আমার চেতনায় ক্যাম্পাস এবং একজন ব্যতিক্রমী সম্পাদক

সৈয়দা শামছুন্নাহার নাবিলা
উপ-সহকারী পরিচালক

হাঁটি হাঁটি পা-পা করে ৬টি বছর কেটে গেল। অনার্স ১ম বর্ষে যখন বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আমার পদচারণা সবেমাত্র শুরু, সেসময়ে তার সাথে আমার প্রথম পরিচয়। যেন তাকে একটু একটু করে চেনার চেষ্টা। নতুনকে জানার আকাক্সক্ষায় ক্লাস ও লাইব্রেরি ওয়ার্কের পর বাকিটা সময় বাঁচিয়ে রাখা শুধু তাকে পরিদর্শনের জন্য। হ্যাঁ, আজ এরূপ আবেগ নিয়েই লিখতে চাই..। সে আর কেউ নয়, কিছু নয়; সে আমার ক্যাম্পাস, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পত্রিকা এবং ক্যাম্পাস সমাজ উন্নয়ন কেন্দ্র। দেশপ্রেম ও মানবতা জাগ্রত করা, সমাজ সংস্কার করা, বিশেষ মানুষ হওয়ার উপায় বলে দেয়া, যেকোনো সমস্যার সমাধান খুঁজে নেয়ার কৌশল ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়কে বোঝা, জানা ও আয়ত্ত করার ইচ্ছা থেকেই ক্যাম্পাস এ আমার আসার তাড়না। আজ তাই বলতে গর্ববোধ করি যে, ক্যাম্পাস কেমন যেন আমার নিজেরই প্রতিষ্ঠান।
কী নেই এই ক্যাম্পাস এ! মানব জীবনের প্রতিটি ধাপের প্রতিটি প্রেক্ষাপটের নানাবিধ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়েই ক্যাম্পাস’র কার্যক্রম সাজানো। কী ছেলে, কী বুড়ো সবাই ক্যাম্পাস’র সাহচর্যে এসে উপকৃত হন; মনের খোরাক মেটান। ক্যাম্পাস’র নানামুখী কার্যক্রম যেমন সমাজ সচেতনতা কর্মসূচি, শিক্ষানবিশ কর্মসূচি, ওপেন ডায়লগ প্ল্যাটফরম, গবেষণা সেল, মেডিটেশন কোর্স, প্রোএকটিভ সেমিনার, ইংলিশ কোর্স ইত্যাদির কথা আজ নাইবা বলি। কারণ ক্যাম্পাস’র চলমান ১৮টি কার্যক্রমের বিষয়ে লিখতে গেলে ন্যূনতম ১৮ পৃষ্ঠাতো লিখতেই হবে। আমার ন্যায় এ আনাড়ি লেখকের জন্য এত পৃষ্ঠা ছাপার বরাদ্দ কে দেবে! তাই আমি আজ শুধু ক্যাম্পাস’র প্রাণের উৎস নিয়েই আমার অনুভূতি ব্যক্ত করতে চাই। আমাদের বর্তমান ছাত্র সমাজের দিকে তাকালে দেখা যায় যে, তারা আজ দিশেহারা-হতাশ। তাদের মধ্যে এত প্রাণশক্তি থাকা সত্ত্বেও উপযুক্ত দিক্-নির্দেশনার অভাবে তারা হয়ে যায় দিক্ভ্রান্ত। আর ক্যাম্পাস এমনই এক প্ল্যাটফরম, যেখানে এসে তরুণ প্রজন্ম দিশা খুঁজে পায়। কারণ ক্যাম্পাস’র প্রশিক্ষণ ক্লাস, সেমিনার এবং ওয়ার্কশপ ছাত্র-যুবকদেরকে সেই আলোর পথ দেখায়। ক্যাম্পাস পরিবারের সদস্যরা যেন এক একজন অদম্য সেনা। কিছুতেই যেন তাদের নিরুৎসাহ কিংবা ক্লান্তি নেই। অন্য যেকোনো প্রতিষ্ঠান থেকে ক্যাম্পাস আলাদা এর ব্যতিক্রমী কার্যক্রমের জন্যে। যেমন এখানে দিনের সূচনা হয় Good Morning Session এর আত্মপ্রত্যয় দিয়ে। যার মাধ্যমে একজন স্টাফ তার সারাদিনের কর্মপরিকল্পনার একটি মনছবি তৈরি করে উদ্যম ও উচ্ছ্বলতা নিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন। ফলে কর্মচাপ তাদের কাছে কখনই বোঝা মনে হয় না।
