॥ পূর্ব প্রকাশিতের পর -৩০॥
॥পর্ব ৬॥
হারবাল চিকিৎসা
হারবাল শব্দের পরিচিতি ক্রমেই ব্যাপকতর হয়ে উঠছে বিশ্বব্যাপী। শিক্ষিত-বুদ্ধিজীবী-শিল্পী-যোগী-মনীষীদের পূর্ণ আস্থা অর্জনের পর হারবাল সামগ্রী স্থান করে নিচ্ছে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের রসুইঘর ও ভোজনালয়ে।
হারবাল খাদ্যদ্রব্যের ন্যায় হারবাল চিকিৎসার গ্রহণযোগ্যতাও ক্রমবর্ধমান। হারবাল চিকিৎসা বলতে মূলত হারবাল খাদ্য-পথ্য এবং ঔষধকে বোঝায়। স্রষ্টা মানুষকে যে প্রকৃতি থেকে ও প্রকৃতি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন, সে প্রকৃতিতেই তার আহার-বিহার এবং রোগ নিরাময়ের সকল উপকরণ দিয়ে রেখেছেন। প্রয়োজন শুধু প্রকৃতির সেসব নিয়ামকের সাথে মানুষের যথাযথ ও নিবিড় সম্পৃক্ততা।
হারবাল চিকিৎসায় রোগ উপশমের পাশাপাশি রোগ নিরাময়ের ওপর অধিক গুরুত্বারোপ করা হয়। রোগ নিরাময়ক প্রাকৃতিক চিকিৎসা তথা হারবাল খাদ্য-পথ্য-ঔষধের গুণাগুণ সম্পর্কে এ বইয়ের ২য় অধ্যায়ে বলা হয়েছে। এ পর্বে হারবাল চিকিৎসা সম্পর্কিত আরও কিছু বিষয়ের উল্লেখ করছি।
হারবাল চিকিৎসার ভিত্তি হচ্ছে নিয়মিত হারবাল খাদ্য-পথ্য গ্রহণ। যেমন অর্জুনের ছালে হৃদরোগ নিরাময় হয়; নিয়মিত করলা খেলে ডায়াবেটিস হয় না; এলাচে হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়; ওলকচুতে এনিমিয়া সারে; গাজর রাতকানা থেকে রক্ষা করে; ঘৃতকুমারীর শরবত খেলে ক্যান্সার ও বাত-ব্যথা নিরাময় হয়: চীনাবাদাম খেলে স্মৃতিশক্তি বাড়ে; ঝুমকোলতা খেলে ভালো ঘুম হয়; টমেটোতে আছে ক্যান্সার ও হৃদরোগ প্রতিরোধী ঔষধ; কাঁঠাল খেলে শক্তি বাড়ে; ডুমুর হজম শক্তি বাড়ায়; ঢেঁড়শ মূত্র জ্বালা দূর করে; তুলসী পাতায় কাশি নিরাময় হয়; থানকুনি পাতা ও বেলের শরবতে আমাশয় সারে; দারুচিনি গুঁড়াতে ত্বক উজ্জ্বল ও লাবণ্যময় হয়; পেঁপে পাকস্থলীর ক্ষমতা বাড়ায়; সজিনা ক্যান্সার ও আলসার প্রতিরোধী খাদ্য ও পথ্য ইত্যাদি।
হারবাল চিকিৎসায় উদ্ভিজ্জ খাদ্য ও পথ্যের পাশাপাশি প্রাণিজ খাদ্যকেও গুরুত্ব দেয়া হয়। মাছ, দুধ ও ডিম প্রাণিজ খাদ্যের অন্যতম। এসব অতীব গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য-পথ্যের মধ্যে রয়েছে মানব শরীরের মৌলিক প্রয়োজনীয় এবং রোগ প্রতিরোধী বিভিন্ন উপাদান।
ইলিশ, কাতল, আইড়, মৃগেল, চিতল, কৈ, বেলে, পাংগাস, রুই, মলা, পাবদা, পুঁটি, ভেটকি, বাইন, টেংরা, শোল প্রভৃতি মাছের ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস দেহের হাড় ও দাঁতের গঠনকে শক্তিশালী করে। রোগীর পথ্য হিসেবে আমাদের দেশে বহুল পরিচিত শিং মাছে আছে প্রচুর আয়রন। রক্ত স্বল্পতায় আক্রান্ত রোগীর পথ্য হিসেবে এটি বেশ কার্যকর।
পূর্বেই বলা হয়েছে যে, মানবদেহের সকল রোগেরই হারবাল চিকিৎসা রয়েছে। এ স্বল্প পরিসরে কয়েকটি রোগের হারবাল চিকিৎসা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোকপাত করছি।
ডায়াবেটিস রোগে হারবাল চিকিৎসা
ডায়াবেটিস একটি অন্যতম ঘাতক ব্যাধি। একটু সতর্কতা ও হারবাল খাদ্য-পথ্যের সঠিক ব্যবহারই ডায়াবেটিস মুক্ত থাকার জন্য যথেষ্ট।
