স্বাস্থ্য সেবায় আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে রচিত বই ‘স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আধুনিক চর্চা ও চিকিৎসাঃ Be Your Own Doctor -3’. আধুনিক জীবন-যাপনে দেহ ও মনের সুস্থতা রক্ষার মাধ্যমে যাতে সবাই উন্নত স্বাস্থ্যচর্চা, প্রাকৃতিক চিকিৎসা এবং আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে সঠিক খাদ্য ও পথ্য, ব্যায়াম, ঘুম, রোগপূর্ব সতর্কতা ইত্যাদির মাধ্যমে নিজেই যেন নিজের ডাক্তার হতে পারে- সেদিক বিবেচনায় রেখে এ বইয়ের বিষয়বস্তু প্রণয়ন করা হয়েছে। স্বাস্থ্য বিষয়ক আধুনিক তথ্য সমৃদ্ধ এ বই স্বাস্থ্য সুরক্ষার পরিপূর্ণ ও সহায়ক গাইড।
মানব জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় কর্মজীবন। কর্মজীবনে সফল হওয়া অথবা না হওয়ার ওপর অনেকটাই নির্ভর করে জীবনের সফলতা কিংবা ব্যর্থতা। কারণ কর্মক্ষেত্রে সফল ব্যক্তির জন্য নিজ জীবন যুদ্ধে জয়ী হওয়া অনেকাংশে সহজ হয়ে যায়। তাই জন্ম-মৃত্যু-বিয়ে এর ন্যায় কর্মজীবনও মানব জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং এতে সফল হওয়াও অত্যন্ত জরুরি। এরূপ জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় বিষয় নিয়ে এ বই। স্টাফ পরিচালনা ও কর্ম-পরিকল্পনায় ব্যতিক্রমী প্রতিষ্ঠান ক্যাম্পাস’র নিজস্ব চিন্তা-চেতনা ও গবেষণায় প্রাপ্ত আউটপুট এ বইয়ের মূল প্রতিপাদ্য।
হাতের নাগালে থাকা প্রাকৃতিক ও সহজলভ্য উপকরণ নিয়মিত ও সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে কীভাবে সুস্থ ও নিরোগ থাকা যায়, কীভাবে শতায়ুলাভ করা যায় এবং কীভাবে গতিশীল চিন্তার সবল জাতি গড়ে তোলা যায় সেসবের সহজ সমাধান নিয়ে রচিত এ বই। মানুষের সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু লাভকে আরও সহজ ও সাবলীল করতে আগামীতে কী কী বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার আসছে, সে সম্পর্কেও ব্যাপক ধারণা দেয়া হয়েছে এ বইয়ে। এমনকি শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি বুদ্ধিবৃত্তিক ও আত্মিক উন্নয়নের মাধ্যমে উন্নততর মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার কৌশলও দেখানো হয়েছে এ গ্রন্থে। দৈহিক ও মানসিক সুস্থতা রক্ষার মাধ্যমে জাতীয় স্বাস্থ্য উন্নয়ন এবং জাতীয় বাজেটের স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় কমানোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর ও প্রয়োজনীয় এ বই।
উন্নততর বিশেষ মানুষ তথা অবিরাম সাফল্যের আলোকিত জাতি গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রয়োজন কিছু মানবিক ও আত্মিক গুণ। যেমন সহজ-সরল ও স্বাভাবিক থাকা, যুক্তিভিত্তিক ও ন্যায়ভিত্তিক আচার-আচরণ করা, ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতার চর্চা, ক্ষমাশীল ও ধৈর্যশীল হওয়া, সময়-সুযোগ ও স্থানের সদ্ব্যবহার, আত্মঅনুসন্ধান ও আত্মউপলব্ধি, সততার লালন ও চর্চা, দায়িত্বশীল হওয়া এবং দেনা ও দায়মুক্ত থাকা, গণতন্ত্রের অনুশীলন এবং অন্যের অধিকারের প্রতি সচেতন থাকা, নীতি-আদর্শ ও ধর্মকর্ম পালন ইত্যাদি। এ দর্শনগুলো ধারণ ও লালনের উপায় নিয়ে রচিত এ বই। এর মাধ্যমে যেকোনো মানুষ তার ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক জীবনে ইতিবাচক চিন্তা-চেতনার উন্মেষ ঘটিয়ে নিজকে উন্নততর বিশেষ মানুষরূপে গড়ে তুলতে পারে।
