Planets Sun Sun Sun Sun

ফ্রি কম্পিউটার ট্রেনিং সনদ বিতরণে ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মাকসুদ কামাল

৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয় ক্যাম্পাস সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার পরিচালিত ফ্রি ডায়নামিক কম্পিউটার ট্রেনিংয়ের ১৪৭ ও ১৪৮ তম ব্যাচের সনদ বিতরণ অনুষ্ঠান। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ছাত্রবৎসল শিক্ষাবিদ, শিক্ষক সমাজের অবিসংবাদিত নেতা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. এএসএম মাকসুদ কামাল।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পত্রিকার সম্পাদক এবং ক্যাম্পাস সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (সিএসডিসি) এর ফাউন্ডার মহাসচিব ড. এম হেলাল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল এর রেজিস্ট্রার, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আলী হায়দার; লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মাঈনউদ্দিন পাঠান; কর্ণেল হারুন অর রশিদ; ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফ্যামিলি লাভ মুভমেন্ট এর চেয়ারপার্সন মিসেস তাজকেরা খায়ের; শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব ড. মোঃ শরীফ আব্দুল্লাহ হিস সাকী এবং ক্যাম্পাস’র ইংলিশ এন্ড স্মার্টনেস কোর্সের রিসোর্স পারসন এডভোকেট গোলাম কিবরিয়া প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথিকে পুষ্পমাল্যে বরণ করে নেয়া হয় এবং উপহার হিসেবে অর্পণ করা হয় ক্যাম্পাস জ্ঞানমেলা সিরিজে প্রকাশিত সৃজনশীলতা বৃদ্ধি, আত্মোন্নয়ন ও জাতি জাগরণমূলক বিভিন্ন বই; ক্যাম্পাস’র নিজস্ব গবেষণায় প্রকাশিত দেশোন্নয়নের ২টি মডেল, বিভিন্ন সিডির সেট এবং স্যুভেনির। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানীয় শিক্ষক, শিক্ষকদের প্রিয় নেতা এবং অধিকার আদায়ের সংগ্রামে অগ্রসেনানী প্রফেসর ড. মাকসুদ কামালকে ক্যাম্পাস’র সম্মাননা ক্রেস্ট অর্পণ করেন সিএসডিসি’র মহাসচিব ড. এম হেলাল।
ড. মাকসুদ কামাল জাপানের টোকিও ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে ভূমিকম্প ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন শেষে টোকিও ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগদানের সুযোগ পেয়েও তা গ্রহণ না করে মাতৃভূমির টানে দেশে ফিরে আসেন। যোগদান করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা পেশায়; প্রতিষ্ঠা করেন দূর্যোগ-বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগ। দুর্যোগ প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ হিসেবে তিনি দেশ-বিদেশে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন। তাঁর ৫০টিরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা প্রবন্ধ দেশি-বিদেশি জার্নালে প্রকাশিত হয়। দেশপ্রেমী, শিক্ষাপ্রেমী ও উদারপ্রাণ সমাজসেবী এ ব্যক্তিত্বকে ক্যাম্পাস’র বিশেষ উপহার অর্পণ করেন সিএসডিসি’র মহাসচিব ড. এম হেলাল।
