নতুন অর্থবছরে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য দুই হাজার ১৭৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। সম্প্রতি ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে কমিশনের ১৪১তম পূর্ণ কমিশন সভায় এ বাজেট অনুমোদন করা হয়।
কমিশনের সভায় নতুন বাজেট অনুমোদন ছাড়াও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য ২০১৪-১৫ অর্থবছরের সংশোধিত দুই হাজার ৫৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের ২০১৫-১৬ অর্থবছরের ব্যয় নির্বাহের জন্য মূল বাজেটে ২৪ কোটি এক লাখ টাকা এবং ২০১৪-১৫ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে ২১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা বাজেট অনুমোদন করা হয়। সভায় ইউজিসি চেয়ারম্যান ছাড়া উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান, পরিকল্পনা কমিশনের (আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো) সদস্য হুমায়ুন খালিদ, ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ মোহাব্বত খান, অধ্যাপক ড. মোঃ আবুল হাশেম, অধ্যাপক ড. মোঃ আখতার হোসেন, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউসুফ আলী মোল্লা, অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে এম নূর-উন-নবী, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিকুল আলম বেগ, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. গোলাম শাহী আলম, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অধ্যাপক ড. এস এম ইমামুল হক, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর, ইউজিসি সচিব ড. মোঃ খালেদ প্রমুখ।
ঢাবি’র ৪২৫ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার বাজেট
গবেষণাখাতে মাত্র এক শতাংশ বরাদ্দ রেখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ সালের জন্য ৪২৫ কোটি ৫০ লাখ টাকার বাজেট পাস হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সিনেট অধিবেশনে সিনেট সদস্যবৃন্দের সম্মতিক্রমে প্রস্তাবিত এই বাজেটের অনুমোদন হয়। গত বছরের তুলনায় বরাদ্দ কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও প্রস্তাবিত এই বাজেটে গবেষণা খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে মাত্র ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা, যা অনুন্নয়ন বাজেটের মাত্র ১ শতাংশ। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এই খাতে বরাদ্দ ছিল তিন কোটি ৭২ লাখ টাকা।
সিনেট অধিবেশনে উপাচার্যের বক্তব্যের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোঃ কামাল উদ্দীন প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন করেন।
এতে দেখা যায়, বাজেটের ৮৭.২৩ শতাংশ অর্থই আসবে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের বরাদ্দ থেকে অর্থাৎ সরাসরি সরকারি কোষাগার থেকে আসবে ৩৭১ কোটি ১৫ লাখ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় থেকে আসবে ৩৯ কোটি টাকা, যা মোট খরচের ৯ শতাংশ। এরপরও ঘাটতি থেকে যাবে ১৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।
বাজেট অধিবেশনের আলোচনা পর্বে সিনেট সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা ও প্রস্তাবিত বাজেট সম্পর্কে তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন। এ সময় তারা শিক্ষকদের বেতন কাঠামো প্রয়োজনীয় সংশোধন করে পুনঃনির্ধারণ করার দাবি জানান।
সিনেট সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, সম্প্রতি ড. ফরাস উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন ১৭ সদস্য বিশিষ্ট বেতন ও চাকরি কমিশন-২০১৩-এর সুপারিশের ওপর পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট সচিব কমিটি অর্থমন্ত্রীর নিকট যে সুপারিশপত্র জমা দিয়েছেন তাতে শিক্ষকদের চরমভাবে অবমাননা করা হয়েছে।
চবি’র ১৭৫ কোটি টাকার বাজেট