এটি এমনই এক গ্রন্থ, যাতে লেখক অত্যন্ত সহজভাবে কিছু পদ্ধতি ও কৌশল উপস্থাপন করেছেন যার মাধ্যমে সাধারণরা নিজকে উন্নততর মানুষরূপে তৈরি ও বিকাশের মাধ্যমে সৃজনশীল ও সফল করতে পারে; এমনকি শিশু-কিশোরদেরকে অসীম সাহসী ও বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্বের রাষ্ট্রনায়কোচিত নেতারূপে গড়ে তুলতে পারে। দেশ ও জাতির সকল অন্ধকার দূরীকরণে এবং চৌকস, দেশপ্রেমী, উচ্ছল-উজ্জ্বল-আলোকিত জাতি গঠনে এ বই অত্যন্ত ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখবে। দেশের চেয়ে ব্যক্তিস্বার্থকে গুরুত্ব দেয়ার কারণে যে বিশৃঙ্খলা ও অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছে, তা কাটিয়ে ওঠার সুনিপুণ কৌশলও দেখানো হয়েছে এ বইয়ে; অঙ্ক কষে দেখানো হয়েছে ব্যক্তিগত-পারিবারিক-সামাজিক ও জাতীয় সকল সমস্যার দীর্ঘমেয়াদি নিশ্চিত সমাধান।
মেডিটেশন একটি সাধন পদ্ধতি; নিজের ভেতরের শক্তি কাজে লাগানোর জাদুকরী গুণ। মনের অসীম শক্তিকে ব্যবহার করে নিরাময়, সুস্বাস্থ্য, সাফল্য, অর্থবিত্ত, বিদ্যা-বুদ্ধি, যশ-খ্যাতি ও সর্বক্ষমতা অর্জনের বিজ্ঞানসম্মত মাধ্যম হচ্ছে ধ্যান বা মেডিটেশন। মানসিক প্রশান্তি ও চাপমুক্ত জীবনের জন্য মেডিটেশনের ভূমিকা এখন বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। শুধু তাই নয়, মেডিটেশনের মাধ্যমে আত্মবিশ্বাস ও মানবিক গুণাবলি এবং ইতিবাচক ও কল্যাণ মানসিকতা অর্জন ও পরিচালন খুবই সহজ। এরূপ সহজভাবে নিয়মিত ধ্যানের মাধ্যমে সর্বক্ষেত্রে সাফল্য লাভের উপায় নিয়ে এ বই। আরো রয়েছে অটোসাজেশন, রেইকি, ইয়োগা নিয়ে সহজ আলোচনা। লেখক, গবেষক, সাংবাদিক ও সমাজ সংস্কারক ড. এম হেলাল এর নিজস্ব চিন্তা ও গবেষণাপ্রসূত লেখা নিয়ে এ বইটি।
ব্যক্তিগত, সামাজিক ও জাতীয় উন্নয়নমূলক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিশ্লেষণধর্মী গ্রন্থ এটি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করে এবং বাংলাদেশের ৬৪ জেলা বার বার চষে বেড়িয়ে লেখকের উপলব্ধিতে এসেছে যে বিশ্ব এগুচ্ছে দ্রুত গতিতে অত্যাধুনিকতার দিকে, আর বাংলাদেশ ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছে হতাশা ও অনিশ্চয়তার অমানিশায়; অর্থাৎ বিশ্ব যেখানে এগিয়ে, আমরা সেখানে পিছিয়ে। স্বদেশ ও বিদেশ ভ্রমণের এরূপ নিবিড় পর্যবেক্ষণের নানা চিত্র পর্যালোচনার মাধ্যমে নতুন এক বিশ্বের সন্ধান দেয়া হয়েছে এ গ্রন্থে; রয়েছে বিদ্যমান সমস্যা থেকে উত্তরণের নানামুখী দিকনির্দেশনা। বিদেশ ভ্রমণে একজন লেখকের পর্যবেক্ষণ ও অভিজ্ঞতার ব্যতিক্রমী এ উপস্থাপন পাঠকের চিন্তায় উদ্দীপনা জুগিয়ে স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করবে বলে বিশ্বাস।
বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির উন্নয়নের পাশাপাশি অত্যাধুনিক বিশ্ব প্রতিষ্ঠার বিভিন্ন ধ্যান-ধারণা ও দর্শন সম্বলিত বই এটি। এতে রয়েছে দেশ ও জাতিগত নানামুখী সমস্যা চিহ্নিতকরণের পাশাপাশি এসবের সহজ সমাধান ও উন্নয়ন সম্ভাবনার আধুনিক ও বিজ্ঞানভিত্তিক দিকনির্দেশনা। দ্রুত ধাবমান বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হলে জাতীয় পর্যায়ে মৌলিক কিছু বিষয়ের উন্নয়ন অত্যাবশ্যক, সে পর্যালোচনাও রয়েছে এ গ্রন্থে; যা আলোকিত সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে অত্যাধুনিক বাংলাদেশ গড়ায় সহায়ক হবে। উন্নয়ন ও আধুনিক জীবন দর্শনের কঠিন বিষয়ের সহজ-সরল উপস্থাপনা রয়েছে এ বইয়ে। আছে আইন, বিচার, গণতন্ত্র, মানবতা ও মানুষের অধিকার সংক্রান্ত মৌলিক বিষয়াদিতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অবস্থার গঠনমূলক বিশ্লেষণ।
প্রেম-ভালোবাসার কারণে সৃষ্ট ব্যক্তিগত হতাশা থেকে শুরু করে সামাজিক অবক্ষয় দূরীকরণে প্রয়োজন আত্মানুসন্ধান, আত্মোপলব্ধি ও আত্মসৃষ্টি। এসবের মধ্য দিয়ে প্রেম-ভালোবাসার উৎপাদনী কারখানারূপে নিজেকে গড়ে তুলে অন্যের কাছে অধিক আকর্ষণীয় ও মোহনীয় করে তোলার পদ্ধতি ও কলাকৌশল দেখানো হয়েছে এ গ্রন্থে। আরও রয়েছে সামাজিক অবক্ষয় ও পশ্চাৎপদতা দূরীকরণের উপায়। কারণ প্রেম-ভালোবাসার ন্যায় অমিয় সুন্দর অনুভবের সর্বোত্তম ব্যবহারই নিশ্চিত করে ব্যক্তি ও সমাজ জীবনের অনাবিল সুখ ও সমৃদ্ধি। ছাত্র-যুব সমাজের আত্মিক ও মানসিক উন্নয়নে এবং জাতীয় পর্যায়ে মানবিক মূল্যবোধের উজ্জীবনে তথা জনমনে সুখ-শান্তি আনয়নে এ বই অত্যন্ত সহায়ক হবে।
অত্যাধুনিকতার এ যুগে বিশ্ব-অগ্রগতির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে প্রয়োজন স্মার্টনেস। কারণ স্মার্ট নেতৃত্বই এগিয়ে নিতে পারে দেশ ও জাতিকে। তাই ছোটবেলা থেকে শিশুর কথাবার্তা, আচার-আচরণ, চিন্তা-চেতনা সবকিছুতে স্মার্টনেসের চর্চা হওয়া দরকার। স্মার্টনেস মানে ভিনদেশী সংস্কৃতির অনুসরণ নয়; বরং নিজস্ব ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সাথে বিজ্ঞান ও আধুনিকতার সমন্বয় ঘটিয়ে সৃজনশীল, সঠিক ও পরিমিত হওয়াই প্রকৃত স্মার্টনেস। শিশুকে সৃজনশীল ও স্মার্ট করে গড়ে তুলতে হলে দরকার যথোপযুক্ত শিক্ষা ও ভালো কাজের অনুশীলন, যার চর্চা পরিবার থেকেই শুরু করতে হবে। কারণ পরিবারেই শিশুর প্রাথমিক শিক্ষার শুরু। এ বইয়ের লেখাগুলোর মাধ্যমে একটি শিশু এবং তার পরিবার সহজেই বুঝতে পারবে স্মার্টনেস চর্চার নানান উপায়।