জারুল গাছের রয়েছে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণকারী বিশাল ভেষজ গুণ। জারুল পাতায় রয়েছে করোসলিক এসিড, যা পেশীকোষ ও চর্বিকোষের ইনসুলিনের প্রতি সংবেদনশীলতা বাড়ায় এবং লিভার হতে গ্লুকোজের নিঃসরণ কমায়। করলার পি-ইনসুলিন রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। অন্ত্র হতে রক্তে যাওয়ার প্রক্রিয়া ধীর করে মেথি এবং পেশীকোষ ও চর্বিকোষের ইনসুলিনের প্রতি সংবেদনশীলতা বাড়ায়। কোষে ইনসুলিনের উৎপাদন বাড়ায় ডুমুর পাতার রস। তুলসী পাতার নির্যাস ইনসুলিনের উৎপাদন বাড়ায়, পেশীকোষ ও চর্বিকোষের ইনসুলিনের প্রতি সংবেদনশীলতা বাড়ায়, যকৃৎ হতে গ্লুকোজের নিঃসরণ কমায়। নয়নতারার সিভোলিন, ভিনভোলিনিন ও ভিøউরোসিস নামক উপাদানসমূহ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে থাকে। যব বা বার্লি ডায়াবেটিস রোগীদের আদর্শ পথ্য। বার্লির বি-গ্লুকান নামক উপাদানটি অন্ত্র হতে রক্তে গ্লুকোজ যাওয়ার গতি ধীর করে।
এছাড়া জামের বিচি, মেহগনি বীজ, রসুন, পেঁয়াজ, নিম, চিরতা প্রভৃতিরও রয়েছে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণকারী বহুমুখী গুণ।
ক্যান্সার প্রতিরোধে হারবাল চিকিৎসা
ক্যান্সার এমনই এক ভয়ংকর রোগ, যার চিকিৎসা খুবই ব্যয়বহুল ও জটিল। অর্থাভাবের কারণে গরিবের ক্যান্সার চিকিৎসা নেই বললেই চলে। তাই ক্যান্সার মানে নির্ঘাৎ মৃত্যু। অথচ একটু সচেতনতা এবং যথার্থ ভেষজ খাদ্য ও পথ্যের ব্যবহারই এ মারাত্মক রোগের বিরুদ্ধে গড়তে পারে বিশাল প্রতিরোধ।
ক্যান্সারের বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে। আবার এ রোগ হওয়ার কারণও নানাবিধ। ভ্রান্ত খাদ্যাভ্যাস ক্যান্সারের অন্যতম কারণ। ঝলসানো মাংস ও কাবাব, অতিরিক্ত চিনি, অতিরিক্ত চর্বিজাতীয় খাদ্য, ফ্রিজের খাবার, ধূমপান, মদ্যপান ইত্যাদি ক্যান্সারের অন্যতম কারণ। কেবলমাত্র খাদ্যাভ্যাস ও জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমেই কতিপয় ক্যান্সার প্রতিরোধ করা সম্ভব।
আমাদের চারপাশে রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধী অসংখ্য ভেষজ উদ্ভিদ। আর এ সকল উদ্ভিদে বিদ্যমান জৈব রাসায়নিক উপাদানসমূহ প্রধানত দু’ভাবে ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে। কিছু হারবাল উপাদান নতুন ক্যান্সার কোষ সৃষ্টিতে বাধা প্রদান করার মাধ্যমে এবং কিছু হারবাল উপাদান ক্যান্সার কোষের বিস্তার রোধ ও ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করার মাধ্যমে ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে থাকে।
যে সমস্ত খাদ্য-পথ্যাদি ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক, তন্মধ্যে সবুজ শাক-সব্জি ও ফলমূল উল্লেখযোগ্য। টমেটো, গাজর, বাঁধাকপি, ফুলকপি, পেঁয়াজ, রসুন, সজিনা ডাটা, লাউ শাক, কুমড়া শাক, আমলকী, লেবু, খেজুর, কিসমিস, তরমুজ, আনারস, শালগম, সয়াবিন, শিম, কালোজিরা ইত্যাদি খাদ্যদ্রব্য নিয়মিত গ্রহণই ক্যান্সার নিরাময় ও প্রতিরোধে হারবাল চিকিৎসার কাজ করে। তাছাড়া আঁশজাতীয় খাদ্য, স্পিরুলিনা, মধু, টক দই, ঘোল প্রভৃতি ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