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জন্য ১৭৫ কোটি ৬০ লাখ টাকার প্রাক্কলিত বাজেট অনুমোদন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স কমিটি ও সিন্ডিকেট। সম্প্রতি ফাইন্যান্স কমিটি ও সিন্ডিকেটের ৫১তম যৌথ সভায় এর অনুমোদন দেয়া হয়। একই সভায় ২০১৪-১৫ অর্থবছরের জন্য ১৭৩ কোটি টাকার সংশোধিত বাজেটও অনুমোদন লাভ করে।
সভায় এফসি ও সিন্ডিকেট সদস্যবৃন্দ বাজেটের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন এবং দেশে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা উন্নয়নে একটি সময়োপযোগী আধুনিক ধ্যান-ধারণা সংবলিত বাজেট পেশ করায় আলোচকবৃন্দ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। সভায় চবি হিসাব নিয়ামক (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ ফরিদুল আলম চৌধুরী বাজেট উপস্থাপন করেন এবং তা আগামী সিনেট সভায় পেশ করার জন্য অনুমোদন করা হয়।
জাবি সিনেটে ১১৯ কোটি টাকার বাজেট পাস
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের ৩৪তম বার্ষিক অধিবেশনে ২০১৫-২০১৬ অর্থ-বছরের জন্য ১১৯ কোটি টাকার মূল বাজেট পাস হয়েছে।
২৭ জুন উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের সভাপতিত্বে অধিবেশনে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আবুল খায়ের বাজেট উপস্থাপন করলে সিনেট সদস্যগণ অনুমোদন করেন।
অধিবেশনে সভাপতির ভাষণে উপাচার্য বলেন, পাঠ্যসূচির পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মনে পাঠ্যসূচি-বহির্ভূত শিক্ষার প্রতিও আগ্রহ থাকাটা বাঞ্ছনীয়। শিক্ষার্থীদের শিক্ষাদানের পিছনে জাতির বিনিয়োগ অনেক, তাই তাদের প্রতি মানুষের প্রত্যাশাও অপরিসীম। এজন্য শিক্ষার্থীদের অর্জিত মেধা-উৎকর্ষের সর্বোত্তম ব্যবহার জাতির কল্যাণেই হওয়া উচিত।
শিক্ষা-গবেষণায় সরকারকে অর্থ বরাদ্দ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে উপাচার্য বলেন, বর্তমানে শিক্ষা-গবেষণায় বাস্তব অর্থেই বরাদ্দ ও বিনিয়োগ খুব কম। অবিলম্বে বরাদ্দ ও বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি করা না হলে দেশের উচ্চশিক্ষা স্থবিরতার মুখোমুখি হবার সম্ভাবনা প্রবল।
অধিবেশনে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আবুল খায়ের ২০১৪-২০১৫ অর্থ-বছরের ১১৪ কোটি ৯০ লাখ টাকার সংশোধিত বাজেট এবং ২০১৫-২০১৬ অর্থ-বছরের জন্য ১১৯ কোটি টাকার মূল বাজেট পেশ করেন এবং তা সিনেট সদস্যগণ অনুমোদন করেন।
বাকৃবি’র ১৭০ কোটি ৫ লক্ষ টাকার বাজেট
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরের জন্য ১৭০ কোটি ৫ লক্ষ টাকার বাজেট অনুমোদন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ২০১৫-২০১৬ অর্থ বর্ষের জন্য প্রণীত ১৮২ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা চাহিদার বিপরীতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক ১৭০ কোটি ৫ লক্ষ টাকার সিলিং নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে।
২৩ জুন ফিন্যান্স কমিটির সভার প্রদত্ত সুপারিশানুযায়ী সিন্ডিকেটের ৩০৬তম অধিবেশনে (২৯ জুন অনুষ্ঠিত) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরের জন্য এই বাজেট অনুমোদন করা হয় ।
২০১৫-২০১৬ অর্থ বর্ষের রিকাস্ট বাজেটে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক সরকারী অনুদান হিসাবে ১,৬২৫৫.০০ লক্ষ টাকা, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব সূত্র থেকে আয় হিসাবে ৭৫০.০০ লক্ষ টাকাসহ সর্বমোট আয় হিসাবে ধার্য করা করা হয়েছে ১৭০০৫.০০ লক্ষ টাকা।
নবনিযুক্ত ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ আলী আকবরের সভাপতিত্বে ২৩ জুন অনুষ্ঠিত ফিন্যান্স কমিটির সভায় এবং ২৯ জুন অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ রাকিব উদ্দিন ২০১৫-২০১৬ অর্থ বর্ষের মূল রিকাস্ট বাজেট এবং ২০১৪-২০১৫ অর্থ বর্ষের সংশোধিত রিকাস্ট বাজেট উপস্থাপন করেন।
ইবি’র ৬৫ কোটি টাকার বাজেট
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৬৫ দশমিক ২০ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। ৩০ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে ফিন্যান্স কমিটির সভায় এ বাজেট ঘোষণা করা হয়।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম সরকারের কাছে বাজেট হস্তান্তর করেন ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আফজাল হোসেন।
