Planets Sun Sun Sun Sun

ক্যাম্পাস পত্রিকার অডিটোরিয়ামে ডায়নামিক কম্পিউটার কোর্সের সনদ বিতরণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান

বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের ১২ তারিখে অনুষ্ঠিত হয় ক্যাম্পাস সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (সিএসডিসি) পরিচালিত ফ্রি ডায়নামিক কম্পিউটার ট্রেনিংয়ের ১৪৫তম ব্যাচের সনদ বিতরণ অনুষ্ঠান। ক্যাম্পাস পত্রিকা অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের কা-ারী, মুক্তবাণিজ্য অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ, দক্ষিণাঞ্চলের প্রিয় নেতা, সরকারের প্রাজ্ঞ সচিব, প্রগতিশীল রাজনীতিক, হাস্যরসে মাতিয়ে রাখা সরল-সুন্দর মনের এক সুবক্তা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ডায়নামিক ও চৌকস অর্থনৈতিক উপদেষ্টা এবং ছাত্র-যুবকদের প্রেরণা ব্যক্তিত্ব ড. মসিউর রহমান।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পত্রিকার সম্পাদক এবং সিএসডিসি’র মহাসচিব ড. এম হেলাল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী; সরকারের যুগ্মসচিব ও রাজউক’র সদস্য আবুল কালাম আজাদ; ড. মসিউর রহমানের একান্ত সচিব তপন কুমার চক্রবর্ত্তী; বিশিষ্ট কবি ও গ্রন্থকার, মুক্তিযোদ্ধা, সরকারের সাবেক যুগ্মসচিব অধ্যক্ষা হাজেরা নজরুল; সফেন’র উপদেষ্টা, উদারপ্রাণ শিক্ষাবিদ ড. শরীফ আবদুল্লাহ্ হিস সাকী; সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের বিশ্বব্যাংক বিষয়ক কনসালটেন্ট এবং ওয়ার্ল্ড-ওয়াইড ফ্যামিলি লাভ মুভমেন্ট এর চেয়ারপার্সন তাজকেরা খায়ের; বাংলাদেশ আ’লীগ কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সহ-সম্পাদক সাইফুল্লাহ আল মামুন; ক্যাম্পাস’র ইংলিশ এন্ড স্মার্টনেস কোর্সের রিসোর্স পার্সন এডভোকেট মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথিকে পুষ্পমাল্যে বরণ করে নেয়া হয় এবং তাঁকে উপহার হিসেবে অর্পণ করা হয় ক্যাম্পাস’র জ্ঞানমেলা সিরিজে প্রকাশিত সৃজনশীলতা বৃদ্ধি, আত্মোন্নয়ন ও জাতি জাগরণমূলক বিভিন্ন বইয়ের সেট; ক্যাম্পাস’র নিজস্ব গবেষণায় প্রকাশিত ২টি মডেল, বিভিন্ন সিডির সেট ও স্যুভেনির। দেশপ্রেমে উজ্জীবিত, দেশের উন্নয়নে নিবেদিত, দায়িত্ব ও কর্তব্যের প্রতি একনিষ্ঠ, বহুবর্ণিল ব্যক্তিত্ব ড. মসিউর রহমানকে ক্যাম্পাস’র সম্মাননা ক্রেস্ট অর্পণের মাধ্যমে অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন সিএসডিসি’র মহাসচিব ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পত্রিকার সম্পাদক ড. এম হেলাল।
কম্পিউটার কোর্সে অংশগ্রহণকারীরা যেন স্মার্ট এন্ড গ্লোবাল ইয়থ জেনারেশনরূপে দেশ ও জাতির অন্ধকার দূরীকরণে তাদের অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারে, সে কামনায় প্রধান অতিথির হাতে আশা-জাগানিয়া মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা হয়। এরপর প্রধান অতিথির হাত থেকে কম্পিউটার কোর্সের শিক্ষার্থীরা সনদ গ্রহণ করেন। সবশেষে দেয়া হয় বেস্ট পারফর্মার পুরস্কার। এ ব্যাচে বেস্ট পারফর্মার নির্বাচিত হয়েছেন আরাফাত হোসেন। সনদ পাওয়ার পর উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীদের ক’জন তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নার্গিস বেগম বলেন- ক্যাম্পাস থেকে আমি শুধু কম্পিউটারই শিখিনি, শিখেছি কীভাবে ইতিবাচক চিন্তা করতে হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী রমজানুল আলম বলেন, ক্যাম্পাস’র কম্পিউটার প্রশিক্ষণের পাশাপাশি আমি শৃঙ্খলাবোধ ও নিয়মানুবর্তিতা শিখেছি। শিক্ষার্থী নন্দিনী ঘোষ বলেন- ক্যাম্পাস’র সকল কার্যক্রমই মাল্টিডায়মেনশনাল, এর মাধ্যমে তরুণ যুুব শিক্ষার্থীরা সার্টিফিকেট লাভের পাশাপাশি বাস্তব জ্ঞান লাভ করছে, যা পরবর্তী কর্মজীবনে সহায়ক হবে। সনদ বিতরণ শেষে শুরু হয় বক্তৃতা পর্ব। এ পর্বে প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিগণ তাঁদের মূল্যবান বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথি ড. মসিউর রহমান
