বিশেষ খবর



Upcoming Event

সাইফুল-শামসুল আলম এন্ড কোং; চাটার্ড একাউন্টেন্টস এর কৃতকার্য সিএ এবং এসিসিএ উত্তীর্ণদের রিসিপশন প্রোগাম

ক্যাম্পাস ডেস্ক প্রতিবেদন
img

গত ২৪ সেপ্টেম্বর সাইফুল-শামসুল আলম এন্ড কোং; চাটার্ড একান্টেন্টস এর অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় SSAC’s Recognition of student sucess-2016 এর বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান। মোঃ সাইফুল ইসলাম এফসিএ, এফসিএমএ’র সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নর্থ-সাউথ ইউনিভর্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আতিকুল ইসলাম এফসিপিএ, সিএ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্ট অব একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস (AIS) এর চেয়ারম্যান প্রফেসর এম আবদুল হাকিম, ঢাকা ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্ট অব একাউটিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম (AIS) এর শিক্ষক ও সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, ইসলামি ব্যাংকের ইন্ডিপেন্ডেন্ট ডাইরেক্টর মোঃ হুমায়ুন কবির এফসিএ, মাহমুদুল হাসান খসরু এফসিএ, VP (E&T), ICAB প্রমুখ।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যদিয়ে শুরু হয় কৃতকার্য ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। শুরুতে ছাত্রদের পক্ষ থেকে ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড একাউন্টেন্ট অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) এর ছাত্রদের পক্ষে SSAC, CCA পরিচিতি তুলে ধরেন মাজেদ আহমেদ আবদুল্লাহ।
সাইফুল শামসুল আলম এন্ড কোং; চাটার্ড একাউন্টেন্ট ফার্ম ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৩ সালে স্বীকৃতি লাভ করে। দুই দশক সাফল্য ও সুনামের সাথে ফার্মটি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। পেশাগত উৎকর্ষ, মান এবং মূলনীতি বজায় রেখে বাংলাদেশে সুখ্যাতি অর্জন করে চলেছে। ঝঝঅঈ ইউকে কোম্পানী ইউএইচওয়াই এর সদস্য হিসেবে অন্তভূর্ক্ত হয়ে আইনগতভাবে স্বাধীন একাউন্টিং ও কনসালন্টিং ফার্ম হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করে।
ঝঝঅঈ এর ম্যানেজিং পার্টনার মোঃ সাইফুল ইসলাম এফসিএ, এফসিএমএ, এফএলসিসিআইএ, এফসিইএ ১৯৯৩ সালে চাটার্ড একাউন্টেন্ট হিসেবে যোগ্যতা অর্জন করেন। ১৯৯১ সালে কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট একাউন্টেন্ট হিসবে কোয়ালিফাই করেন। এছাড়া তিনি লন্ডন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ একাউন্টেন্ট এর সদস্যপদের যোগ্যতা অর্জন করেন। ১৯৯২ সালে এসোসিয়েশন অব এক্সিকিউটিভ একাউন্টেন্ট (এসিইএ) হন। জনাব সাইফুলের রয়েছে অসাধারণ একাডেমিক রেকর্ড। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স এবং মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন ১৯৮৫ এবং ১৯৮৬ সালে। তিনি ২০১২ সালে আইসিএবি’র প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে একাউন্টিং ভুবনের কর্মযোগী পুরোধা ব্যক্তিত্ব, হিসাব জগতের বিভিন্ন সংস্থা ও কর্মসূচিতে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী, দূরদর্শী ও পরিকল্পনাবিদ চার্টার্ড একাউন্টেন্ট এম সাইফুল ইসলাম উপস্থিত সুধীজনদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, অনুষ্ঠানে প্রফেসর ড. আতিকুল ইসলাম, প্রফেসর আবদুল হাকিম, প্রফেসর মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, হুমায়ুন কবির এফসিএ, মাহমুদুল হাসান খসরু এফসিএ যোগদান করে আমাদের ছাত্র এবং একাউন্টিং প্রফেশন সংশ্লিষ্টদের প্রচুর উৎসাহিত করেছেন। উল্লেখ্য, সাইফুল-শামসুল আলম এন্ড কোং; চাটার্ড একাউন্টস এর পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি এবং বিশেষ অতিথিকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
মাত্র ২৪ বছর বয়সে আমি সিএ হয়েছি। এটা কোনো জাদু নয়, চেষ্টা ও সাধনার ফল -হুমায়ুন কবির এফসিএ
