ক্যাম্পাস এ এসে পেয়েছি নিজকে উন্নতির দিকে নিয়ে যাওয়ার আত্মশক্তি

মোঃ সেলিম হোসাইন
অফিস সহকারী

আমার প্রিয় কর্মস্থল ক্যাম্পাস সমাজ উন্নয়ন কেন্দ্র ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পত্রিকা। আলোকিত জাতি গঠনে এখানে রয়েছে অফুরন্ত জ্ঞানের ভান্ডার; রয়েছে সততা, ন্যায়-নীতি, আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান ও নীতি-দর্শনের সমারোহ। ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ও আলোকিত জাতি গঠনে ক্যাম্পাস’র অবদান অপরিসীম। ক্যাম্পাস সমাজ উন্নয়ন কেন্দ্র যে কাজ করে যাচ্ছে দেশ ও মানুষের স্বার্থে, তাতে ছাত্র যুব-সমাজ নিজেকে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের লক্ষ্যে পৌঁছানোর নতুন পথ খুঁজে পাচ্ছে।

ক্যাম্পাস থেকে আমি যা পেয়েছি
আমি ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে ক্যাম্পাস এ যোগদান করি। ক্যাম্পাস এ চাকরির সুযোগ পেয়ে আমি যা পেয়েছি, তা অন্য কোথাও অর্থ দিয়েও পাওয়া সম্ভব নয়। এখানে পেয়েছি উন্নত মানুষ হওয়ার চিন্তাশক্তি, নিজেকে শুদ্ধ করার পদ্ধতি ও উন্নতির দিকে নিয়ে যাওয়ার আত্মশক্তি। আমি অল্প দিনেই এর সুফল পেয়েছি। আমার কর্মদক্ষতা, চিন্তাশক্তি, এটিচিউড ও সততা ক্যাম্পাস’র পরিবেশ-প্রেরণায় ও অগ্রগতির ধারায় অনেক এগিয়েছে। আমি এখন সাহস করে বলতে পারি যে, আমার সহায়-সম্পদ নেই, আমি বিত্তশালী নই, কিন্তু তাতে কী হয়েছে; দেখতে হবে যে, আমি নিজকে শুদ্ধ করতে পেরেছি কিনা! নিজের মধ্যে প্রোএকটিভ বা পজিটিভ এটিচিউড তৈরি করতে পেরেছি কিনা! উন্নততর মানুষ হয়েছি কিনা বা অন্য দশজনের চেয়ে আলাদা অর্থাৎ বিশেষ মানুষ হতে পেরেছি কিনা! তবেই আমার সাফল্য। আমার এসব সাফল্য আমি পেয়েছি ক্যাম্পাস সমাজ উন্নয়ন কেন্দ্রের ফাউন্ডার মহাসচিব এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পত্রিকার সম্পাদক ড. এম হেলাল স্যারের দিকনির্দেশনায়। স্যারের লেখা বহু বইয়ের মধ্যে ছোট্ট একটি হচ্ছে ‘অবিরাম সাফল্যের বিশেষ মানুষ হতে ১০ দিগ্দর্শন’। আমি এখন নিশ্চিত করে বলতে পারি, স্যারের বর্ণিত এই ১০ দিগ্দর্শন চর্চা ও লালন করতে পারলে যে কেউই বিশেষ মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে।

ক্যাম্পাস সম্পর্কে আমার অনুভূতির কথা
আমি যখন ক্যাম্পাস সমাজ উন্নয়ন কেন্দ্রে প্রথম যোগদান করি, তখন কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। চিন্তাশক্তি দিয়ে কীভাবে কাজ করতে হয়। এর আগে অন্য একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছি। কিন্তু এতো উন্নত চিন্তা করতে হয়নি। ওখানে দৈনন্দিন কাজের ধরন একই প্রকৃতির। প্রতিদিনের কাজ প্রতিদিন করতাম। আর ক্যাম্পাস এ নিত্যনতুন কর্মপদ্ধতি এবং ভিন্নধর্মী চিন্তাশক্তি ও কর্মপন্থা অবলম্বন করতে হচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে নতুন নতুন কাজ শিখতে পেরেছি। নতুন নতুন জায়গায় যেতে পেরেছি। আজ হাইকোর্টে, কাল সচিবালয়ে কিংবা মন্ত্রণালয়ে, পরশু সংসদ ভবনে। এসব দপ্তরে বড় বড় বরেণ্য ব্যক্তির সাথে কথা বলতে পেরেছি।
এছাড়া বছরের শুরুতে ক্যালেন্ডার ক্যাম্পেইন হয়। প্রতিটি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, সরকারি অফিস, ব্যাংক, সচিবালয়, মন্ত্রণালয়, সংসদ ভবন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে সরাসরি দেখা ও কাজ করা। ঢাকার বাইরে ট্যুরে যাওয়া, বিভিন্ন জেলায় গিয়ে ক্যাম্পেইন করা, মজাটাই আলাদা। এরপর স্পট রেজিস্ট্রেশনের জন্য বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ক্যাম্পেইন করা হয়। ফ্রি-কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও ফ্রি ইংলিশ কোর্সে ভর্তি করানোর জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে পরিচিত হওয়া, অন্যরকম আনন্দ। আবার ক্যাম্পাস’র অডিটরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বড় বড় বরেণ্য ব্যক্তি আসেন, ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। আমরা সকলেই সেইসব অনুষ্ঠান প্রাণভরে উপভোগ করে থাকি।

শেষ কথা
ক্যাম্পাস’র সাথে থেকে বিশেষ মানুষ হওয়াটা কঠিন কিছু নয়। এখানে আছে জ্ঞানের অফুরন্ত ভান্ডার। আসুন, ক্যাম্পাস’র সাথে থেকে নিজের চিন্তাশক্তির মাধ্যমে অবিরাম সাফল্যের ধারায় এগিয়ে যাই।

(মতামত লেখকের নিজস্ব)