শিক্ষাঙ্গনে জঙ্গিবাদী তৎপরতা মোকাবিলায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সাত দফা নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্দেশনায় সহশিক্ষা কার্যক্রম জোরদার, অভিভাবক সমাবেশ আয়োজন, প্রাত্যহিক সমাবেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী কাউন্সেলিং, জঙ্গিবাদ ও মাদকবিরোধী বিলবোর্ড স্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
শিক্ষাসচিব মোঃ সোহরাব হোসাইন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌক্তিক কারণ ছাড়া কোনো শিক্ষার্থী দুই সপ্তাহের বেশি সময় অনুপস্থিত থাকলে তার ব্যাপারে বিস্তারিত খোঁজখবর নিতে হবে। নিয়মিত জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয়সংগীত পরিবেশন নিশ্চিত করাসহ প্রাত্যহিক সমাবেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী কাউন্সেলিং করার উদ্যোগ নিতে হবে। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদবিরোধী অ্যাডভোকেসি নিয়মিতভাবে করার উদ্যোগ নিতে হবে।
সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক প্রভৃতি প্রতিরোধের লক্ষ্যে স্ট্যান্ডার্ড ফর্মে অভিভাবক, ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষকদের করণীয় বিষয় নির্ধারণ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দৃশ্যমান স্থানে বিলবোর্ড আকারে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে আদর্শিকভাবে মোকাবিলার জন্য কর্মকৌশল প্রণয়ন ও কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। নিয়মিত ও বাধ্যতামূলকভাবে সাংস্কৃতিক কর্মকা-, খেলাধুলা, স্কাউটিং ও সৃজনশীল কর্মকা-ভিত্তিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে হবে। নিয়মিত অভিভাবক-শিক্ষক-ছাত্রছাত্রী সমাবেশ আয়োজন করতে হবে।
মাদ্রাসা ও ইংরেজি মাধ্যম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাক্রমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও দেশাত্মবোধ সৃষ্টির বিষয় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদে উৎসাহিত হওয়ার মতো কোনো বিষয় যাতে না থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষাক্রমে মানবিকতাবোধ সৃষ্টির উপাদান সংযুক্ত করাসহ শিক্ষার বিভিন্ন ধারাকে যতদূর সম্ভব একীভূত করার উদ্যোগ নিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অভ্যন্তরীণ আদেশ জারি করেছে। নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করতে মন্ত্রণালয়ের অধিশাখাগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।