এবার মোট বাজেটের ৫৭ দশমিক ৭০ কোটি টাকা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন অনুমোদন দিয়েছে এবং বাকি ৭ দশমিক ৫০ কোটি টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে, এ বাজেটে মঞ্জুরি কমিশন ইবি’র গবেষণা খাতে কোনো বরাদ্দ দেয়নি বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
হাবিপ্রবিতে ৩৯ কোটি ৩২ লক্ষ টাকার বাজেট অনুমোদন
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫তম রিজেন্ট বোর্ডের সভা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর মোঃ রুহুল আমিন এর সভাপতিত্বে ভাইস-চ্যান্সেলর এর বাসভবনস্থ সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের জন্য ৩৯ কোটি ৩২ লক্ষ টাকার বাজেট অনুমোদন, তিন গবেষককে পি.এইচ.ডি ডিগ্রি প্রদানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এবারের বাজেটে বিশ্ববিদ্যালয় মজ্ঞুরী কমিশন সরকারি অনুদান হিসেবে ৩৪ কোটি ২০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। বাকি ৫ কোটি ১২ লক্ষ টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব সূত্র থেকে আয় ধার্য্য করা হয়েছে।
বুয়েটে ১০৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার বাজেট
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি (বুয়েট) ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরের জন্য মোট ১০৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানা যায়।
বাজেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় থেকে ৬.৭০ কোটি এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে ১০২.১০ কোটি টাকা সরবরাহ করা হবে।
বাজেটের ৮২ কোটি টাকা ব্যয় হবে বেতন-ভাতা ও পেনশনে, ১৩ কোটি টাকা সাধারণ ও আনুষঙ্গিক ব্যয়, শিক্ষা ও গবেষণায় ৮.৭০ কোটি এবং রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কার কাজে ৫.১০ কোটি টাকা।
কুয়েট’র ৩৭ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকার রাজস্ব বাজেট অনুমোদন
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের জন্য ৩৭ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকার মূল রাজস্ব বাজেট অনুমোদন করা হয়েছে। ২৭ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের বাজেট ছাড়াও ২০১৪-১৫ অর্থ বছরের জন্য ৩৬ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকার সংশোধিত বাজেটও অনুমোদিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর ও সিন্ডিকেট এর সভাপতি প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর। ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের মূল বাজেট ৩৭ কোটি ৫৫ লক্ষ টাকার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের মাধ্যমে সরকারি অনুদানের সম্ভাব্য পরিমাণ ৩৪ কোটি ৮৫ লক্ষ টাকা, নিজস্ব সূত্র হতে আয় ২ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা।
সিভাসু’র ১৮ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরের জন্য ১৮ কোটি ১০ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ২৫ জুন উপাচার্য অফিসে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ৩০তম অধিবেশনে এ অনুমোদন দেয়া হয়। এ সময় ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরের ১৬ কোটি ৪০ লাখ টাকার সংশোধিত বাজেটও অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সিন্ডিকেট অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম ব্দ্ধু দাশ। ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ কোটি ২০ লাখ টাকার চাহিদার বিপরীতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক ১৭ কোটি ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া যায়।
কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার বাজেট