বড় হওয়ার প্রথম শর্ত স্বপ্ন দেখা। বড় বড় স্বপ্ন দেখতে দেখতেই একদিন বড় কিছু হওয়া যায়। একটি শিশুকে এরূপ স্বপ্ন দেখতে শেখানো এবং স্বাধীনভাবে তার মতামত প্রকাশের চর্চা পরিবার থেকেই শুরু হওয়া উচিত। কারণ পরিবারই শিশুর প্রাথমিক শিক্ষালয়। শিশু-মনের সেরূপ নানা কথা, অভিজ্ঞতা ও স্বপ্ন নিয়ে রচিত বই ‘চলো অনেক বড় হই’। পারিবারিক ও সামাজিক বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে একটি শিশুর মনোভাব ও মতামত ফুটে উঠেছে এ বইয়ে। উন্নততর মানুষ তথা প্রতিভাবান ও সৃজনশীল বিশেষ মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য সহায়ক বিভিন্ন টেকনিক রয়েছে এতে, যা শিশুদের আত্মউন্নয়নসহ নানা উপকারে আসবে এবং দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গঠনে বিশেষ অবদান রাখবে।
শিশুরাই জাতির ভবিষ্যৎ কান্ডারী বিধায় আজকের শিশুর প্রতিভা বিকাশের ওপর নির্ভর করে দেশ ও জাতির উন্নতি ও অগ্রগতি যা নিশ্চিত করা সম্ভব অভিভাবকের দূরদর্শী পরিকল্পনার মাধ্যমে। জন্মের পর থেকে শিশুর আচার-আচরণ, শিক্ষা, সঙ্গ, খাদ্যাভ্যাস, স্বাস্থ্যাভ্যাস, চিন্তা-চেতনা এমনকি জীবনের লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য সবকিছুই হওয়া উচিত সঠিকতা, পরিমিতি, যৌক্তিকতা ও যথার্থতার মধ্য দিয়ে। পারিবারিক, সামাজিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সঠিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমেই গড়ে উঠবে অত্যাধুনিক দেশের সুযোগ্য নাগরিক। তাই চৌকস, দেশপ্রেমী, কর্মোদ্যমী, উচ্ছল-উজ্জ্বল-আলোকিত জাতি গঠনের লক্ষ্যে শিশু-কিশোরদের মেধা ও সৃজনশীলতার বিকাশে গবেষণামূলক কিছু টিপস নিয়ে রচিত এ বই।
অসাধারণ ও ব্যতিক্রমী চিন্তার অধিকারী ড. এম হেলাল একজন লেখক, গবেষক ও সমাজ সংগঠক; মানবতা-সততা- ন্যায়বিচার এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সমৃদ্ধি সম্পর্কে যাঁর রয়েছে ব্যতিক্রমী চিন্তা, অসাধারণ জ্ঞান ও দূরদৃষ্টি। চিন্তাশক্তির উন্নয়ন ও উজ্জীবনের মাধ্যমে উন্নততর বিশেষ মানুষ গড়ে তুলতে এবং সমৃদ্ধ ও আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে তাঁর লেখা বিভিন্ন গ্রন্থ পাঠকের চিন্তার খোরাক যুগিয়ে চলেছে। তাঁর রচিত এরূপ বিভিন্ন বই ও লেখা থেকে বিশেষ কিছু উদ্ধৃতি নিয়ে এ বুকলেট। এসব উদ্ধৃতি সহজেই শিক্ষার্থী ও অনুসন্ধিৎসুদের নানা কাজে আসবে এবং আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে বাস্তব দিকনির্দেশনা যোগাবে বলে বিশ্বাস।
‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানী সমস্যা, যানজট, বেকারত্ব, দুর্যোগ, দারিদ্র্যসহ জাতীয় সকল সমস্যার স্থায়ী সমাধানঃ বাংলাদেশে ইউনিয়নভিত্তিক উন্নয়নের অত্যাধুনিক মডেল’ শীর্ষক গবেষণা-নিবন্ধে এম হেলাল দেশের সার্বিক ও সমন্বিত উন্নয়নের এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছেন। দেশ ও জাতির উন্নয়নে তাঁর সুদীর্ঘ চিন্তার ফসল এ মডেল। এতে প্রতিফলিত হয়েছে বাংলাদেশের বৈপ্লবিক উন্নয়নের বিজ্ঞানসম্মত পরিকল্পনা; যার মাধ্যমে দেশ ও জাতিগত উন্নয়ন-চিন্তার যুগান্তকারী রূপরেখা দেয়া হয়েছে। দেশ ও জাতির আধুনিকায়নে এখন দরকার সমন্বিত উন্নয়ন পরিকল্পনা। দেশের সামগ্রিক স্থায়ী উন্নয়ন, সকল শ্রেণির মানুষের কল্যাণ ও মানবিক চেতনায় উজ্জীবনের ক্ষেত্রে সকল প্রতিবন্ধকতা কাটাতে এ মডেল বাস্তবায়ন এখনই জরুরি।
দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি অর্জনে এম হেলালের সুদীর্ঘ চিন্তার ফসল এলাকাভিত্তিক স্কুলিং মডেল। ‘দুর্বিষহ যানজট, অর্থ-শ্রম ও সময়ের অপচয়, মৌলিক শিক্ষায় ত্রুটি, ড্রপআউট ও শ্রেণিবৈষম্যসহ জাতীয় বহু সমস্যার একক সমাধানকল্পে প্রণয়ন করা হয়েছে এ মডেল। প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় মৌলিক পরিবর্তনের মাধ্যমে সৃজনশীল ও প্রতিভাবান শিক্ষার্থী এবং মেধাবী জাতি গড়ার সহজ ও বৈজ্ঞানিক রূপকল্প হচ্ছে এ মডেল। শিক্ষাকে সুলভ, সহজলভ্য ও আধুনিকায়নের প্রয়াসে প্রণীত এ মডেল বাস্তবায়িত হলে জাতীয় বহু সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে অনায়াসে। এলাকাভিত্তিক স্কুলিংয়ের মাধ্যমে পরিকল্পিতভাবে বেড়ে ওঠা মেধাবী ছাত্র ও দক্ষ নাগরিকরাই পরিণত হবে প্রতিভাময় ও আলোকিত জাতিতে এবং বদলে দেবে সমাজ, দেশ এবং সমগ্র বিশ্ব।
সমাজ সেবামূলক, স্বেচ্ছাসেবী ও প্রগতিশীল প্রতিষ্ঠান ক্যাম্পাস সমাজ উন্নয়ন কেন্দ্র, যেখানে ভিন্ন ভিন্ন পরিবেশ থেকে এসেও বিভিন্নমনা কর্মীরা ক্যাম্পাস’র পরিবেশ ও পরিচালনার গুণে সবাই হয়ে ওঠে একইরকম। তাই ক্যাম্পাস স্টাফরা সবাই মিলেই ক্যাম্পাস পরিবার। ক্যাম্পাস’র উদ্ভাবনী বিভিন্ন শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন মানুষের অভিন্ন হয়ে ওঠার গল্প নিয়ে এ বই; যাতে ফুটে উঠেছে একজন পরিপূর্ণ মানুষ গড়ে তুলতে ক্যাম্পাস কীভাবে অনন্য ভূমিকা রেখে চলেছে তার বিভিন্ন দিক। মানব জীবনের সর্ব বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিয়ে চলেছে ক্যাম্পাস। জীবন চলার বহু দিক ও দর্শনের বর্ণনায় রচিত এ বই সাধারণ পাঠককেও বাস্তব জীবনের বিভিন্ন অনুষঙ্গ সম্পর্কে সঠিক নির্দেশনা দিতে সহায়ক।
স্বাস্থ্যসম্মত, প্রাকৃতিক ও স্বাভাবিক জীবনযাপন করলে নিরোগ ও দীর্ঘ জীবনের অধিকারী হওয়া যায়; আর এরূপ নাগরিকদের নিয়ে সুস্থ-সবল-প্রতিভাবান-কর্মঠ জাতি গড়ে তোলা খুবই সহজ। তাই প্রাকৃতিক চর্চা ও স্বচিকিৎসার বিভিন্ন কৌশল অবলম্বনে মানুষের সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু লাভকে আরও সহজ ও সুনিশ্চিত করতে ক্যাম্পাস প্রকাশ করে উন্নত স্বাস্থ্যচর্চা ও চিকিৎসা এবং শতবর্ষী হবার উপায় শীর্ষক বই। সুস্থ দেহ ও মননের উন্নততর বিশেষ মানুষ হবার জন্য এ বইটিকে বিজ্ঞানসম্মত ও সহজ-সরল গাইড বললে অত্যুক্তি হবে না। এ বইয়ের বিভিন্ন বিষয়, তথ্য, উপাত্ত সবই বিভিন্ন পত্রিকা, বই, জার্নাল, ইন্টারনেট অবলম্বনে সংগৃহীত। দৈহিক ও মানসিক সুস্থতা রক্ষার মাধ্যমে জাতীয় স্বাস্থ্য উন্নয়ন এবং এর ফলশ্রুতিতে জাতীয় বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় কমানোর ক্ষেত্রে এ বইটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্বাস।