আর এই ক্যাম্পাসকে দীর্ঘ ৩ যুগেরও বেশি সময় ধরে যিনি তাঁর সম্পূর্ণ সময়, শ্রম, মেধা ও একাগ্রতা দিয়ে নিবিড়ভাবে পরিচালনা করছেন, তিনি আমাদের সকলের শ্রদ্ধেয় সম্পাদক এম হেলাল স্যার। তিনি যেন নিজেই একটি Institution. আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে তাঁকে বিচার করা দুঃসাধ্য। তবুও ক’টি কথা পাঠকের সাথে Share না করলেই নয়। যেমন স্যারের কাছে মানুষ ও মানবতার ধর্মই হলো সর্বোচ্চ ধর্ম। যেকোনো মানবিক প্রয়োজনে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে তিনি সবাইকে সর্বদা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। তিনি যেমনি ধর্মভীরু, তেমনি ধর্মের ব্যাপারে তাঁর কোনোরূপ গোঁড়ামী নেই। তিনি নিজে যেমনি সত্যবাদী ও স্পষ্টভাষী, তেমনি অন্যদেরকেও সর্বক্ষেত্রে সম্মুখে সত্য কথা বলতে উৎসাহিত করেন; তা যতই রূঢ় হোক না কেন। ‘অসম্ভব’ কিংবা ‘পারি না’ শব্দগুলো তাঁর অভিধানে নেই।
অন্যের ভুল-ত্রুটি ধরিয়ে দিয়ে যেমনি তিনি আত্মশুদ্ধি ও আত্মোন্নয়নে সর্বদাই সহযোগিতা দান করেন, তেমনি তাঁর সমালোচনা করার জন্যও তিনি সবাইকে উদ্বুদ্ধ করে থাকেন। বছরে দু’টি স্টাফ সভার মাধ্যমে তিনি সহকর্মীদেরকে তাঁর সমালোচনা করতে বাধ্য করেন। এমনকি পিয়ন, দারোয়ান, ড্রাইভারকেও সমালোচনার এ সেশনে তাঁর সমালোচনা করতে হয়। স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও সুশাসনের এমন বাস্তব নজীর সত্যিই বিরল। স্যারের পারিবারিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে এবং অফিস স্টাফদেরকে তাঁর বাসায় নিমন্ত্রণের সুযোগে দেখেছি ও বুঝেছি যে, নিজ পরিবারেও তিনি এরূপ সমালোচনার চর্চা চালু রেখেছেন। এমনকি স্যারের সহধর্মিণী, আমার প্রিয় আইকন, All-rounder এবং সর্বক্ষেত্রে First Class First, আকর্ষণীয় মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ড. নাজনীনকেও তাঁর সন্তানদের সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়। এমনই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির মানুষ স্যার, তাঁর পরিবার কিংবা সংশ্লিষ্ট সবাই।
জ্ঞানী ও বিদগ্ধ মানুষের মন নিমিষেই জয় করতে পারেন আমাদের সম্পাদক স্যার। তাঁর খাদ্যাভ্যাস চর্চা সত্যিই অনুকরণীয়। অন্যদেরকে উৎসাহিত করে ভালো খাদ্যাভ্যাসে অভ্যস্ত করানোর বিষয়েও তিনি সিদ্ধহস্ত। ছোটবেলা থেকে আমি কাঁঠাল খেতাম না। এমনকি কাঁঠালের গন্ধ থেকে একশ’ হাত দূরে থাকতাম। অফিস সহকারী রানা ভাই এক বিকেলে নাস্তার সাথে আমাকে কাঁঠাল দিলে আমি তা ফিরিয়ে দেই। এ কথা রানা ভাই কীভাবে যেন সম্পাদক মহোদয়কে জানিয়ে দেয়। এরপর একদিন স্টাফ মিটিংয়ে স্যার স্রষ্টার উপহাররূপী কাঁঠালের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে আলোচনা করে এটি খাওয়ার ব্যাপারে সবাইকে এমনভাবে উৎসাহিত ও উদ্বুদ্ধ করলেন, সেইদিন থেকে আমি একটু একটু করে কাঁঠাল খাওয়া শুরু করলাম। আর এ ক’বছরে জাতীয় ফল কাঁঠাল এখন আমার প্রিয় ফলে পরিণত হয়েছে।
