ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপকদের বয়সসীমা নির্দিষ্ট করা হয়েছে। ভবিষ্যতে যাঁদের ইমেরিটাস অধ্যাপকের মর্যাদা দেয়া হবে তাঁরা নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত এ মর্যাদা ও সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন। অতীতে মেয়াদ অথবা বয়সসীমা নির্ধারিত না থাকায় আমৃত্যু সুযোগ-সুবিধা পেতেন ইমেরিটাস অধ্যাপকরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ইমেরিটাস অধ্যাপকদের বয়সসীমা ৭৬ বছর করার এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে বেশিসংখ্যক অধ্যাপককে মর্যাদা দেয়ার জন্য এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। ব্রিটেনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এখন পাঁচ বছরের জন্য ইমেরিটাস অধ্যাপকের মর্যাদা দেয়া হয়।
শিক্ষা কার্যক্রমে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য খ্যাতিমান অধ্যাপকদের চাকরির নির্দিষ্ট বয়সসীমা শেষে ইমেরিটাস অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে। যাঁদের ইমেরিটাস অধ্যাপকের মর্যাদা দেয়া হয় তাঁরা একজন অধ্যাপকের পূর্ণ সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে থাকেন। দেশের পুরনো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে খ্যাতিমান অধ্যাপকদের এ মর্যাদা দেয়ার রীতি আছে। কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ও এ রীতি চালু করেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাকরির বয়সসীমা ৬৫ বছর। এর পরই খ্যাতিমান অধ্যাপকরা ইমেরিটাস অধ্যাপকের মর্যাদা পান। ১৯৯৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত সাতজন ইমেরিটাস অধ্যাপকের মর্যাদা পেয়েছেন। তাঁরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক আবদুল জব্বার, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, শিক্ষা গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সুলতানা সারওয়াত আরা জামান, উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক নাজমা চৌধুরী, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক আবদুল মতিন এবং ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি অ্যান্ড ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী।