শিক্ষকতায় নয়, পেশায় চিকিৎসক-র্যাব-পুলিশ হতে আগ্রহী হয়ে উঠছে শিশুরা। এর কারণ কী- তা অনুন্ধানের আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
২ মে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘২০০০ সালে জন্মগ্রহণকারী শিশুরা কেমন আছে এবং ২০৩০ সালে তাদের স্বপ্ন’ শীর্ষক একটি গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আহ্বান জানান।
‘গ্লোবাল অ্যাকশন’ সপ্তাহ উপলক্ষে মাঠ পর্যায়ে এ গবেষণা পরিচালিত হয়। গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, শিশুদের একটি বড় অংশ পড়ালেখা শেষ করে ২০৩০ সালে একজন চিকিৎসক হতে চায়। অন্যরা পুলিশ, সেনা, র্যাব ও সরকারি কর্মকর্তা এবং সাংবাদিক হতে চায়।
এ ফলাফল প্রসঙ্গে আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, শিশুরা শিক্ষক হতে চায় না কেন- এর গভীর পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন। এটা আশ্চর্যের বিষয়। শিক্ষকদের মধ্যে এমন কোনো বিষয় আছে বা অন্য কোনো কারণ আছে-যা তাদের শিক্ষক হতে অনাগ্রহী করে তুলছে।
শিশুরা শিক্ষকতায় না আসতে চাইলে প্রজন্মান্তরে লেখাপড়া করাবে কে?- প্রশ্ন রেখে ঢাবি উপাচার্য বলেন, এ বিষয়ে সবার সম্মিলিতভাবে গবেষণা-চিন্তা করা দরকার।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা যত দরিদ্র পরিবার থেকেই আসুক না কেন, তারা পড়ালেখা করতে চায়। পড়ালেখা করে তারা সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখে। মেয়ে শিশুরা এখন আর পড়ালেখা ছেড়ে দিয়ে বিয়ে করতে আগ্রহী হয়ে ওঠে না বলেও উঠে এসেছে গবেষণায়। এ বিষয়ে আরেফিন সিদ্দিক বলেন, মেয়েদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করা প্রয়োজন। পরিবারের পক্ষ থেকে দ্রুত বিয়ে দিয়ে দেয়া হয়। এতে পড়ালেখার সুযোগ নষ্ট হয়ে যায়। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক রয়েছেন, যারা বিয়ের পরেও এসএসসি, এইচএসসি, অনার্স, পিএইচডি করেছেন। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, শিশুরাই দেশের মূল সম্পদ। এদের মেধার জগতের চেয়ে আর বড় সম্পদ নেই। আমরা তেল, গ্যাসকে সম্পদ মনে করি, এটা সঠিক হলেও শিশুরা সবচেয়ে বড় সম্পদ।