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৪-১৫ অর্থবছরের সংশোধিত এবং ২০১৫-১৬ অর্থবছরের মূল বাজেট ১৭ জুন উপাচার্য মহোদয়ের সভাকক্ষে উপস্থাপন করা হয়। বাজেট সভায় সভাপতি হিসেবে উপস্থিত থেকে সভা পরিচালনা করেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহীত উল আলম। বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য রাজস্ব খাতে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ১৭ কোটি ২৫ লক্ষ টাকার সংশোধিত এবং ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জন্য ১৮ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার মূল বাজেট পেশ করা হয়।
২০১৫-১৬ অর্থবছরের বেতন ভাতাদি খাতে ৯ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা, সাধারণ আনুষঙ্গিক খাতে ৩ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা, শিক্ষা আনুষঙ্গিক খাতে ২ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা, মেরামত ও সংরক্ষণ খাতে ৮০ লক্ষ টাকা ব্যয়ের বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৪৯ কোটি ৪২ লাখ টাকার বাজেট
সম্প্রতি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সিনেট অধিবেশনে ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরের বাজেট পেশ করা হয়েছে। এতে ৭ কোটি ৬৫ লাখ ৮৬ হাজার টাকার উদ্বৃত্তসহ ৩৪৯ কোটি ৪২ লাখ ৪০ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়। এই বাজেট পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গত বছরের চেয়ে এবার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৩৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা বেশি ধরা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে ভিসি অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদের সভাপতিত্বে এই অধিবেশন শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক নোমান-উর-রশীদ বাজেট পেশ করেন।
এতে অনুন্নয়ন বাজেটে আসন্ন বছরে ১৮৯ কোটি ১১ লাখ ৭৬ হাজার টাকা আয় ধরা হয়েছে। আর ব্যয় ১৮১ কোটি ৪৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
অধিবেশনে এছাড়াও ১৬৭ কোটি ৯৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার উন্নয়ন বাজেটও ঘোষণা করা হয়। উন্নয়ন বাজেটের গোটা অর্থই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনিয়োগ, উদ্বৃত্ত এবং রিজার্ভ তহবিলের অনুদান থেকে সংস্থান করা হবে। অর্থাৎ, এই খাতে কোনো ঘাটতি নেই। সেই হিসাবে অনুন্নয়ন এবং উন্নয়ন এই দুইয়ে মিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন বছরের বাজেট দাঁড়ায় ৩৪৯ কোটি ৪২ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
অধিবেশনে উপস্থাপিত বাজেটে দেখা যায়, গেল বছর ৯ কোটি ৭২ লাখ ৬৪ হাজার টাকার উদ্বৃত্ত বাজেট ঘোষণা করা হলেও সংশোধিত বাজেটে ১৭ কোটি ৬৮ লাখ ৭২ হাজার টাকা উদ্বৃত হয়েছে। এই সময়ে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭৮ কোটি ৫০ লাখ ৫২ হাজার টাকা।
তবে বছর শেষে আয় পাওয়া গেছে ১৫৩ কোটি ৯২ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। আর ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৬৮ কোটি ৭৭ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। কিন্তু বছর শেষে ব্যয় হয়েছে ১৩৬ কোটি ২৩ লাখ ৯৪ হাজার টাকা।
সমাজের সার্বিক অবস্থা প্রত্যক্ষ করলে প্রতিভাবান অনেক ফুটন্ত গোলাপ অঙ্কুরেই ঝরে যেতে দেখা যায়। যথেষ্ট মেধা এবং দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও সঠিক দিক নির্দেশনার অভাবে এখনকার তরুন-তরণীদের অনেকের ক্যারিয়ার হয় অন্ধকারচ্ছন্ন।...
ইউরোপের উচ্চশিক্ষার একটি অবিছেদ্য শর্ত হলো আপনি আর্থিক সাবলম্বী কি না। আপনি আপনার পড়াশুনা চালিয়ে যেতে পারবেন কি না। ভিসা আবেদনের আগে আপনাকে একটা নির্দিষ্ট পরিমান টাকার ব্যাঙ্ক সলভেনসি সার্টিফিকেট ...
প্রতিটি মানুষের জীবনেই কখনো না কখনো খারাপ সময় আসে। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি দাঁড়ায় তখনই, যখন মানুষ ভুল বোঝাবুঝির শিকার হয়, দোষ না করেও হতে হয় দোষী। তখন না যায় কাউকে বোঝানো...