বইটির ক্ষুদে লেখক মাস্টার ওয়াসির ঢাকার সহজপাঠ নামক ব্যতিক্রমী স্কুলের ৫ম শ্রেণির ছাত্র। তার বাল্যবয়সে তথা ১ম শ্রেণিতে পড়াকালীনই সে তার মা কর্তৃক নির্মমভাবে পরিবার ভাঙ্গনের শিকার হয়। বাবাভক্ত শিশু-ওয়াসির বাবাশূন্য হয়ে পড়ে। বাবার প্রাত্যহিক আদর-যত্ন, মায়া-ভালোবাসা বিশেষত মধ্যরাত অবধি বাবার কোলে চড়ে বাবার কাঁধে মাথা রেখে ঘুম পাড়ানিয়া নানা গল্প-গান, দুষ্টুমি...; সবকিছুর ছন্দপতন ঘটে যায় তার শিশু-জীবনেই। অবোধ শিশুর বোবাকান্না থামাতে বিশেষত মা’র অমনুষ্যচিত পরিবার-ভাঙ্গন নিষ্ঠুরতায় শিশু-হৃদয়ের ভাঙ্গন-ব্যথা কমাতে বাবা নিজে চরম অসহায় এবং উদ্বাস্তু অবস্থায় থেকেও ওয়াসিরকে বাড়তি সঙ্গ-সময় দিতে থাকেন; যাতে ওয়াসির’র মনে মা’র পরিবার ভাঙ্গনের বিষয় কিংবা পিতৃস্নেহে ঘাটতির বিষয় তার সুকোমল শিশু-মনের ওপর তেমন রেখাপাত করতে না পারে। এরূপ বিভিন্ন কার্যসূচির কয়েকটি ভ্রমণের ওপর ওয়াসির’র লেখা এ বই।
সমাজ সেবামূলক প্রগতিশীল প্রতিষ্ঠান ক্যাম্পাস; শুধু পত্রিকারূপে যাত্রা শুরু করলেও সময়ের দাবিতে ছাত্র-যুব ও সমাজ উন্নয়নে প্রসারিত হয় এর কর্মপরিধি; প্রতিষ্ঠিত হয় ক্যাম্পাস সমাজ উন্নয়ন কেন্দ্র। ১৯৮৪ সাল থেকে ২০১৫ -এই সুদীর্ঘ যাত্রায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের স্বনামধন্য ব্যক্তিত্বগণ ক্যাম্পাস অফিস পরিদর্শন করেছেন, পর্যবেক্ষণ করেছেন ক্যাম্পাস কার্যক্রম। ক্যাম্পাস’র ব্যতিক্রমী ও সৃজনশীল কার্যক্রম সম্পর্কে অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন তাঁদের বক্তৃতায় কিংবা সাক্ষাৎকারে; উৎসাহব্যঞ্জক নানা মন্তব্য লিখেছেন ক্যাম্পাস’র ভিজিটরস বইয়ে। গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বদের আশাজাগানিয়া ও উজ্জীবনী মন্তব্য ক্যাম্পাস’র সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য বাস্তবায়নে প্রেরণাদায়ক। গুণীজনদের সেইসব আশা জাগানিয়া মন্তব্যের সমাহারে এ প্রকাশনা, যা ঐতিহাসিক সংকলন হিসেবেও বিবেচ্য।
সমাজ সেবামূলক প্রতিষ্ঠান ক্যাম্পাস সমাজ উন্নয়ন কেন্দ্র এর মাতৃসংগঠন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পত্রিকা। পত্রিকারূপে যাত্রা শুরু করলেও সময়ের দাবিতে ছাত্র-যুব ও সমাজ উন্নয়নে প্রসারিত হয় এর কর্মপরিধি; প্রতিষ্ঠিত হয় ক্যাম্পাস সমাজ উন্নয়ন কেন্দ্র। ২০২০ সালের মধ্যে কল্যাণ-রাষ্ট্র ব্যবস্থার আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে ক্যাম্পাস’র পরিসর বাড়ছে প্রতিনিয়ত; যুক্ত হচ্ছে মাল্টিডায়মেনশনাল কর্মসূচি। দেশ উন্নয়ন ও জাতি জাগরণে ক্যাম্পাস কার্যক্রমের এরূপ বর্তমান ও আগামী নিয়ে এ বই। এতে রয়েছে ক্যাম্পাস’র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য, পটভূমি ও ইতিহাস, বর্তমান কার্যক্রম, আগামীর পরিকল্পনা, ক্যাম্পাস স্টাডি সেন্টার নির্মাণ উদ্যোগ, গুণীজনদের মন্তব্য, ক্যাম্পাস’র প্রকাশিত বই সংক্ষেপ, ক্যাম্পাস থীম সং, ক্যাম্পাস’র দর্শনসহ আরও অনেক কিছু। এ বইটি একই কভারে বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় মুদ্রিত।