ক্যাম্পাস পরিচালিত ইংলিশ এন্ড স্মার্টনেস কোর্স ফর লিডারশিপ এর ২০তম ব্যাচের সনদ বিতরণ অনুষ্ঠান ১৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ছাত্রবৎসল শিক্ষাবিদ, ডায়নামিক শিক্ষাদ্যোক্তা ও দক্ষ প্রশাসক; বহুমুখী প্রতিভায় ভাস্বর, বর্ণিল গুণাবলির কর্মযোগী ও ছাত্র-যুবকদের প্রেরণা ব্যক্তিত্ব, নর্দান ইউনিভার্সিটি ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান এবং নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি এর ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. আবু ইউসুফ মোঃ আব্দুল্লাহ।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পত্রিকার সম্পাদক এবং ক্যাম্পাস সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (সিএসডিসি) এর মহাসচিব ড. এম হেলালের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের বিশ্বব্যাংক বিষয়ক কনসালটেন্ট এবং ওয়ার্ল্ডওয়াইড ফ্যামিলি লাভ মুভমেন্টের চেয়ারপার্সন তাজকেরা খায়ের; এনএসআই’র অতিরিক্ত পরিচালক এম সামছুল আমিন; সরকারের উপসচিব আব্দুল্লাহ মাসুদ; জগন্নাথ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. আব্দুস সামাদ; ক্যাম্পাস’র ইংলিশ এন্ড স্মার্টনেস কোর্স এর রিসোর্স পারসন এডভোকেট মোঃ গোলাম কিবরিয়া; কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলার উপদেষ্টা মোহাম্মদ মোস্তফা প্রমুখ।।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথিকে পুষ্পমাল্যে বরণ করে নেয়া হয় এবং উপহার হিসেবে অর্পণ করা হয় ক্যাম্পাস জ্ঞানমেলা সিরিজে প্রকাশিত সৃজনশীলতা বৃদ্ধি, আত্মোন্নয়ন ও জাতি জাগরণমূলক বিভিন্ন বই; ক্যম্পাস’র নিজস্ব গবেষণায় প্রকাশিত দেশোন্নয়নের ২টি মডেল ও স্যুভেনির। প্রধান অতিথিকে ক্যাম্পাস’র সম্মাননা ক্রেস্ট অর্পণ করেন সিএসডিসি’র মহাসচিব ড. এম হেলাল।
ইংলিশ কোর্সের ট্রেইনীরা যাতে প্রশিক্ষণলব্ধ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে দেশোন্নয়নে যোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে, সে কামনায় প্রধান অতিথি আশা-জাগানিয়া মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন। এরপর সফল ট্রেইনীদের মাঝে সনদ বিতরণ করা হয়। সনদ বিতরণ শেষে শুরু হয় বক্তৃতাপর্ব।
প্রফেসর ড. আবু ইউসুফ মোঃ আব্দুল্লাহ
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি, বহুমুখী উদ্যোগের সফল ও সৃজনশীল উদ্যোক্তা, আবাসন ও পর্যটন শিল্প বিকাশে অগ্রণী ব্যক্তিত্ব, স্বনামধন্য শিক্ষাবিদ ও শিক্ষাদ্যোক্তা তরুণ প্রজন্মের রোল মডেল প্রফেসর ড. আবু ইউসুফ মোঃ আব্দুল্লাহ বলেন ক্যাম্পাস’র কর্ণধার ড. এম হেলাল একজন দূরদর্শী সমাজসেবী। তিনি ৩ যুগ আগে নকল, ধূমপান, দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে সামাজিক যুদ্ধের সূচনা করেছিলেন পরবর্তী সময়ে তার যৌক্তিকতা অক্ষরে অক্ষরে প্রমাণিত হয়েছে। ক্যাম্পাস স্টিকারে উৎকীর্ণ সেদিনের আওয়াজ ‘ঘুষখোর-দুর্নীতিবাজ বয়কট করি আজ’ এখন একটি জ্বলন্ত বিষয়। তেমনি পরীক্ষায় নকল ও ধূমপানের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাস’র অভিযান কালের কষ্টিপাথরে সত্য প্রমাণিত হয়েছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করা হয়েছে, দুদক সাহসিকতার সাথে দুর্নীতি মোকাবেলা করছে। দুর্নীতিবাজরা আজ দিশেহারা।
প্রধান অতিথি বলেন ড. এম হেলাল তাঁর কর্মের আদর্শ দিয়ে দেশের মানুষের মন-মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাচ্ছেন। তিনি অর্থবিত্তের পেছনে না ঘুরে সমাজকে এগিয়ে নেয়ার কঠিন সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়েছেন। অনেক আকর্ষণীয় ও লোভনীয় পেশায় তিনি যেতে পারতেন; কিন্তু দেশ ও সমাজচিন্তা তাঁকে কঠিন পথে টেনে এনেছে। তিনি যা বিশ্বাস করেন, তা করেই ছাড়েন; এজন্য তাঁর কর্মসূচি সাফল্যের সুষমায় সিক্ত।