ইসলামি ব্যাংকের ইন্ডিপেন্ডেন্ট ডাইরেক্টর আইসিএবি’র কাউন্সিল মেম্বার, বিভিন্ন সংস্থার উপদেষ্টা, ডাইরেক্টর প্রথিতযশা চার্টার্ড একাউন্টেন্ট হুমায়ুন কবির এফসিএ বলেন, যারা এ ইনস্টিটিউটের সাথে বিভিন্নভাবে সংশ্লিষ্ট তাদেরকে অভিনন্দন। অনেকে বলেন, সিএ হতে অনেক বছর সময় লেগে যায়, পড়ালেখার ধৈর্য্য থাকে না, কেউ কেউ মাঝপথে ছেড়ে দেন। আমি বিনয়ের সাথে বলছি- মাত্র ২৪ বছর বয়সে আমি সিএ হয়েছি। এটা কোনো জাদু নয়, চেষ্টা ও সাধনার ফল। আগে কোনো একটা সাবজেক্টে ফেল করলে বার বার পরীক্ষার সুযোগ দেয়া হতো; এখন rationalised হয়েছে, এ সুযোগ আপনারা কেন গ্রহণ করবেন না? এখন নতুন প্রসিডিউর তৈরি করা হয়েছে, এর পেছনে অনেক সময় ও শ্রম ব্যয় করা হয়েছে। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ডিগ্রি বাতিল করতে পারে না, কিন্তু অবশ্য পালনীয় বিষয় না মানলে ইনস্টিটিউট ডিগ্রি বাতিল করতে পারে। কাজেই মূলনীতির বিষয়টি আপনারা খেয়াল রাখবেন। একাডেমির বাইরেও যে ইমপ্রুভড কোয়ালিটি গড়ে তোলা যায় সাইফুল শামসুল এন্ড কোম্পানী তার প্রমাণ। এ ফার্মে যারা নিজেদেরকে প্রশিক্ষিত করে তুলছে তারা দেশের সম্পদ হিসেবে গড়ে উঠেছে। সাইফুলকে আমাদের সবার সহযোগিতা করা উচিত। Service is property- এটা মনে রাখতে হবে।
হুমায়ুন কবির আরও বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিজনেস কমিউনিটি CA ইনস্টিটিউটকে সাহায্য করতে পারে। তিনি বলেন, আমাদের Solemn declaration হলো- ICABর সিলেবাস অনুসরণ করতে হবে; জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে হবে, অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে হবে আর ডেভেলপ করতে হবে expertise, আমাদেরকে real practitioner of law হতে হবে। তিনি আরও বলেন, Accounting is no more a debit-credit issue. জ্ঞান অর্জন করতে প্রয়োজন Comprehensive and dedicated effort. দেশের আর্থ-বার্ণিজ্য পরিমন্ডলে ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সেটাই প্রত্যাশা চার্টার্ড একাউন্টেন্টদের কাছে। আমাদের নেটওয়ার্কিং কর্মকান্ড বাড়িয়ে আমরা সে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারি। হুমায়ুন কবির এফসিএ বলেন, বিগত ৩৬ বছর ধরে একাউন্টেন্টসদের পর্যায়ক্রমিক অগ্রগতি লক্ষ্য করে আসছি। এখন যেটি অবশ্য পালনীয় তা’হলো best quality, new syllabus & qualified persons. পরীক্ষায় বসার জন্য আমাদের মনমানসিকতা থাকতে হবে, সবসময় আপডেট থাকতে হবে। এ ছাড়া থাকতে হবে good communication skills, upgrading knowledge এবং কীভাবে সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হয় তা’ শিখতে হবে।
দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বুদ্ধিদীপ্ত-মেধাবী শিক্ষার্থী তৈরি হচ্ছে; তারা হবে দেশ পরিচালনার এক একটি মেশিন -মাহমুদুল হাসান খসরু এফসিএ
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি মাহমুদুল হাসান খসরু বলেন, অর্গানাইজেশন এবং পেশা সর্ম্পকে মূল্যবান বক্তব্য রেখেছেন সাইফুল ইসলাম, তাতে আমি মুগ্ধ। ছাত্রদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যদি আস্থার সাথে সামনের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ থাকে, তাহলে কোনো সমস্যা ভিড় করতে পারে না। শিক্ষাজীবন শেষ করে আপনারা হবেন এক একজন স্টেকহোল্ডার, এমপ্লয়ার; আপনাদের সামনে রয়েছে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। ণড়ঁ ধৎব নৎরমযঃ ংঃঁফবহঃং -পরবর্তী জেনারেশন আপনাদের কাছে তাই অনেক কিছু প্রত্যাশা করে। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বুদ্ধিদীপ্ত-মেধাবী শিক্ষার্থী তৈরি হচ্ছে-তারা হবে দেশ পরিচালনার এক একটি মেশিন। তিনি বলেন, চার্টার্ড একাউন্টেন্টরা সমাজ ও দেশ পরিচালনার লিডার; সঠিক পথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে তারা রাখছেন অসাধারণ ভূমিকা। দেশকে উচ্চতর মর্যাদায় নিয়ে যেতে তাদের ভূমিকা হবে অগ্রগণ্য। এক্ষেত্রে আমাদের নেতা হলেন সাইফুল ইসলাম!
