শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, আমরা দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ব্যর্থ হতে দিতে চাই না। সেগুলোকে বন্ধ করে দেয়া আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমরা তাদের সফল করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি। যারা একান্তই নিজেরা কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয় চালাতে চান, আইন বিধিবিধান মানতে চান না, তাদের সাহায্য-সহযোগিতা দিয়েও টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না, তাদের আইনি পথে বাতিল করতে হবে।
সম্প্রতি বসুন্ধরা কনভেনশন সিটিতে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ৫ম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় শিক্ষামন্ত্রী একথা বলেন। সমাবর্তন বক্তা হিসেবে সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে কানাডার রাষ্ট্রদূত বেনওয়া পিয়ের লাঘামে। সমাবর্তনে অন্যান্যের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল মান্নান, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আবদুর রব, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ আজিজুল ইসলাম এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল হান্নান চৌধুরী বক্তৃতা করেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মেধা ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে নতুন প্রজন্মকে বিশ্বমানের মানবসম্পদে পরিণত হতে হবে। উচ্চ শিক্ষার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো এমন মানবসম্পদ সৃষ্টি, যারা আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতির চেতনায় লালিত হয়ে জাতীয় সমস্যা সমাধানে অবদান রাখতে সক্ষম হবে।
তিনি বলেন, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্থিতিশীল উন্নয়ন নিশ্চিত করতে বহুমাত্রিক শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে শিক্ষার্থীদেরকে সম্পৃক্ত করার যথোপযুক্ত পরিকল্পনা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর থাকতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের থাকতে হবে বিশ্বজনীন দৃষ্টিভঙ্গি এবং জাতি ও বিশ্বকে নেতৃত্ব দেয়ার মতো জ্ঞান ও অন্তর্দৃষ্টি। আর এজন্যে বৈজ্ঞানিক, প্রযুক্তিগত ও তথ্য বিপ্লবের সুযোগ গ্রহণ করে তাঁদেরকে যুগোপযোগী মানবসম্পদে পরিণত হতে হবে। তিনি ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেয়ার প্রস্তুতি নিতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানান।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে জ্ঞানচর্চা, গবেষণা ও নতুন জ্ঞান অনুসন্ধান করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ এবং গুণগত মান বৃদ্ধির জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এ জন্য বিষয় বাছাই, শিক্ষাক্রম উন্নয়ন এবং শিক্ষাদানের পদ্ধতি অব্যাহতভাবে উন্নত ও যুগোপযোগী করতে হবে।