প্রচন্ড রোদে কিছুক্ষণ থাকার পর চুলের অবস্থাটা কেমন বেহাল হয়ে যায়। আসলে সূর্যালোকের প্রভাবে চুলের এত মাত্রায় ক্ষতি হয় যে ধীরে ধীরে চুল রুক্ষ এবং বেজান হতে শুরু করে। তার উপর অতি বেগুনি রশ্মির খারাপ প্রভাব তো রয়েছেই।
১. বেশি মাত্রায় কসমেটিক্সের ব্যবহার বন্ধ করতে হবে: গরমের সময় প্রচন্ড তাপের কারণে এমনিতেই চুল খুব শুষ্ক এবং রুক্ষ হয়ে যায়। তার উপর যদি বেশি মাত্রায় কসমেটিক্স ব্যবহার করা হয়, তাহলেই কেলো! কারণ সেক্ষেত্রে চুলের গোড়ায় কেমিকেলের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে একদিকে যেমন চুল পড়ার হার বেড়ে যাবে, তেমনি চুলের সৌন্দর্য কমবে চোখে পরার মতো। তাই তো বলি বন্ধু শীত এবং বর্ষাকাল বাদে আর কোনও সময় চুল কালার করার কথা ভাববেন না যেন!
২ .কান্ডিশনার লাগাতে ভুলবেন না:যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে তাপ প্রবাহের সময় প্রথেমই চুলের যে ক্ষতিটা হয়, তা হল চুল শুষ্ক হতে শুরু করে। সেই সঙ্গে চুলের গোড়া ফাটতে থাকে। তাই তো বেশি মাত্রায় কন্ডিশনার ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। আসলে এমনটা করলে চুলের হারিয়ে যাওয়া আদ্রতা ফিরে আসতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই চুলের সৌন্দর্য তো বাড়েই। তার পাশাপাশি হেয়ার ফলের হারও কমতে থাকে। এমনটা হওযার কারণে চুলের সার্বিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো।
৩. শ্যাম্পু করুন সাবধানে: বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে বাজার চলতি প্রায় বেশিরভাগ শ্য়াম্পুতেই এমন কিছু উপাদান থাকে, যার প্রভাবে স্কাল্প এবং চুল বেজায় আদ্র হয়ে পরে। এই কারণেই তো গরম কালে প্রতিদিন শ্যাম্পু করতে মানা করেন বিশেষজ্ঞরা। আর যদি করতেও হয়, তাহলে হার্বাল শ্যাম্পু ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। কারণ এমনটা করলে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কিছুটা কমবে। প্রসঙ্গত, যাদের ভিষণ রকমের ঘাম হয়, তারা চুলের গোড়া পরিষ্কার রাখতে এক দিন অন্তর অন্তর হার্বাল শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করতেই পারেন।
৪. সাঁতার কাটা: গ্রীষ্ণকালীন তাপ প্রবাহের হাত থেকে বাঁচতে অনেকেই সকাল বিকাল সাঁতার কেটে থাকেন। কেউ জলকেলি করেন সুইমিং পুলে তো কেউ পদ্ম পুকুরে। তবে জয়গাটা যাই হোক না কেন, সাঁতার কাটার আগে ভুলেও শ্যাম্পু করবেন না যেন! কারণ এমনটা করলে স্কাল্পের অন্দরে থাকা উপকারি তেলেরা সব ধুয়ে যায়। ফলে চুলের আরও বেশি মাত্রায় ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যায় বেড়ে। তাই খেয়াল করে সাঁতার কাটার পর সব সময় শ্যাম্পু করবেন, আগে নয়। প্রসঙ্গত, যারা সুইমিং পুলে সাঁতার কাটেন, তারা এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন, যাতে ইথাইলিন টেট্রা-অ্যাসেটিক অ্যাসিড রয়েছে। কারণ এই উপাদানটি সুইমিং পুলের জলে থাকা ক্লোরিনের খারাপ প্রভাব থেকে চুলকে বাঁচাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৫. চুলে হিট দেবেন না: হেয়ার স্টাইলিং-এর জন্য অনেকেই চুলে সকাল-বিকাল হিট দিয়ে থাকেন। গরমের সময় এমনটা করা একেবারেই উচিত নয়। কারণ তাপ প্রবাহের কারণে এমনিতেই চুলের বারোটা বেজে যায়। তার উপর যদি হিট দেন তাহলে তো কথাই নেই। সেক্ষেত্রে চুলের সৌন্দর্য সাময়িকভাবে বাড়লেও আদতে কিন্তু চুলের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যায়। তাই গরমের সময় চুলকে সুন্দর রাখতে এই বিষয়টি মাথায় রাখতে ভুলবেন না যেন!