ভালো সিএ হতে হলে প্রয়োজন একাগ্রতা, উৎসর্গ ও সুনিদিষ্ট লক্ষ্য -প্রফেসর মমতাজ উদ্দিন আহমদ
বিশেষ অতিথি হিসেবে একাউন্টিং শিক্ষাজগতের স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব প্রফেসর মমতাজ উদ্দিন আহমদ ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা কেন এ প্রফেশনে- তা’কি ভেবে দেখেছেন? ৬ ডিজিটের একটা আয় কি আপনাদের একমাত্র লক্ষ্য? আমি আশা করব, আপনারা শুধু মোটা বেতনের চাকরিই করবেন না, সামাজিক দায়-দায়িত্ব পালন করবেন। অডিট ফার্ম নিষ্ঠা, সততা ও দায়িত্বশীলতার সাথে তাদের সংস্থার অন্তনির্হিত দুর্বলতা, ত্রুটি-বিচ্যুতি চিহ্নিত করে ফার্ম-মালিককে সহায়তা করে, এতে তাদের পুঁজি রক্ষা পায়, প্রতিষ্ঠান ভেঙ্গে পড়ে না।
তিনি বলেন, আপনারা কর্মক্ষেত্রে হ্যান্ডসাম সেলারী বা আয় আশা করতে পারেন। তবে ঈঅ পাস করার পর দেখতে হবে নিজেদের মধ্যে মূল্যবোধ বিরাজ করছে কিনা। যদি ফবাড়ঃরড়হ থাকে তা’হলে বাধা আসবে না। এ পেশায় সংশ্লিষ্ট হতে অনেক মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী এগিয়ে আসছে। তারা তাদের ফবফরপধঃরড়হ দিয়ে উজ্জ্বল রেজাল্ট অর্জন করেছে। তিনি আরও বলেন, বাংলদেশ হলো এমন একটি দেশ যে দেশ দীর্ঘদিন তার গ্রোথ রেইট ধরে রাখার সক্ষমতা দেখাতে পেরেছে। আমাদের ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেক্টরে, সার্ভিস সেন্টার চার্টার্ড ফার্মের যোগ্যতা ও প্রয়োজনীয়তা বাড়িয়ে দিয়েছে। ভালো ঈঅ হতে হলে ভালো ছাত্র হতে হবে- এমন বাধ্যবাধকতা নেই। এখানে যা প্রয়োজন তা হলো devotion,, একাগ্রতা এবং সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য। আপনারা দ্রুত সিএ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবেন, কর্মক্ষেত্রে প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি করবেন। এখনো বিদেশি চার্টার্ড একাউন্টেন্টদের মাধ্যমে বছরে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে চলে যায়- এটা রক্ষা করতে হলে আপনাদেরকে যোগ্য হয়ে গড়ে উঠতে হবে, মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় ঘটিয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে হবে।
Accounting profession is dominating the country -প্রফেসর এম আবদুল হাকিম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং ডিপার্টমেন্টের বর্তমান চেয়ারম্যান, মেধাবী শিক্ষক, শিক্ষার মানোন্নয়নে নিবেদিত শিক্ষাবিদ প্রফেসর মোহাম্মদ আবদুল হাকিম ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে নিজ জীবনের কাহিনী দিয়ে বক্তব্য শুরু করেন। তিনি বলেন, নোয়াখালীর এক পল্লীগ্রামে দিন আনে দিন খায় -এরকম হতদরিদ্র পরিবারে আমার জম্ম। যে জেলা রয়েল ডিস্ট্রিক্ট নামে বহুল পরিচিত। যদিও সহায় সম্বলহীন, তবু লেখা-পড়ার প্রতি ছিল প্রচন্ড আগ্রহ; নিয়মিত ক্লাসে যোগদানের ফলে ফলাফল ভালো হতে থাকলো -ফার্স্ট সিমেস্টারে ১ম হলাম। হুলুস্থুল ব্যাপার! ফার্স্ট হওয়ার আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেল। এরপর শিক্ষাজীবন শেষ করে কর্মজীবনে প্রবেশ করলাম। শিক্ষকতাকে বেছে নিয়েছি পেশা হিসেবে, সুযোগ থাকা স্বত্ত্বেও সরকারি