ড. আব্দুল্লাহ বলেন ক্যাম্পাস’র বড় প্রকল্প ক্যাম্পাস স্টাডি সেন্টারের কথা জেনে আমি অত্যন্ত আশান্বিত হয়েছি। ক্যাম্পাস সত্যিই আগামী বাংলাদেশের বার্তাবহ। ক্যাম্পাস জাতিকে পথ দেখাবে, লাইট হাউজের মতো পথনির্দেশ করবে। তিনি বলেন ক্যাম্পাস’র নিজস্ব পুঁজি নেই, আছে প্রবল আত্মবিশ্বাস। এই আত্মবিশ্বাসই তাদেরকে এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। প্রবল আশায় ইতিবাচক চিন্তা নিয়ে দুর্বার গতিতে ক্যাম্পাস এগিয়ে চলছে। আমি ক্যাম্পাস স্টাডি সেন্টার প্রকল্পের সাফল্য কামনা করছি এবং ক্যাম্পাস’র এই কল্যাণমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়নে উদার সমাজসেবী ও চিত্তশালী বিত্তবানদের সহযোগিতার মাধ্যমে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। আমার প্রতিষ্ঠান এবং আমি ক্যাম্পাস’র সাথে অতীতেও ছিলাম, এখনো আছি, ভবিষ্যতেও থাকব। ক্যাম্পাস’র পৃষ্ঠপোষক সদস্য হয়ে এবং এন্ট্রেন্স বোর্ডে নাম উঠানোসহ ক্যাম্পাস কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করব।
প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে ড. আব্দুল্লাহ বলেন ক্যাম্পাস সমাজের দর্পণ; ক্যাম্পাস এ এসে মানুষ আলোকিত হয়ে যায়। তোমরাও আলোকিত হয়ে উঠবে, এটি আমি বিশ্বাস করি। ক্যাম্পাস’র ইংলিশ এন্ড স্মার্টনেস কোর্স ফর লিডারশিপ থেকে তোমরা শুধু ইংরেজি ভাষা শিক্ষাই পাচ্ছ না, সাথে সাথে তোমরা অর্জন করতে পারছ Inovation, Productivity, Quality. তারই আলোকে ভবিষ্যৎ লিডারশিপ হিসেবে গড়ে উঠছ। এ শিক্ষা তোমরা ধরে রাখলে তোমাদের জীবন সাফল্যে সুষমায় ভরে উঠবে।
এম সামছুল আমিন
এনএসআই’র অতিরিক্ত পরিচালক এম সামছুল আমিন বলেন ক্যাম্পাস’র শুরুতে এ পত্রিকায় নিয়মিত কাজ করতাম। কিন্তু পেশার তাগিদে বেশিদিন থাকতে পারিনি। এম হেলাল অসীম ধৈর্য ও অটুট মনোবল নিয়ে এ পত্রিকাকে এতদূর নিয়ে এসেছেন। উত্তরোত্তর সাফল্যের মাইলফলক স্থাপন করে চলেছেন, যা দেখে আমরা মুগ্ধ ও অভীভূত হই। ক্যাম্পাস অফিসে এলেই মনে প্রশান্তি অনুভব করি।
তিনি বলেন ক্যাম্পাস স্টাডি সেন্টার জাতির আশা-আকাক্সক্ষার প্রতীক। এ সেন্টার থেকে জাতির আগামীর সৈনিক তৈরি হবে। তাই এ প্রকল্প বাস্তবায়নে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আজকের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ক্যাম্পাস’র এ প্রকল্প বাস্তবায়নে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করবেন বলে আমি আশা করি।
আব্দুল্লাহ মাসুদ
সরকারের উপসচিব আব্দুল্লাহ মাসুদ বলেন ক্যাম্পাস’র আহ্বান আমাকে সর্বদাই আশান্বিত ও উজ্জীবিত করে। ড. এম হেলালের নেতৃত্বে ক্যাম্পাস যুগোপযোগী বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে গড়ে তুলছে ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব, ডায়নামিক মানুষ। দেশকে গড়ে তোলা এবং যোগ্যতার সাথে পরিচালনা করার জন্য যে নেতৃত্ব প্রয়োজন, তা ক্যাম্পাস গড়ে তুলছে। জাতীয় উন্নয়ন-অগ্রগতিতে ক্যাম্পাস’র অবদান প্রশংসিত। তিনি বলেন আজকের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ক্যাম্পাস-কার্যক্রমে তাঁর সহযোগিতার হাত সম্প্রসারিত করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।
অধ্যাপক ড. আব্দুস সামাদ
জগন্নাথ ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ড. আব্দুস সামাদ বলেন স্বপ্ন দেখতাম দেশে এমন একটা সংগঠন গড়ে উঠবে, যা হবে জাতির আশা আকাক্সক্ষার প্রতীক; সমাজে তৈরি করবে এমন যুবসমাজ, যারা বিশ্বায়ন প্রতিযোগিতায় শুধু টিকে থাকা নয়, নেতৃত্বদান করবে। ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠানকে দেখে মনে হচ্ছে আমার সেই স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। ক্যাম্পাস’র অনুষ্ঠানে এসে তাদের কার্যক্রম দেখে, ক্যাম্পাস’র ভিশন ন্যায়ভিত্তিক ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ এবং আলোকিত জাতি গঠনের নিরলস প্রচেষ্টা দেখে আমার মনে এ দৃঢ় বিশ্বাস জন্মেছে যে, অচিরেই আধুনিক বাংলাদেশ হিসেবে আমাদের দেশ প্রতিষ্ঠা পাবে।
