পরীক্ষায় পাস করলে জ্ঞান অর্জিত হবে না। জ্ঞান আবিষ্কার করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে সেই স্থান, যেখানে জ্ঞান সৃষ্টি করতে হয়, জ্ঞান ধারণ করতে হয় এবং জ্ঞান বিতরণ করতে হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দশক পূর্তি উপলক্ষে সকালে একটি শোভাযাত্রা শহীদ মিনার চত্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে রায় সাহেব বাজার, ভিক্টোরিয়া পার্ক ঘুরে ক্যাম্পাসে এসে শেষ হয়। দিবসটি উপলক্ষে প্রকাশিত ‘বিশেষ বার্তা’র মোড়ক উন্মোচন করেন শিক্ষামন্ত্রী। এ ছাড়া প্রেসিডেন্ট রোভার স্কাউট’ পদকপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদেরও বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। বিকেলে ছিল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন জবি’র সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম খান, তৃতীয় ভিসি অধ্যাপক ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ, বর্তমান ট্রেজারার অধ্যাপক মো. সেলিম ভূঁইয়া, ড. মোঃ আলী নূর প্রমুখ।