চাকরি নেইনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিংবদন্তি শিক্ষক ড. হাবিবুল্লাহ বলতেন- একা এসেছি, একা চলে যাবো, কিছু কৃতিত্ত্ব রেখে যেতে হবে! কবরের কাজ সমাধা করতেও অনেক লোকের প্রয়োজন হয়। সেজন্য নেটওয়ার্কিং দরকার। বাস্তব জীবনেও দেখা যায়- মিষ্টির কথা না থাকলে মিলাদেও লোক জমায়েত কম হয়। তিনি বলেন, পৃথিবীতে আমার আসার উদ্দেশ্য - need to serve, সেবার মনোভাব নিয়ে আমাদের আগমন। আপনারা একটা জিনিস লক্ষ্য করবেন- Accounting profession is dominating the country.
ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বলেন, অবারিত সুযোগ আপনাদের সামনে। ভবিষ্যৎ নির্মানের জন্য আপনাদেরকে সর্বত্র জ্ঞানের বিনিময় করতে হবে। সমাজ ও দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে মেধাবী-স্বনামখ্যাত ব্যক্তিরাই আসছেন। এখন দেশ উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ হতে যাচ্ছে, এরপর লক্ষ্য উন্নত দেশের সারিতে পৌঁছে যাওয়া। তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে engage না হলে রেজাল্ট আশা করা যায় কীভাবে? সমাজের উন্নয়নের জন্য কিছু একটা করতে হবে, right person কে দায়িত্ব দিতে হবে।
Accounting information system হিসাব ব্যবস্থাপনায় যোগ করেছে নতুন শিক্ষা -প্রফেসর ড. আতিকুল ইসলাম এফসিপিএ, সিএ
প্রধান অতিথি নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আতিকুল ইসলাম বলেন, চাটার্ড একাউন্টেন্টগণ highly motivated person.. তারা কাজকর্মে দক্ষ ও স্মার্ট। চাটার্ড একাউন্টন্টেদের উদ্দেশ্যে বলেন, জাতীয় অর্থনীতি গড়ে উঠছে, আপনারা তার পেছনে আছেন। প্রতিবছর ৬% প্রবৃদ্ধি হচ্ছে, বেশ ক’বছর এ প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে। একাউন্টিংকে rationalised করা হয়েছে। বিদেশি প্রতিষ্ঠানের অভিজ্ঞতা নেয়া হয়েছে এখনকার একাউন্টিংকে সমৃদ্ধ করার জন্য। আপনারা অনেক ভাগ্যবান যে, এ পেশাকে অনেক সমৃদ্ধ করেছেন, অনেক সম্মানজনক আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন। পেশার প্রতি এমন দরদ ও একাগ্রতা বিরল।
তিনি আরো বলেন- বাংলাদেশ ছোট্ট দেশ, কিন্তু তার অর্থনীতি বিশাল, অর্থনৈতিক কর্মকান্ড ব্যাপক। চাটার্ড একাউন্টেন্টদের জন্য এখানে অপার সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে। বিগত একশ বছর ধরে একাউন্টিং সিস্টেমে অনেক পরিবর্তন হয়েছে।
তিনি বলেন, একাউন্টিং এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো সমাজে একাউন্টেবিলিটি প্রতিষ্ঠা করা। একাউন্টেন্টকে correct information সংগ্রহ করতে হবে, enterprise--এর true picture তুলে ধরতে হবে। প্রকৃত চিত্র ফুটে উঠলে দুর্বলতা, ভুল-ত্রুটি চিহ্নিত হয় সহজে, এতে কোম্পানী বা সংস্থার উপকার হয়। এখানে একাউন্টেন্টের দায়িত্ব বিশাল। একাউন্টিং জগতে যারা কাজ করবেন তারা হচ্ছেন দক্ষ কর্মী। এখন যুগের দাবি- সময়ের প্রয়োজনে তত্ত্বীয় একাউন্টেন্সি থেকে বেরিয়ে প্র্যাকটিক্যাল একাউন্টেসির দিকে যেতে হবে। একাউন্টিং এর গবেষকগণ ক্যাপিটাল মার্কেটের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণা করবেন। Accounting information system হিসাব ব্যবস্থাপনায় যোগ করেছে যুগোপযোগী শিক্ষা, বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই শিক্ষা যদি আপনারা গ্রহণ করেন তা’হলে কর্মধারায় আসবে গতিশীলতা ও অনন্য সাফল্য। একাডেমিক একাউন্টেন্সি আমাদের প্রয়োজন মেটাতে পারছে না, আমাদের প্র্যাকটিক্যাল একাউন্টিং নিয়ে ভাবতে হবে। অনুষ্ঠানের আয়োজক উদ্যোক্তাদের জানাই আন্তরিক অভিনন্দন, ছাত্র-ছাত্রীদের কামনা করি সাফল্যেভরা ভবিষ্যৎ।