খাবারের অপচয় না করা সম্পর্কিত স্যারের একটি দৃঢ়তার কথা শুনেছি ক্যাম্পাস অফিসের এক অনুষ্ঠানে তাজকেরা খায়ের ম্যাডামের বক্তৃতায়। একদিন স্যার নাকি বাসায় ফিরে দেখেন, রান্নাঘরের বেসিনে এক কোষ কাঁঠাল পড়ে আছে। তিনি ঐ কোষটি ধুয়ে নিয়ে বাসার সবাইকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলেন যে, বাসার Made servent ঐ কোষটি ফেলে দিয়েছিল। তখন নিজে সেটি খেয়ে তিনি বলেছিলেন, আর কখনও ১ ফোঁটা খাবারও কেউ যেন ফেলে না দেয়। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় শুচিবায়ুর এ ব্যক্তিত্ব এমনই বিরল দর্শন লালন করেন। এভাবে তিনি সহকর্মীদেরকে এবং ক্যাম্পাস’র শিক্ষানবিশ ও প্রশিক্ষণার্থীদেরকে ভালো কাজে কিংবা সুঅভ্যাস তৈরিতে সর্বদাই উৎসাহ দিয়ে আসছেন। ক্যাম্পাস’র কোনো অনুষ্ঠানে আমাদের সাথে বসে তাঁকে খেতে দেখিনি। পিয়ন-দারোয়ানসহ সবাইকে খাইয়ে তারপর তিনি খাবার গ্রহণ করেন। দিবানিশি কাজপাগল Robotic character এর এই মানুষটি দিনে মাত্র দু’বেলা খাদ্য গ্রহণ করেন। সকাল ও দুপুর কিংবা বিকেল।
এত ব্যস্ততা ও কাজের মাঝেও স্যারকে আমি কখনও ক্লান্ত, হতাশ কিংবা অখুশি দেখিনি। ক্যাম্পাস’র নানামুখী কর্মসূচির দৈনন্দিন বিশাল কর্মযজ্ঞ কাঁধে নিয়েও স্যার যেন চিরসতেজ, স্থিরচিত্তের দৃঢ়চেতা মানুষ। স্যারকে Follow করার চেষ্টা করলে যে কেউ সহজেই নিজ জীবনকে সমৃদ্ধরূপে গড়ে তুলতে পারবে। স্যারের একটি Dialogue সবসময় আমি মনে করি। তা হলো সময় অতিবাহিত করা কোনো বিষয় নয়, বরং অতিবাহিত সময় কী কাজে ব্যয় করা হচেছ, সেটিই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রায়শই তাঁর উচ্চারিত কয়েকটি উপদেশ বাক্য হলো Do to others only what you like others to do to you. We should not run after momentary pleasure.. তাঁর থেকে এসব কথা মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনে পরবর্তীতে অন্যের সাথে শেয়ার করতে গিয়ে স্যারের প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা প্রকাশ করে ফেলে বিব্রতও হতে হয়েছে কোনো কোনো ক্ষেত্রে। তখন বলতে বাধ্য হয়েছি যে বিরল প্রতিভার কর্মযজ্ঞ দেশপ্রেমী, মানবপ্রেমী স্যারের প্রতি এবং তাঁর নিজ হাতে গড়া ক্যাম্পাস’র প্রতি ভালোবাসা কেবল আমারই নয়; তাঁর প্রতি এবং ক্যাম্পাস’র প্রতি ঈর্ষনীয় ভালোবাসা আমি দেখেছি বহু ছাত্র-যুবক, বয়োবৃদ্ধ এবং পদস্থদের মধ্যেও। ক্যাম্পাস পরিবারে এসে আমি নিজেকে একজন পরিপূর্ণ মানুষ রূপে মনে করতে শিখেছি। ক্যাম্পাস আমার মধ্যে এই আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তুলেছে যে, আমিও পারি; আমার দ্বারাও পৃথিবীর অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভালো কাজ করা সম্ভব।
ক্যাম্পাস পরিচালিত মেডিটেশন কোর্স করেছেন আমার আব্বু; বোন অংশগ্রহণ করেছে শিক্ষানবিশ প্রোগ্রামে। এভাবে আমার আব্বু, আম্মু, ছোটবোন ক্যাম্পাস অফিসে এবং স্যারের বাসায় যাওয়া-আসা করার ফলে আমার বাবা-মায়ের সাথে স্যারের পারিবারিক একটা সুসম্পর্ক তৈরি হয়। যার ফলে আমাদের পারিবারিক সেশনে বিভিন্ন কথাচ্ছলে আব্বু আমাকে ও আমার বোনকে বহুবার বলেছেন ‘তোমরা ক্যাম্পাস অফিস ছেড়ে গেলেও এ প্রতিষ্ঠানের সাথে সবসময় যোগাযোগ রাখবে, জীবনের যেকোনো পদক্ষেপে হেলাল স্যারের পরামর্শ নেবে। মনে