এডভোকেট এম গোলাম কিবরিয়া
ক্যাম্পাস’র ফ্রি ইংলিশ কোর্সের রিসোর্স পার্সন এডভোকেট এম গোলাম কিবরিয়া বলেন আজকের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ড. আব্দুল্লাহ একজন কীর্তিমান শিক্ষাবিদ, ডায়নামিক শিক্ষাদ্যোক্তা, উদারপ্রাণ সমাজসেবী। তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের অনুপ্রাণিত করেছেন। এজন্য আমি তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ। ড. আব্দুল্লাহ অনেকগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোয়ালিটি শিক্ষার দৃঢ়প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে চলছে। আগামীতে তাঁর প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো দেশসেরার কৃতিত্ব অর্জন করবে।
তিনি বলেন ক্যাম্পাস এক অনন্য প্রতিষ্ঠান। এখানে সময়োপযোগী নানা প্রশিক্ষণ দিয়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সার্টিফাইড ছাত্র-যুবকদেরকে কোয়ালিফাইড করার মাধ্যমে আধুনিক বিশ্বের উপযোগী করে গড়ে তুলছে। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে ক্যাম্পাস তার কার্যক্রমকে আরও ব্যাপক পরিসরে ছড়িয়ে দিতে উত্তরায় ক্যাম্পাস স্টাডি সেন্টার গড়ে তোলার বিরাট প্রকল্প শুরু করেছে। এক্ষেত্রে সমাজের দানশীল, মহৎপ্রাণ ব্যক্তিত্বদের আর্থিক সহযোগিতা প্রয়োজন। আজকের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শুধু শিক্ষাবিদ বা শিক্ষাদ্যোক্তাই নন; তিনি উদার, দানশীল, মহৎপ্রাণ ব্যক্তিত্ব। তিনি ক্যাম্পাস’র কল্যাণকর কর্মসূচি স্টাডি সেন্টার প্রকল্পে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন বলে আমি আশাবাদী।
ড. এম হেলাল
অনুষ্ঠানের সভাপতি ক্যাম্পাস পত্রিকার সম্পাদক ড. এম হেলাল বলেন, আজকের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের একজন স্বপ্নচারী মানুষ। তিনি একজন অনুকরণীয়-অনুসরণীয় মানুষ। তিনি কথা কম বলেন, কাজ বেশি করেন। তাঁর মনের বারান্দা বিশাল। তিনি সহজেই সমমনা মানুষদের ভ্রাতৃত্ব-বন্ধনে আবদ্ধ করতে পারেন। তাঁকে দেখে আমাদের ছাত্র-যুবকরা অনুপ্রাণিত হয়ে জীবন-সাফল্যের মাইলফলক স্পর্শ করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
ড. হেলাল বলেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ২টি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ ক’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন, যা নিয়ে গর্ব করা যায়। আজ সর্বত্র কোয়ালিটি এডুকেশন প্রতিষ্ঠার আন্দোলন চলছে, প্রফেসর আব্দুল্লাহ সেই আন্দোলনের অনন্য পথিকৃৎ। তিনি শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেই ক্ষ্যান্ত হননি; আবাসান ও নির্মাণশিল্প প্রাসাদ গ্রুপ এর ফাউন্ডার হিসেবে দেশে দৃষ্টিনন্দন ভবন তৈরি করে সুন্দর নগর গড়ে তুলছেন; আধুনিক ও বাসযোগ্য আবাস সৃষ্টি করছেন।
ড. এম হেলাল বলেন ক্যাম্পাস স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিকে অবলম্বন করে জ্ঞানভিত্তিক ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ও আলোকিত জাতি গঠনে নিরলস কাজ করছে। ছাত্র-যুব উন্নয়নে ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে নানামুখী কর্মসূচি। ক্যাম্পাস এ দায়িত্ব পালন করছে দেশপ্রেম, স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে। তাই ক্যাম্পাস’র এসব কল্যাণকর কর্মসূচিতে জ্ঞানী-গুণী, সচেতন দেশপ্রেমী ব্যক্তিত্বগণের সমর্থন-সহযোগিতা একান্ত কাম্য।