ICAB’র সদস্যপদ গ্রহণের সব দ্বিধা ও জড়তা কাটিয়ে উঠতে হবে -শামসুল আলম এফসিএ
সাইফুল-শামসুল আলম এন্ড কোং; চাটার্ড একাউন্টস-এর অন্যতম পার্টনার একাউন্টিং কর্মজগতে দক্ষ ও প্রতিভাবান সংগঠক শামসুল আলম অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে ধন্যবাদ জ্ঞাপক বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, আমাদের ফার্মও দক্ষ সিএ গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে, ইতোমধ্যে এক্ষেত্রে আমরা সাফল্য অর্জন করেছি। আমাদের সবার প্রধান ঠিকানা- ICAB; এ প্রতিষ্ঠানকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রতিষ্ঠানের সদস্যপদ গ্রহণে আমাদের সবরকমের দ্বিধা-জড়তা কাটিয়ে উঠতে হবে। সিএ পাস করার সাথে সাথে সদস্যপদ গ্রহণ করে আমাদেরকে পেশা উন্নয়নে কাজ করতে হবে। বাণিজ্য ও একাউন্টিং ভুবনের দিকপালগণ আমাদেরকে এ অনুষ্ঠানে যেভাবে উদ্দীপিত করেছেন আগামীতেও তা অব্যাহত থাকবে বলে বিশ্বাস।
আমাদের দায়িত্ব হলো ছাত্রদেরকে এগিয়ে নেয়া, যাতে তারা দায়িত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হয়ে যোগ্যতার পরিচয় দিতে পারে -সাইফুল ইসলাম এফসিএ
সাইফুল-শামসুল আলম এন্ড কোং; চাটার্ড একাউন্টস এর ম্যানেজিং পার্টনার সাইফুল ইসলাম এফসিএ অনুষ্ঠানে যোগদানকারী ব্যক্তিবর্গের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তাঁদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ ও শিক্ষা প্রশাসক, দেশে-বিদেশে একাউন্টিং শিক্ষায় নিবেদিত শিক্ষক প্রফেসর আতিকুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্টে অব একাউন্টিংয়ের চেয়ারম্যান; বর্ণিল কর্মজীবনের অধিকারী মেধাবী শিক্ষক, গবেষক, প্রফেসর মোঃ আবদুল হাকিম; শিল্প-বাণিজ্য জগতে অনেক প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত একাউন্টিং ভুবনের কৃতী পুরুষ মোঃ হুমায়ুন কবির ইসলামী ব্যাংকের ইন্ডিপেন্ডেন্ট ডাইরেক্টর। তিনি সাধারণ বীমা কর্পোরেশন, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন লিঃ (বিটিসিএল), স্টক এক্সচেঞ্জ লিঃ, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন প্রভৃতি সংস্থায় দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর নেতৃত্ব ও পরিচালনায় উল্লেখিত প্রতিষ্ঠানসমূহ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে উচ্চ আসন লাভে সক্ষম হয়েছে।
সাফল্যময় শিক্ষাজীবন এবং বর্ণিল কর্মজীবনের অধিকারী প্রফেসর মমতাজ উদ্দীন আহমদকে ধন্যবাদ জানাই। আমাদের একাডেমিক সিস্টেমে তাঁর অবদান অসামান্য। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেশের খ্যাতনামা বিভিন্ন সংস্থার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে জাতীয় অর্থনীতির উন্নয়নের পথ নির্দেশনা দেন। কাউন্সিলর এবং প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি ২০০৭ এবং ২০১২ সালে আইসিএমএবি-এর কার্যাবলি পরিচালনায় মুখ্য ভূমিকা পালন করেন।