ড. মাকসুদ কামাল বাংলাদেশের শিক্ষক সমাজের বিশেষত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অধিকার আদায়ে জড়িত থাকলেও অধ্যাপনা পেশার প্রতি তিনি একনিষ্ঠ। শিক্ষক সমাজের অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে এ অঙ্গনের যেকোনো নির্বাচনে তথা ব্যালট ভোটে পেয়ে আসছেন সর্বোচ্চ ভোট। এতে বার বার প্রমাণিত হয় যে, তিনি ছাত্র ও শিক্ষক সমাজের ঐক্য, আস্থা ও নির্ভরতার নিরাপদ প্রতীক। স্বীয় মেধা ও প্রতিভার গুণে দেশের অনেক শীর্ষপদে দায়িত্ব পালন করেছেন; রেখেছেন সৃজনশীলতা, দক্ষতা ও গতিশীলতার স্বাক্ষর। শিক্ষকতা পেশায় ও শিক্ষক সমাজের কল্যাণসেবায় শত ব্যস্ততার মাঝেও অসংখ্য সমাজসেবী সংগঠনের সাথে তিনি যুক্ত। শিক্ষা ও সমাজসেবায় ব্যাপক অবদান রাখা এ ডায়নামিক ব্যক্তিত্বকে বিশেষ সম্মাননা উপহার হিসেবে অর্পণ করা হয় বাংলাদেশ জাতীয় জ্ঞানকোষ তথা বাংলাপিডিয়ার ১৪ খন্ড বইয়ের সেট। কম্পিউটার কোর্সের প্রশিক্ষণার্থীরা যাতে প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে দেশোন্নয়নে যোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে, সে কামনায় প্রধান অতিথির হাতে আশা জাগানিয়া মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করা হয়। এরপর প্রধান অতিথির হাত থেকে কম্পিউটার কোর্সের শিক্ষার্থীরা সনদ গ্রহণ করেন। সবশেষে দেয়া হয় বেস্ট পারফর্মার পুরস্কার। সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়ে বেস্ট পারফর্মার নির্বাচিত হয়েছেন ফাহমিদা ফাইজা লাভলী।
সনদ বিতরণ শেষে শুরু হয় বক্তৃতাপর্ব। এ পর্বে প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিগণ তাঁদের মূল্যবান বক্তব্য রাখেন। বক্তৃতার উল্লেখযোগ্য অংশ এখানে তুলে ধরা হলো।
প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. এএসএম মাকসুদ কামাল
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন- বর্তমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে কম্পিউটার জানা অপরিহার্য। আর এই অপরিহার্য কাজটি বিনামূল্যে ছাত্র-যুব সমাজের জন্য করে আসছে ক্যাম্পাস। ক্যাম্পাস’র এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবীদার।
ফ্রি কোনো কিছু দীর্ঘদিন চালিয়ে যাওয়া খুবই মুশকিল; কিন্তু ক্যাম্পাস এই অসাধ্যকে সাধন করেছে। আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, ক্যাম্পাস ইতোমধ্যে দেড় শততম কম্পিউটার কোর্স শুরু করেছে -এটি অত্যন্ত গর্বের বিষয়। হাজার হাজার প্রশিক্ষণার্থীকে ২০০৪ সাল থেকে বহুমূখী প্রশিক্ষণ বিনামূল্যে প্রদানের মাধ্যমে অভূতপূর্ব অবদান রাখছে ক্যাম্পাস।
ছাত্র-যুবকদের উদ্দেশ্যে ড. মাকসুদ কামাল বলেন- আজকের পৃথিবীতে জ্ঞান আহরণ করাটাই সবচেয়ে জরুরি কাজ। যে যত বেশি জ্ঞান আহরণ করবে, সে ততোই সমৃদ্ধশালী হবে। শিক্ষা মানুষকে জীবনসত্তা থেকে মানবসত্তায় উন্নীত করে। এক্ষেত্রে শুধু শিক্ষিত নয়, সত্যিকারভাবে সুশিক্ষিত হতে হবে। মানুষ যখন জীবনসত্তা থেকে মানবসত্তায় উন্নীত হতে পারে, তখন সে পূর্ণতা পায়।