রাখবে, এ স্যারই তোমাদের সবচেয়ে বড় গার্ডিয়ান’। এভাবেই ক্যাম্পাস’র সাথে আমি এক অন্যরকম আত্মার বন্ধনে জড়িয়ে পড়েছি। স্যার সম্পর্কে আব্বু আমাদেরকে মাঝে মাঝে বলেন ‘আমি অনেকবার তাঁর সাথে যাতায়াত করে, তাঁকে স্টাডি করে বুঝেছি যে, তিনি একজন অনেক বড় মাপের মানুষ। তাঁর ব্যতিক্রমী চিন্তা-চেতনা বোঝার মতো মানুষ এ সমাজে খুবই কম’। প্রসঙ্গত, আব্বু অত্যন্ত ধর্মপ্রাণ ও নিবেদিতপ্রাণ সমাজসেবী। নিজস্ব এতিমখানা ও মসজিদ-মাদ্রাসা পরিচালনাসহ বিভিন্ন সেবামূলক কাজই তাঁর নেশা ও পেশা। তাই স্যারের সরলতা, সহজতা, ধর্মানুরাগ ও সমাজকর্ম আব্বুকে খুবই মুগ্ধ করে।
এতকিছুর পরও আমার ভালো না লাগা একটি বিষয় স্যারের মধ্যে কয়েকদিনই লক্ষ্য করেছি। তা হচ্ছে ভালো কাজের জন্য স্যার যেমনি প্রশংসা করেন, পুরষ্কৃত করেন; তেমনি আমার ভুল-ত্রুটির জন্য স্যারের বকাও খেতে হয়েছে অনেক। অর্থাৎ আমার দৃষ্টিতে স্যার যেমনি ভীষণ প্রোএকটিভ, ধীরস্থির; তেমনি রাগীও কম নন। ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠান থেকে আমি অ-নে-ক পেয়েছি, কিন্তু বিনিময়ে খুব সামান্যই দিতে পেরেছি। ক্যাম্পাস’র এ ঋণ কখনও শোধ করার নয়। এক সময়ে যে আমি অপরিচিত কারুর সামনে কথা বলতেই নার্ভাসবোধ করতাম, সেই আমি এখন মাইক্রোফোন হাতে অনর্গল কথা বলতে দ্বিধা করি না। এ আনাড়ি আমি এখানে কম্পিউটার শিখতে এসে কোর্স কমপ্লিট করে আবার সেই কোর্স পরিচালনায় একজন নিয়মিত ট্রেইনার হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছি এবং ছাত্রছাত্রীদের মূল্যায়নে বেস্ট ট্রেইনার হয়েছি। এছাড়াও অনুষ্ঠান উপস্থাপনা, সাউন্ড এডিটিংসহ বিভিন্ন কাজ করতে পারার ক্ষেত্রে অর্থাৎ ব্যক্তিগত সক্ষমতা অর্জনের দিক থেকে আমি এখন পাকা বলে অনেকে বলে থাকেন। এ সবই সম্ভব হয়েছে ক্যাম্পাস’র কল্যাণে, ক্যাম্পাস’র নিবিড় প্রশিক্ষণে। এছাড়াও ‘ডিজিটাল স্টার’ হিসেবে ২০১০ সালে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী জনাব নুরুল ইসলাম নাহিদ’র হাত থেকে ক্যাম্পাস’র এওয়ার্ড গ্রহণ আমার জীবনের আরেক গুরুত্বপূর্ণ অর্জন, এটি যেন ক্যাম্পাস’রই অবদান।
আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আমার প্রাণের University Campus একদিন Universal Campus এ পরিণত হবে; যেখানে শুধু বাংলাদেশের ছাত্র-ছাত্রীরাই নয় বরং সারাবিশ্ব থেকে শিক্ষার্থীরা এসে মুখরিত করে রাখবে এর অঙ্গন। অবশেষে আমার একটি প্রত্যাশা জানিয়ে এ লেখার ইতি টানছি। সেটি হলো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস যেন এমন একটি সুযোগ সৃষ্টি করে, যাতে করে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চাইলে এখানে এসে Internee করতে পারে; যাতে কেউ চাইলে তার কর্মজীবনের সূচনায় ক্যাম্পাস’র সংস্পর্শে এসে নিজেকে ঝালিয়ে নিতে পারে। জীবন স্রোতে যেখানেই যাই না কেন, জীবন আমাকে যেখানেই নিয়ে যাক না কেন, ক্যাম্পাস’র Philosophy হৃদয়ে ধারণ করে রাখব সবসময়। অনেক অনেক শুভ কামনা রইলো ক্যাম্পাস’র জন্য।
প্রথম প্রকাশঃ ডিসেম্বর ২০১৫