ভিটামিন ডি, মাছের তেল, কালোকেশী, চিরতা প্রভৃতিও ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকর।
চোখের সমস্যায় হারবাল চিকিৎসা
ঠান্ডা শসার সøাইস বা আলুর টুকরো চোখের ওপর দিয়ে ১৫-২০ মিনিট রাখলে চোখের নিচের কালো দাগ দূর হয়। এছাড়া ঠান্ডা টি-ব্যাগ বা বরফ পাতলা কাপড়ে মুড়িয়ে চোখে লাগানো যায়। চায়ের ট্যানিন চোখের পাতার ফোলা কমায় এবং দাগ দূর করতে কার্যকর।
এসবের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে পানি ও তরল খাবার খাওয়া উচিত। দিনে কমপক্ষে ৩-৪ লিটার বিশুদ্ধ পানি পান করা উচিত। চোখের দাগ দূর করার জন্য ঘুম অপরিহার্য। প্রতিদিন ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুম প্রয়োজন।
ত্বকের রোগে হারবাল চিকিৎসা
মানবদেহের সর্বাধিক স্পর্শকাতর অঙ্গ হচ্ছে ত্বক। ত্বকে সাধারণত ব্রণ, মেছতা, তিল, কালো দাগ, চোখের নিচে কালি, শ্বেতী ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়।
ব্রণের চিকিৎসায় ঘৃতকুমারী পাতার জেল খুবই উপকারী। এতে রয়েছে এন্টি-ইনফ্লামেটরি ও এন্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। এই জেলের শরবত পান করলে হজম ভালো হয়; শরীরের বিষাক্ত পদার্থ দূর হয়ে ত্বক পরিষ্কার থাকে।
পুদিনা পাতায় আছে মেনথল বা ব্যথানাশক। পুদিনা পাতা বেটে ব্রণে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুলে ব্রণের ব্যথা কমে।
শসাও ত্বক পরিষ্কার করে। এটি পেস্ট করে ব্রণে লাগিয়ে ২/১ ঘন্টা রেখে ধুয়ে ফেলতে হয়। এটি ব্রণ প্রতিরোধও করে।
লেবুর রসের সাথে সমপরিমাণ গোলাপজল মিশিয়ে ৩০ মিনিট মুখে লাগিয়ে তারপর পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুলে ত্বক ব্রণমুক্ত থাকে।
ব্রণের চিকিৎসায় মধু সর্বোৎকৃষ্ট উপাদান; কারণ মধু ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে।
মেছতা দূর করতে পেঁয়াজের রসের সাথে সমপরিমাণ অর্গানিক ভিনেগার মিশিয়ে তুলার সাহায্যে দিনে দু’বার লাগালে ভালো ফল পাওয়া যায়। মেছতা দূর করতে হলুদের মিশ্রণ বেশ কার্যকর। কাঁচা হলুদের পেষ্টের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট পর ঠান্ডা পানিতে ধুতে হয়।
পেঁপেতে বিদ্যমান প্যাপাইন নামক এনজাইম ত্বকের মৃত কোষ ও রুক্ষতা দূর করে ত্বক মসৃণ ও উজ্জ্বল করে। পেষ্ট করে লাগিয়ে ১০-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেললে উপকার পাওয়া যায়।
চুলের পরিচর্যায় হারবাল চিকিৎসা
চুল পড়া একটি স্পর্শকাতর সমস্যা। শারীরিক অসুস্থতা, মানসিক চাপ, এলোপ্যাথিক ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে চুল পড়ে যায়। স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন এবং চুলবান্ধব আহারের মাধ্যমে চুল পড়া রোধ করা যায়।
চুলের যতেœ টিপস
ক) অধিক শাক-সব্জি, ফল ও সালাদ খাওয়া;
খ) শাক-সব্জি বেশি সেদ্ধ করে না খাওয়া;
গ) কাঁচা লবণ না খাওয়া;
ঘ) পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা;
ঙ) নিয়মিত ব্যায়াম করা;
চ) লিভার সুস্থ রাখতে তিতা সব্জি ও চিরতা খাওয়া;