শিক্ষার্থীদের জ্ঞান আহরণের মাধ্যমে চিন্তার দারিদ্র্যতা মুছে ফেলতে হবে। নম্র-ভদ্র ও সত্যবাদি হতে হবে। সত্য বলা কঠিন হলেও সততার সাথেই থাকতে হবে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন- সত্য যে কঠিন, কঠিনেরে ভালোবাসিলাম, যে কখনো করে না বঞ্চনা। সত্যকে নিজের মধ্যে ধারণ করলে তোমরাও কখনো বঞ্চিত হবে না। আর জীবনের কঠিন বাস্তবতাকে মেনে নিতে হবে। ফেসবুক-ইন্টারনেটের কল্পনার জগত থেকে নিজেদেরকে বাস্তবতার জগতে ফিরিয়ে আনতে হবে। বাস্তবতার সাথে সংগ্রাম করে জীবনে সফল হতে হবে।
আমরা এখন ইতিহাসের সন্ধিক্ষণে অবস্থান করছি। নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। যখন কোনো দেশে এই সন্ধিক্ষণ আসে, তখন সে দেশের সমাজে অন্যায়, দুর্নীতি, সন্ত্রাস ইত্যাদি দেখা যায়; আবার যখন সন্ধিক্ষণ পেরিয়ে যায়, তখন সে দেশ সমৃদ্ধির আলোয় ঝলমল করে। আমাদের দেশও অচিরেই সকল প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির আলোয় ঝলমল করবে। এজন্য ছাত্র-যুবকদের উপযোগীরূপে গড়ে উঠতে হবে। ক্যাম্পাস সমাজ উন্নয়ন কেন্দ্র আমাদের ছাত্র-যুবকদের সেভাবেই গড়ে তুলছে। এজন্য ক্যাম্পাসকে আমাদের সকলের সহযোগিতা করা উচিত।
সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ আলী হায়দার
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল এর রেজিস্ট্রার, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ আলী হায়দার বলেন- প্রফেসর ড. মাকসুদ কামাল শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নয়, সারাদেশের গর্ব। এ দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেষ্ঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি এই মানুষটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হবেন -এই শুভ প্রত্যাশা করি।
তিনি বলেন- ক্যাম্পাস আমার প্রিয় একটি প্রতিষ্ঠান। আমি মনে করি, ক্যাম্পাস’র মতো প্রতিষ্ঠান এদেশে আর একটিও আছে কিনা সন্দেহ। ক্যাম্পাস’র মাধ্যমে তরুণ ছাত্র-যুবকরা অনুপ্রাণিত হচ্ছে -এটি আমাকে খুবই আশান্বিত করছে।
অধ্যক্ষ প্রফেসর মাঈনউদ্দিন পাঠান
লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মাঈনউদ্দিন পাঠান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিংবদন্তী অধ্যাপক প্রফেসর ড. মাকসুদ কামাল লক্ষ্মীপুুরের গর্ব ও অহংকার। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অত্যন্ত জনপ্রিয় শিক্ষক। আমি তাঁর কাছে সময় ও সুযোগ হলেই চলে আসি। তাঁর সান্নিধ্যে আমার মনে অবারিত আনন্দের সৃষ্টি হয়। তিনি বলেন- দেশোন্নয়নে এবং জাতি জাগরণে ক্যাম্পাস’র ভূমিকা খুবই ইতিবাচক। ক্যাম্পাস’র জাতি জাগানিয়া কার্যক্রম দেখে আমি মুগ্ধ, বিস্মিত এবং অভিভূত। এ ধরণের কর্মকান্ডে সকলের সাধ্যমতো সহযোগিতা করা উচিত।
কর্ণেল হারুন অর রশিদ
