সমাজ সচেতনতা কর্মসূচি

সামাজিক সচেতনতা কর্মসূচির আওতায় নানা বিষয় সংবলিত স্টিকার, লিফলেট, বুকলেট, পোস্টার, ব্যানার-ফেস্টুন, ডেস্কস্লিপ, ক্যালেন্ডার ইত্যাদি স্ব-অর্থায়নে মুদ্রণ ও বিতরণ করে থাকে ক্যাম্পাস। এসবে থাকে সময়োপযোগী সমাজ জাগরণমূলক বিভিন্ন বক্তব্য, যা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত এলাকার সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত ও আবাসিক ভবনে স্থান পায়। ক্যাম্পাস বিশ্বাস করে মানুষ সামাজিকভাবে সচেতন হলে সকল কাজ-কর্মে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সুশাসন নিশ্চিত করা সম্ভব, যা কল্যাণ-রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পূর্বশর্ত। এ চিন্তা-চেতনা থেকেই চালু করা হয়েছে সমাজ সচেতনতামূলক কর্মসূচি। এর মাধ্যমে ঘুষ, দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে ক্যাম্পাস। এসব কার্যক্রমে ক্যাম্পাস কর্মীগণ অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে অংশগ্রহণ করে এবং অন্যদেরও এরূপ জাতি গঠনমূলক কাজে এগিয়ে আসতে উদ্বুদ্ধ করে।
ক্যাম্পাস’র সুদীর্ঘ আন্দোলনের কারণে পরীক্ষায় নকল হ্রাস পেয়েছে, পাস হয়েছে ধূমপানবিরোধী আইন। দু’দশক পূর্বে ক্যাম্পাস’র শুরু করা দুর্নীতি বিরোধী সচেতনতা আন্দোলন তীব্রতর হয়ে এখন বিপ্লবে রূপ নিয়েছে। নাগরিক মূল্যবোধ, দেশপ্রেম ও আধুনিকতা বৃদ্ধিতে নিবেদিত ক্যাম্পাস’র নয়া মিশন হচ্ছে আইল ও দেয়াল রোধ; শ্রেণী-বৈষম্য হ্রাস; ভিসামুক্ত উদার ও অত্যাধুনিক বিশ্ব; এলাকাভিত্তিক স্কুলিং; ভূমিকম্প মোকাবেলার প্রস্তুতি এখনই...; প্রভৃতি।
সচেতনতা কর্মসূচির আওতায় জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতি সম্পর্কিত আধুনিক ধারণা সম্পর্কে স্বচ্ছতা তৈরির মাধ্যমে সেসবের প্রতি মানুষকে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করা হয়। যেমনঃ জ্ঞানভিত্তিক সমাজ, ন্যায়ভিত্তিক সমাজ, আলোকিত জাতি, ডিজিটাল বাংলাদেশ, ডিজিটাল সোসাইটি প্রভৃতি কী, কেন, কিভাবে সম্ভব ইত্যাকার বিষয়ে ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে জন-উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি।
তাছাড়া সঠিক ও যথাযথ নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্র পরিচালনায় যোগ্য নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য ও বাণী সম্বলিত স্টিকার মুদ্রণ করে সারা দেশে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রচার করে থাকে। যেমন- ‘সৎ প্রার্থীকে ভোট দিন, শেষ করুন দুর্দিন’; ‘অসৎ ও দুর্নীতিগ্রস্তদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন প্রতিরোধ করুন’; ‘দুর্নীতিগ্রস্ত বা সন্ত্রাসীকে নির্বাচিত করে নিজকে অপরাধী করবেন না’; ‘আসন্ন নির্বাচনে সৎ ও দেশপ্রেমী প্রার্থীকে জয়যুক্ত করুন’; ‘দুর্নীতি ও সন্ত্রাস আপনার শত্রু, এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন’; ‘ঘুষ-দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পরিবার ও সমাজে বয়কট করুন’; ‘ঘুষ-দুর্নীতির অর্থ বর্জন করুন, পাপের ধন প্রায়শ্চিত্তে যায়’; ‘সন্ত্রাস ও দুর্নীতির অভিশাপ থেকে দেশ রক্ষায় এগিয়ে আসুন’; ‘ঘুষ নেব না, ঘুষ দেব না’ ; ‘ঘুষখোর দুর্নীতিবাজ, বয়কট করি আজ’ ইত্যাদি।
picture
picture
picture