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ড. মসিউর রহমান বলেন- ক্যাম্পাস’র ডায়নামিক ফ্রি কম্পিউটার ট্রেনিংয়ের সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হতে পেরে আমি নিজেকে অত্যন্ত সৌভাগ্যবান মনে করছি। ছাত্র ও যুব সমাজকে ফ্রি কম্পিউটার ট্রেনিং দিয়ে ক্যাম্পাস যুগোপযোগী কাজ করছে। বর্তমান সময় হচ্ছে তথ্য-প্রযুক্তির, তাই ছাত্র-যুব সমাজকে তথ্য-প্রযুক্তিতে দক্ষ করে তুলতে ক্যাম্পাস’র এই ফ্রি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ অত্যন্ত সময়োপযোগী পদক্ষেপ। তিনি বলেন- ক্যাম্পাস’র কর্ণধার ড. এম হেলাল একজন উদারপ্রাণ মহৎ হৃদয়ের মানুষ। তাঁর নেতৃত্বে ক্যাম্পাস’র কার্যক্রম দেখে আমি মুগ্ধ, বিস্মিত, অভিভূত; আমি ক্যাম্পাস’র কার্যক্রমে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে চাই।
ড. মসিউর রহমান বলেন- আমি অত্যন্ত সৌভাগ্যবান ব্যক্তি, কারণ হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সাহচর্যে আসার সুযোগ পেয়েছি। আমি সিএসপি অফিসার হিসেবে বঙ্গবন্ধুর পিএস হিসেবে কাজ করতে গিয়ে তাঁকে খুব কাছে থেকে জানার সুযোগ হয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অত্যন্ত প্রাণখোলা মহৎ হৃদয়ের উদারপ্রাণ মানুষ ছিলেন। সবাইকে খুব আন্তরিকভাবে গ্রহণ করার সহজাত ক্ষমতা তাঁর ছিলো। সবার কথা খুব মনোযোগ দিয়ে শুনতেন। তাৎক্ষণিক সমস্যা সমাধান করার বিরল ক্ষমতা ছিলো তাঁর। সবার নাম মনে রাখারও অসামান্য দক্ষতা ছিলো বঙ্গবন্ধুর। কারও নাম একবার শুনলে আর ভুলতেন না। অনেকদিন পরে দেখা হলে তাৎক্ষণিক তাঁর নাম ধরে ডেকে চমকে দিতেন। এমনকি কারো কারো পরিবারের সকলের নাম গড়গড় করে মুখস্থ বলতে পারতেন। সবাইকে পরম মমতায় তিনি কাছে টেনে নিতেন। বড়দের শ্রদ্ধা করতেন, ছোটদের স্নেহ করতেন, বাচ্চাদের আদর করতেন। অর্থাৎ তিনি আপাদমস্তক একজন বাঙালি এবং মহৎ হৃদয়ের উদারপ্রাণ মানুষ ছিলেন। এমনকি কারাবন্দী যুদ্ধাপরাধীদের পরিবারের খোঁজ-খবরও তিনি নিতেন। ক্ষমা করার অসাধারণ ক্ষমতা ছিলো তাঁর। সব দিক দিয়েই তিনি ছিলেন একজন পরিপূর্ণ মানুষ, আর তাইতো তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি এবং জাতির জনক। তিনি বলেন- জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রহমানের কথা একঘন্টায় কেন, এক জীবনেও বলে শেষ করা যাবে না। তিনি ছিলেন মহৎহৃদয়ের স্বপ্নদ্রষ্টা, ছোটখাট কোনো কিছুই তাঁর নজর এড়াতো না। একদিন তিনি আমাকে ডেকে বললেন- ‘সরকারি চাকরিতে মহিলা কোটা সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন রেডি করে আনো, আমি সই করে দিব’। সেই প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী মহিলাদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের পথ প্রশস্ত হয়। এরকম বহু আদেশ ও প্রজ্ঞাপন তিনি জারি করেছেন, জাতির জন্য যা ছিল মঙ্গলজনক। তাঁর কাছ থেকে কেউ খালি হাতে ফিরে যেতে পারত না। তিনি প্রথমেই খাওয়ার কথা বলতেন, তারপর কাজের কথা। তাঁর কাছে ছিলো সবাই সমান। সবার অবাধ বিচরণ ছিলো তাঁর কাছে। যে কেউ তাঁর কাছে যেতে পারত। তিনি সরকারি প্রটোকলের ধার ধারতেন না। কাউকে তাঁর কাছে যেতে বাধা দিলে বা আটকালে তিনি বলতেন- ‘কী ব্যাপার, কী হয়েছে, ওকে আমার কাছে আসতে দাও’। বঙ্গবন্ধু ছিলেন ধৈর্য্য ও সহনশীলতার মূর্ত প্রতীক, সবাইকে তাঁর মতো ধৈর্য্য ও সহনশীলতা অর্জনের মাধ্যমে বড় মাপের মানুষ হতে হবে। বঙ্গবন্ধুর এইসব মহৎ গুণাবলী আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মাঝেও রক্তের মাধ্যমে সঞ্চারিত হয়েছে। যে কারণে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও অত্যন্ত সহনশীল ও উদারমনের মহৎপ্রাণ মানুষ। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের যে অগ্রযাত্রা সূচিত হয়েছে, তা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহনশীলতা ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতার কারণে অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। উন্নয়নের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হলে আমাদের সবাইকে সকল বিষয়ে সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে জাগ্রত করে আমাদের দেশকে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী
ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী বলেন, আজকের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সান্নিধ্যলাভ করে ধন্য হয়েছেন। আজ তাঁর সান্নিধ্য পেয়ে আমরাও ধন্য হলাম। তাঁর কাছ থেকে বঙ্গবন্ধুর অনেক অজানা কথা জানতে পারলাম, যা আমাদের তরুণ যুব শিক্ষার্থীদেরকে উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করবে বঙ্গবন্ধুর মতো মহৎ হৃদয়ের আদর্শ মানুষ হওয়ার জন্য। তিনি বলেন, আজকের দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্র্ণ। আজকে ১২ ডিসেম্বর, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এই দিনে ড. মসিউর রহমান এর হাত থেকে তোমরা যারা ক্যাম্পাস’র ডায়নামিক কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদ গ্রহণ করলে তোমরাও অত্যন্ত সৌভাগ্যবান। আজকের ডিজিটাল দিবসে গ্রহণ করা কম্পিউটার প্রশিক্ষণের সনদ তোমরা কাজে লাগিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নপূরণে এগিয়ে যাও -এই আশীর্বাদ করি।
আবুল কালাম আজাদ
সরকারের যুগ্মসচিব এবং রাজউক’র সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, আজকের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি একজন ভার্সেটাইল জিনিয়াস, তাই তাঁর সৌভাগ্য হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সান্নিধ্য লাভ করার এবং বর্তমানে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্য লাভ করার। তাঁর নম্র, ভদ্র, বিনয়ী ও আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব থেকে তরুণ ছাত্র যুবসমাজের অনেক কিছু শেখার আছে।
হাজেরা নজরুল
বিশিষ্ট কবি ও গ্রন্থকার, মুক্তিযোদ্ধা, সরকারের সাবেক যুগ্মসচিব অধ্যক্ষা হাজেরা নজরুল বলেন- প্রধান অতিথি ড. মসিউর রহমান একজন চৌকস সচিব, অর্থনীতির কান্ডারী এবং অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। তরুণ ছাত্র-যুবকরা তাঁকে অনুসরণ করে নিজের জীবনকে বদলে দেবে -এই শুভ কামনা করি।
ড. শরীফ আবদুল্লাহ হিস সাকী
সফেন’র উপদেষ্টা, উদারপ্রাণ শিক্ষাবিদ ড. শরীফ আবদুল্লাহ্ হিস সাকী বলেন- ডিজিটাল দিবসের এই শুভদিনে শিক্ষার্থীরা আজকের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির হাত থেকে কম্পিউটার কোর্সের সনদপত্র গ্রহণ করছে, এটা তাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের ও আনন্দের বিষয়। তিনি বলেন- ছাত্র-যুব উন্নয়নে ক্যাম্পাস যে কার্যক্রম পরিচালনা করছে, সেসব কল্যাণ কার্যক্রমে আমাদের সবার সহযোগিতা করা উচিত।
তাজকেরা খায়ের
সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের বিশ্বব্যাংক বিষয়ক কনসালটেন্ট এবং ওয়ার্ল্ড-ওয়াইড ফ্যামেলি লাভ মুভমেন্টের চেয়ারপার্সন, বিশিষ্ট সমাজসেবী তাজকেরা খায়ের বলেন- ক্যাম্পাস হচ্ছে আলোকিত মানুষের সম্মিলন কেন্দ্র। এখানে আসলে মানুষ আলোকিত হয়ে যায়। মানবধর্ম, মানবিক গুণ তথা উন্নততর মানুষ হবার নির্দেশনা পাওয়া যায় ক্যাম্পাস কর্মসূচিতে। তিনি বলেন- ক্যাম্পাস’র অডিটোরিয়ামটা ছোট, কিন্তু তাদের কার্যক্রম ব্যাপক। এত ছোট পরিসরে ক্যাম্পাস কার্যক্রম পরিচালনা কষ্টসাধ্য, তাই উত্তরায় ক্যাম্পাস স্টাডি সেন্টার ভবন নির্মাণ প্রকল্প হাতে নিয়েছে ক্যাম্পাস। তাদের এ প্রকল্প বাস্তবায়নে আজকের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন বলে বিশ্বাস।
সাইফুল্লাহ আল মামুন
বাংলাদেশ আ’লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সহ-সম্পাদক সাইফুল্লাহ আল মামুন বলেন, আজকের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ড. মসিউর রহমান ইতিবাচক মনোভাবের মানুষ। তাঁর কাছে যতো জটিল বিষয়ই আসুক না কেন, তিনি সবকিছুকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখেন। ক্যাম্পাস’র দৃষ্টিভঙ্গিও ইতিবাচক। এখান থেকে শিক্ষার্থীরা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির ভালো মানুষ হওয়ার শিক্ষা পায়।
এডভোকেট গোলাম কিবরিয়া
ক্যাম্পাস পরিচালিত ইংলিশ এন্ড স্মার্টনেস কোর্স ফর লিডারশিপ এর রিসোর্স পার্সন এডভোকেট গোলাম কিবরিয়া অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন- প্রধান অতিথি ড. মসিউর রহমান এর উপস্থিতি শিহরণ জাগানোর মতো। কেননা, তাঁর গায়ে যেন লেগে আছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সুঘ্রাণ, সেই ঘ্রাণ যেন কালের আর্বত থেকে প্রধান অতিথির মাধ্যমে ভেসে আসছে। আমরা তাই আনন্দিত, পুলকিত ও শিহরিত। তিনি শেখ মুজিবুর রহমান এর পাশে যেমনি ছিলেন, তেমনি আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা হিসেবে তাঁর পাশে আছেন। এটা একটা কাকতালীয় ব্যাপার; সময়ের অদ্ভূত মেলবন্ধন। তাঁর মতো এমন এক গুণী ব্যক্তিত্ব ক্যাম্পাস’র অনুষ্ঠানে এসেছেন শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে। ক্যাম্পাস’র আন্দোলনে সহযোগী হয়ে এখানে আসায় তাঁকে আন্তরিক ধন্যবাদ। তিনি বলেন- ক্যাম্পাস’র ফ্রি কম্পিউটার ট্রেনিং, ফ্রি ইংলিশ কোর্স আজ ব্যাপক জনপ্রিয়। এছাড়াও ক্যাম্পাস’র অন্যান্য কর্মসূচিতে ছাত্র-যুবকরা অংশগ্রহণ করে নিজেদেরকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলছে। ক্যাম্পাস’র এসব কর্মসূচি আরও ব্যাপকভাবে প্রসারিত করার জন্য উত্তরায় স্টাডি সেন্টার প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে। ক্যাম্পাস’র এসব কল্যাণকর কর্মসূচি এগিয়ে নিতে আজকের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথিসহ সমাজের কল্যাণকামী-বিত্তশালী ব্যক্তিত্বগণ সহযোগিতার হাত সম্প্রসারিত করবেন বলে আমি আশাবাদী।
ড. এম হেলাল
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পত্রিকার সম্পাদক এবং সিএসডিসি’র মহাসচিব ড. এম হেলাল বলেন- আজকে আমাদের মাঝে প্রধান অতিথি হিসেবে এমন একজন মানুষকে পেয়েছি -যিনি জাতির জনক, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যলাভ করার সুযোগ পেয়েছেন। আজকে তাঁর কাছ থেকে আমরা বঙ্গবন্ধুর অনেক অজানা কথা জানতে পারলাম। বঙ্গবন্ধুর মহৎ গুণাবলী থেকে অনেক কিছু শেখার আছে, যা ছাত্র-যুবকদের অনুপ্রাণিত করবে।
ড. হেলাল বলেন- ড. মসিউর রহমান একজন নির্ভীক, সৎসাহসী মানুষ। তাঁর অনুসরণে আমাদের সবাইকে নির্ভীক ও সৎসাহসী হতে হবে। ক্যাম্পাস’র এই ক্ষুদ্র আয়োজনে তাঁর মতো একজন মহৎপ্রাণ ব্যক্তিত্ব সহজ-সরলভাবে আমাদের মাঝে এসে বঙ্গবন্ধুর অনেক অজানা কথা বলে আমাদের সকলকে অনুপ্রাণিত করেছেন, এজন্য তাঁকে কৃতজ্ঞতা জানাই এবং ক্যাম্পাস’র জাতি-জাগরণী কার্যক্রমে আমরা তাঁকে পাশে পেতে চাই।