কর্ণেল হারুন অর রশিদ বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গর্ব প্রফেসর ড. মাকসুদ কামাল এক আশ্চর্য পরশপাথর। তাঁর সংস্পর্শে সাধারণ মানুষও যেন স্বর্ণমণি হয়ে যায়। আমি সময় ও সুযোগ পেলেই তাঁর সাথে দেখা করি। এতে আমার মনের শান্তি হয়। ড. মাকসুদ কামাল অত্যন্ত বিনয়ী, নম্র-ভ্রদ্র একজন খাঁটি মনের মানুষ। তিনি যেমনি প্রতিভাবান, তেমনি সংবেদনশীল মানুষ। ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি তাঁর অকৃত্রিম প্রগাঢ় ভালোবাসা। এই মহৎপ্রাণ মানুষটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরবর্তী উপাচার্য হোক -এই প্রার্থনাই করি। তিনি বলেন- জ্ঞানভিত্তিক ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ এবং আলোকিত জাতি গঠনে ক্যাম্পাস’র কার্যক্রমসমূহ আমাকে গভীর আনন্দে উদ্বেলিত করেছে। আমি মনে করি, ক্যাম্পাস’র এই আন্দোলন দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেয়া খুবই প্রয়োজন। সেজন্যে ক্যাম্পাস’র ইতিবাচক এসব কর্মকান্ডে সবার সহযোগিতার হাত প্রসারিত করা উচিত। সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ক্যাম্পাস’র কার্যক্রম দেশ ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ছড়িয়ে যেতে সক্ষম হবে।
তাজকেরা খায়ের
ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফ্যামিলি লাভ মুভমেন্ট এর চেয়ারপার্সন মিসেস তাজকেরা খায়ের বলেন, ক্যাম্পাস হলো আলোয় আলোয় সম্মিলনকারী। আজকের এই আলোকিত সভার প্রধান অতিথি আরেকজন আলোকিত মানুষ ড. মাকসুদ কামাল। তাঁর আলোয় শিক্ষার্থীরা আলোকিত হবে। শিক্ষার্থীরা তাঁর জীবন ও কর্ম অনুসরণ করে নিজেদের গড়ে তুলবে। মহৎপ্রাণ শিক্ষাবিদ ড. মাকসুদ কামাল এর মতো সততা ও ন্যায়নিষ্ঠার মাধ্যমে চৌকস শিক্ষাবিদ হিসেবে শিক্ষার্থীরা জীবনে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করবে। দৃঢ় নেতৃত্বের মাধ্যমে এ দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে -এ প্রত্যাশা করি। তিনি বলেন- ক্যাম্পাস একটি আলোর বাতিঘর। তরুণ ছাত্র-যুবকদের উদ্দীপ্ত করে জ্ঞানভিত্তিক ও ন্যায়ভিত্তিক দেশ ও জাতি গঠনের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে ক্যাম্পাস। ক্যাম্পাস’র কার্যক্রমে আজকের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথিসহ উদারপ্রাণ ব্যক্তিত্বগণ সহযোগিতার হাত সম্প্রসারিত করবেন বলে বিশ্বাস।
ড. মোঃ শরীফ আব্দুল্লাহ হিস সাকী
শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব ড. মোঃ শরীফ আব্দুল্লাহ হিস সাকী বলেন- আজকের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. মাকসুদ কামাল টাইম, প্রায়োরিটি ও মানি ম্যানেজমেন্ট করে জীবনে সফল হয়েছেন। শিক্ষার্থীদেরকেও তাঁর মতো সবকিছু ম্যানেজ করে জীবনে সফলতা অর্জন করতে হবে। ড. মাকসুদ কামাল এর মতো অধ্যবসায়ী হতে হবে। সততা, ত্যাগ ও কর্মনিষ্ঠার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। ছাত্রজীবনে পড়াশোনাই হচ্ছে মূলকথা। এ বিষয়টি মনে রাখতে হবে। ফেইসবুক-ইন্টারনেটে অযথা সময় নষ্ট না করে সে সময়টা পড়াশোনার পেছনে কাজে লাগানো সবসময়ই মঙ্গলজনক। শিক্ষার্থীদের মনে রাখতে হবে, ছাত্রজীবনের মূলকথা হলো- ছাত্রনং অধ্যয়নং তপোঃ।
এডভোকেট এম জি কিবরিয়া