ছ) পর্যাপ্ত ঘুম;
জ) পেট পরিষ্কার রাখা এবং তজ্জন্য মেথি, আমলকী, হরীতকী খাওয়া;
ঝ) এলকোহল ও ধূমপান পরিত্যাগ করা;
ঞ) মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখা।
ভিটামিন এ’র অভাবে চুল রুক্ষ ও প্রাণহীন হয়ে যায়। আবার অতিরিক্ত ভিটামিন এ’র কারণে চুল পড়ে। চুল খসখসে মুক্ত রাখতে কমলালেবু, মালটা, জাম্বুরা, পেয়ারা; চুল চকচকে ও ঘন করতে দুধ, ডিম, কলা, বাদাম, কলিজা; চুলের ঘনত্ব বৃদ্ধিতে কলিজা, দুধ, ডিম, বাদাম, মিষ্টিআলু, সয়াবিন, আপেল, সবুজ শাক-সব্জি ইত্যাদি গ্রহণ করতে হয়।
চুলের জন্য অন্যতম উপকারী উপাদান মেহেদী। মেহেদী পাতায় আছে হাইড্রোক্সি ন্যাপথোজুইনোন, লওসোন। মেহেদী চুলের খুশকি দূর করে, চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুল পড়া রোধ করে।
ফ্যাশন কিংবা শখের বশে চুলের রং পরিবর্তন বা চুল ডাই করা চুলের জন্য ক্ষতিকর। এটি সুস্থ রুচি ও বিজ্ঞানবোধের পরিচায়ক নয়।
হারবাল চিকিৎসার কতিপয় টিপস
১। চুলকানি জাতীয় চর্মরোগে নিমপাতা ও কাঁচা হলুদ বেটে গোসলের আধা ঘন্টা পূর্বে লাগালে ভালো হবে।
২। রক্ত আমাশয়ে ডুমুর গাছের শিকড়ের রস দিনে দু’বার খান।
৩। দাঁতের গোড়ায় ব্যথা হলে আক্রান্ত স্থানে সামান্য হলুদ লাগিয়ে দিন।
৪। দাঁতের মাড়িতে ক্ষত হলে বা দাঁত থেকে রক্ত পড়লে জামের বিচি গুড়ো করে দাঁত মাজলে উপকার পাবেন।
৫। ফোঁড়া হলে তা অনেক সময় না পেকে শক্ত দলার মতো হয়ে যায়। কলমি শাকের কচি ডগা ও শিকড় একসঙ্গে বেটে ফোঁড়ার ওপর প্রলেপ দিয়ে দীর্ঘক্ষণ রাখলে ফোঁড়া পেকে যাবে।
৬। মচকে গিয়ে ব্যথা পেলে চালতা গাছের পাতা ও মূলের ছাল সমপরিমাণ একসঙ্গে বেটে হালকা গরম করে লাগালে উপকার হয়।
৭। ঠোঁটের দু’পাশে এবং মুখের ভেতরে অনেক সময় ঘায়ের মতো হয়। গাব ফলের রসের সঙ্গে অল্প পানি মিশিয়ে কয়েকদিন মুখ ধুলে ঘা সেরে যায়।
৮। ডালসহ পুদিনা পাতা ৭/৮ ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রেখে সেই পানি ছেঁকে খেলে পেট ফাঁপা ভালো হয়।
৯। গায়ে ঘামের দুর্গন্ধ হলে বেল পাতার রস পানির সঙ্গে মিশিয়ে গা মুছলে তা কমে।
১০। মাথা ব্যথা হলে কালোজিরা পুটলির মধ্যে বেঁধে শুকতে থাকুন; ব্যথা সেরে যাবে।
১১। কাশি হলে ২ টুকরো দারুচিনি, ১টি এলাচি, ২টি তেজপাতা, ২টি লবঙ্গ ও সামান্য চিনি পানিতে ফুটিয়ে ছেঁকে নিন; হালকা গরম অবস্থায় এই পানি খেলে কাশি ভালো হবে।
১২। দাঁতের ব্যথায় পেয়ারা পাতা চিবালে ব্যথা কমে।
১৩। দই খুব ভালো এন্টাসিড হিসেবে কাজ করে। এসিডিটির সমস্যা শুরু হওয়া মাত্র তা কয়েক চামচ খেয়ে নিন।
১৪। গলায় মাছের কাঁটা আটকে গেলে অর্ধেকটা লেবু নিয়ে রস চুষে খেয়ে ফেলুন; কাঁটা নরম হয়ে নেমে যাবে।
১৫। ছুরি/দা/বটিতে হাত কেটে গেলে এক টুকরা সাদা কাগজ কাটা জায়গায় লাগান। রক্ত বন্ধ হবে।
১৬। শ্বাসকষ্ট কমাতে বাসক গাছের পাতা ও ছাল একসঙ্গে সেদ্ধ করে বেটে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
১৭। জিভে বা মুখে সাদা ঘা হলে পানির সঙ্গে কর্পূর গুলে দিনে ২ বার মুখ ধুয়ে নিন।
১৮। ঘুম ভালো হওয়ার জন্য ডালিমের রসের সঙ্গে ঘৃতকুমারীর শাঁস মিশিয়ে খেতে পারেন।
চলবে।