মাহমুদুল হাসান খসরু এফসিএ, এ তরুণ উজ্জ্বল প্রফেশনালকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি আইসিএবি’র ভিপি (ইএন্ডটি)। অনুষ্ঠানে যোগদান করে আইসিএবি’র ছাত্র-ছাত্রীদের উৎসাহিত করার জন্য তাঁকে ধন্যবাদ। আজকের অনুষ্ঠান SSAC’s Recognition of student sucess-2016 সেসব স্টুডেন্টের প্রতি নিবেদিত যারা চার্টার্ড একাউন্টেন্ট হিসেবে ইতোমধ্যে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন এবং যারা কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে এ পদবী অর্জনের কাছাকাছি এসেছেন।
দেশের খ্যাতিমান চার্টার্ড একাউন্টেসি ফার্মের পার্টনার হিসেবে আমি বিশ্বাস করি ফার্মের পার্টনার ডাইরেক্টরস, কনসালটেন্ট এবং অন্যান্য স্টাফের উচিত একাউন্টিংয়ের রুলস এন্ড রেগুলেশন প্রয়োগ করে এর সর্বোচ্চ ব্যবহার সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া। এ ফার্মের ছাত্রদের এভাবে গড়ে তোলা হয়, যাতে তারা সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা সর্ম্পকে উপলব্ধি করতে পারে, সততা ও একাগ্রতার সাথে কর্মসম্পাদন করতে পারে। যেসব ছাত্র চার্টার্ড একাউন্টেন্ট পেশা সম্পন্ন করতে যাচ্ছেন তারা শুধু শিক্ষাগত কার্যক্রম শেষ করছেন না, তারা প্রাকটিক্যাল শিক্ষা শুরু করবেন। তাদের কার্যক্রমের মধ্যে থাকবে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে প্রাকটিক্যাল জ্ঞান অর্জন করা যা চার্টার্ড ফার্ম তাদের দিতে পাবে। এভাবে প্রশিক্ষিত হয়ে তারা দেশ-বিদেশে কর্মসম্পাদনের যোগ্যতা অর্জন করতে পারেন। আইসিএবি এক্ষেত্রে কোয়ালিটি শিক্ষা ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করে, তাদের আর্টিকেল প্রাপ্ত ছাত্ররা এমওইউ এবং এসআরএ চুক্তির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড অর্জন করে। এসব পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে উচ্চ কোয়ালিটি সম্পন্ন চার্টার্ড একাউন্টেন্ট তৈরি হবে।
তিনি বলেন, আমাদেরকে honesty, highest integrity, পেশার প্রতি আস্থাশীল ও নিষ্ঠাবান থাকতে হবে। সর্বাবস্থায় মূলনীতির উপর অটল থাকতে হবে। আইসিএবি একাউন্টিং-এ নতুন পদ্ধতি প্রচলন করেছে। আমাদের লক্ষ্য হলো- স্টুডেন্টদেরকে যাতে যত্নশীলতার সাথে এগিয়ে নেয়া যায়; যাতে তারা দেশের দায়িত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হয়ে দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতিতে যথাযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে।
সম্মানিত চিফ গেস্ট এবং স্পেশাল গেস্টগণ যারা তাদের নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করছেন, তারা ছাত্রদেরকে- সাথে সাথে চার্টার্ড একাউন্টেসি প্রফেশানকেও সমৃদ্ধ করতে পারেন। তাদের ভবিষ্যৎ কর্মকান্ডে সাফল্য একান্তভাবে কাম্য।


বিশ্ববিদ্যালয় কম্পাস পত্রিকার সংখ্যা সমূহ

আরো সংবাদ

শিশু ক্যাম্পাস

বিশেষ সংখ্যা

img img img