ক্যাম্পাস’র ইংলিশ এন্ড স্মার্টনেস কোর্সের রিসোর্স পারসন এডভোকেট এম জি কিবরিয়া বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনপ্রিয় শিক্ষক ড. মাকসুদ কামাল বহুগুণে গুণান্বিত একজন চৌকস ও বহুমুখী প্রতিভার বর্ণিল ব্যক্তিত্ব। তিনি পড়াশোনায় যেমন চৌকস ছিলেন, শিক্ষক হিসেবেও তেমনি অনন্য এবং নেতৃত্ব দানেও তেমনি ডায়নামিক। তাঁর অসাধারণ নেতৃত্বগুণে তিনি এতোই জনপ্রিয় যে, কোনোদিন নির্বাচনে হেরে যাননি, সবসময় সর্বাধিক ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। এটি তাঁর ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্ব ও ব্যক্তিত্বের গুণে সম্ভব হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট কর্তৃক নির্বাচিত উপাচার্য প্যানেলে ৩ জনের চূড়ান্ত তালিকায় তাঁর নাম আছে। রাষ্ট্রপতির সদয় অনুমোদন পেলে তিনিই হবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরবর্তী উপাচার্য। আমরা কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করি, তাঁর মতো যোগ্য চৌকস শিক্ষাবিদ যেন ঢাবি’র পরবর্তী উপাচার্য এর দায়িত্ব লাভ করেন। এডভোকেট কিবরিয়া বলেন- যুগের চাহিদা বাস্তবায়নে ক্যাম্পাস নানা ধরনের কর্মসূচি পরিচালনা করছে। ক্যাম্পাস’র এসব কার্যক্রম দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে সেন্টার অব এক্সিলেন্স হিসেবে ঢাকায় একটি স্টাডি সেন্টার নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য মহৎপ্রাণ শিক্ষাবিদ ড. মাকসুদ কামাল এর উদার সহযোগিতা একান্ত কাম্য।
ড. এম হেলাল
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পত্রিকার সম্পাদক এবং সিএসডিসি’র মহাসচিব ড. এম হেলাল বলেন, আজকের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. এএসএম মাকসুদ কামাল কেবল ঢাকা ইউনিভার্সিটিতেই নন, তিনি এদেশের শিক্ষাঙ্গণের গর্ব, একটি অমূল্য রত্ন। শিক্ষক সমাজের প্রিয় এবং ছাত্রবৎসল এই গুণী অধ্যাপক লক্ষ্মীজেলা লক্ষ্মীপুরের কৃতি সন্তান। মেধাবী ও চৌকস শিক্ষাবিদ ড. মাকসুদ কামাল আগামীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হওয়ার অন্যতম যোগ্য ব্যক্তিত্ব। আমরা সর্বান্তকরণে প্রার্থনা করি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হয়ে তিনি তাঁর যথাযোগ্য মর্যাদা লাভ করবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কিংবদন্তী শিক্ষক নেতা ড. মাকসুদ কামাল এমনই ক্যারিশমেটিক ব্যক্তিত্ব যে, তিনি নির্বাচনে দাঁড়ালে তাঁর আর প্রতিদ্বন্দ্বী খুঁজে পাওয়া যায় না। তিনি এমনই এক অপ্রতিদ্বন্দ্বী অনন্য ব্যক্তিত্ব।
ড. এম হেলাল আরও বলেন- কম্পিউটার ট্রেনিং ছাড়াও যুগোপযোগী নানা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ছাত্র-তরুণদের আধুনিক বিশ্বের উপযোগী করে গড়ে তুলছে ক্যাম্পাস। ক্যাম্পাস’র প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছাত্র-যুবকরা নিজেদের মন-মানসিকতার পরিবর্তন ঘটিয়ে কর্মে ও চিন্তায় সম্পূর্ণ নতুন মানুষরূপে গড়ে উঠছে। এসব ছাত্র-যুবক নিজেদেরকে সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি দেশকেও সমৃদ্ধ করছে।