॥ পূর্ব প্রকাশিতের পর -৩ ॥
পেঁপের যত গুণ
পেঁপে একটি সর্বজনীন ফল। কাঁচা ও পাকা উভয় পেঁপেই শরীরের জন্য উপকারী। কাঁচা পেঁপেতে রয়েছে প্রচুর প্রোটিওলাইটিক এনজাইম। এই উপাদানটি প্রোটিনকে হজম করে সহজেই এবং পরিপাকতন্ত্রকে পরিষ্কার করে। তাই গরু, খাসি বা মুরগির মাংসের সঙ্গে কাঁচা পেঁপে বা রান্না করা পেঁপে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়, মাংসের আমিষ ভালোভাবে রক্তের সঙ্গে মেশে এবং মাংসের চর্বির ক্ষতিকর দিকটা কমিয়ে দেয়।
তাছাড়া মাংসে কাঁচা পেঁপে দিলে তা সিদ্ধ হয় দ্রুত। কাঁচা পেঁপে, শশা, গাজর, লেটুস বা ধনিয়া পাতার সালাদ ওজন কমাতে রাখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। পেঁপে যুদ্ধ করে দেহের বাড়তি মেদের বিরুদ্ধে। শরীরের মেদ ঝরাতে যারা তৎপর, তাদের খাদ্য তালিকায় পেঁপে রাখুন। এটিতে যেমন কম ক্যালরি, তেমনি এর আঁশ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে সব্জি হিসেবে পেঁপে অনন্য। কাঁচা পেঁপের প্রোটিওলাইটিক এনজাইম ক্যান্সার নিরাময়ে রাখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। আর এই উপকারের জন্য কাঁচা পেঁপে রান্নার পরিবর্তে কাঁচা খাওয়াটাই উত্তম।
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’র বসতি পাকা পেঁপেতে। ভিটামিন ‘এ, ও ‘সি’ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, যুদ্ধ করে ছোঁয়াচে রোগের বিরুদ্ধে; দাঁত, চুল, ত্বকের জন্য উপকারী। এন্টি এজিং ফ্যাক্টর অর্থাৎ বৃদ্ধ বয়সকে দূরে ঠেলে দেয়ার উপাদান রয়েছে পেঁপেতে। এতে কোনো খারাপ কোলেস্টেরল, চর্বি বা ফ্যাট নেই। পাকা পেঁপে অর্শ ও কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে হিতকর। পেঁপে পুরুষের প্রোস্টেট গ্রন্থির ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
কানসাস স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষণায় জানা যায়, ভিটামিন এ সমৃদ্ধ পাকা পেঁপে ধূমপানের কুফল এড়াতে সাহায্য করে। ফুসফুসের ঝুঁকি কমাতে ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার খুবই প্রয়োজন। পেঁপের ভিটামিন এ চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে। বয়সজনিত ক্ষীণদৃষ্টি রোগ প্রতিরোধেও পেঁপের ভূমিকা অনন্য।
গাজরের ১০টি গুণ
-দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়।
-ক্যান্সারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।
-হৃদরোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।
-মুখ গহ্বরের স্বাস্থ্য সংরক্ষণ করে।
-লিভারকে রক্ষা করে।
-ত্বককে মসৃণ করে।
-পরিপাকতন্ত্রের ক্রিয়াশক্তি বাড়ায়।
-স্ট্রোক প্রতিরোধ করে।
-ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে।
-বার্ধক্যের আগমনকে শ্লথ করে।
প্রতিদিন একটি ডিম
প্রতিদিন একটি ডিম খাওয়ার পক্ষে এখন বিজ্ঞানীরা প্রায় সবাই। ডিম হলো ভিটামিনের খুব ভালো উৎস, প্রকৃতির অন্যতম ‘সুষম খাদ্য’। কারণ ডিমের কুসুমের ভেতর নিহিত অনেক পুষ্টি আমাদের শরীর নিতে পারে সহজে। পুরো ডিমে প্রচুর নিউটিন ও জিয়োজ্যানথিন থাকে। নিউটিন ও জিয়োজ্যানথিনের ক্যারিটিনয়েড স্ট্রোক মোকাবেলা করতে সাহায্য করে, ঘা সারিয়ে তোলে, বার্ধক্যজনিত ক্ষয়কে রুদ্ধ করে।
-একটি ডিমে থাকে মানব দেহের প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় কোলিন ৩৫%, যা আলজিমার্স রোগ থেকে রক্ষা করে। ডিমে ভিটামিনগুলো বেশ সুষমভাবে সন্নিবেশিত থাকে।
-ডিম কিন্তু হার্টের ক্ষতি করে না -এমনটি বলছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রচলিত ধারণা ভেঙে দিয়ে বিজ্ঞানীরা দেখছেন, ডিম শরীরে ভালো কোলেস্টেরল অর্থাৎ এইচ ডিএলকে বাড়ায়; হার্ট ও চোখের স্বাস্থ্যের জন্য যা অতীব উপকারী।
-একটা ডিমে ৬ গ্রাম প্রোটিন থাকে। প্রতিদিনের প্রোটিনের চাহিদা তাই একটা ডিমেই অনেকটা ঘুচে যায়।
বিস্মৃতি কমাবে দুধ পান
প্রতিদিন ৩ গ্লাস দুধ পান করলে আলঝেইমার এবং পারকিনসন্সের মতো রোগের ঝুঁকি কমবে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, স্বাস্থ্যবান বয়স্কদের মস্তিষ্কে উৎপন্ন গ্লুটাথিয়োন নামক একটি এন্টি-অক্সিডেন্টের সঙ্গে দুধের সম্পর্ক রয়েছে। এন্টি-অক্সিডেন্ট মানুষের মস্তিষ্কের কোষগুলোকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। গবেষকরা বলছেন, যারা বেশি পরিমাণে দুধ পান করে, তাদের মস্তিষ্কও বেশি সুরক্ষিত থাকে। এক্ষেত্রে দিনে ৩ গ্লাস দুধ পান করাটা সবচেয়ে কার্যকর।
বিভিন্ন শারীরবৃত্তিয় ক্রিয়াকলাপের ফলে দেহে উৎপন্ন কোষ বিধ্বংসী অণুগুলোর কর্মক্ষমতা হ্রাস করে গ্লুটাথিয়োন, যার ফলে মস্তিষ্কে কোষগুলোও রক্ষা পায়। তাছাড়া এগুলো দৈহিক কান্তি দূর করতেও ভূমিকা রাখে।
ইউনিভার্সিটি অব কানসাস মেডিকেল সেন্টারের নিউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ইন-ইয়ং চই এবং পুষ্টিবিজ্ঞানের অধ্যাপক ডেবরা সুলিভান এ গবেষণা করেন। ড. চই এবং ড. সুলিভান বলেন, দুধকে শুধু হাড় এবং পেশির জন্যই গুরুত্বপূর্ণ ভাবা হতো। গবেষণায় দেখা যাচ্ছে- এটি মস্তিষ্কের জন্যও দরকারি। এর এন্টি-অক্সিডেন্টগুলো আমাদের দেহকে ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলে।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় জানা গেছে, দুধে ভিটামিন বি ১২ থাকায় এটি খেলে স্নায়ুবিক ক্ষতি কমে। ফলে আলঝেইমারের মতো রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
দই খাওয়ার ১০ উপকার
মজবুত হাড়ঃ দইয়ে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি। দু’টি উপাদানই হাড়ের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। নিয়মিত দই খেলে হাড় মজবুত হবে।
হজমে উপকারঃ অনেকেই হজমের সমস্যার কারণে দুধ খেতে পারে না কিন্তু দই খেলে সমস্যা হয় না। খাবার সহজে হজম করতে সহায়তা করে দই।
উপকারী ব্যাকটেরিয়াঃ দইয়ে রয়েছে অসংখ্য উপকারী ব্যাকটেরিয়া। এ ব্যাকটেরিয়াগুলো দেহের ক্ষতি করে না বরং হজমে সহায়তা করে। এছাড়া দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও কাজ করে দইয়ের ব্যাকটেরিয়া।
রক্তচাপ কমায়ঃ দইয়ের পটাসিয়াম রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে।
ত্বকের জন্য উপকারীঃ দইয়ের উপাদান ত্বককে মসৃণ করে। দইয়ের ল্যাকটিক এসিড ত্বক পরিষ্কার করে এবং মৃত কোষ দূর করে।
খাদ্যপ্রাণঃ দইয়ে অন্যান্য উপাদানের পাশাপাশি রয়েছে প্রচুর ভিটামিন। বিশেষ করে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় ভিটামিন বি ৫, জিংক, পটাশিয়াম, ফসফরাস, আয়োডিন ও রিবোফ্লাভিন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ নিয়মিত দই খাওয়া হলে তা আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে। এছাড়া দই দেহের রক্তের শ্বেতকণিকা বাড়িয়ে দেয়, যা জীবাণু সংক্রমণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে।
দেহের ছত্রাক প্রতিরোধঃ অনেকের দেহের সংবেদনশীল অঙ্গে ছত্রাক সংক্রমণ হয়। আর এ ছত্রাকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সহায়তা করে দই।
পাকস্থলীর নানা সমস্যা দূরীকরণেঃ পাকস্থলীর নানা সমস্যা দূর করতে ভূমিকা রাখে দই। বিশেষ করে ল্যাকটোজের প্রতি সংবেদনশীলতা, কোষ্টকাঠিন্য, ডায়রিয়া, কোলন ক্যান্সার ও অন্ত্রের সমস্যা দূর করতে কার্যকর দই।
ওজন কমাতেঃ নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় দই খেলে দেহের ওজন কমে। খাবারের সঙ্গে দই খাওয়া হলে তা দেহের চর্বি ব্যবহার করতে উৎসাহিত করে। এতে দেহের চর্বি কমে এবং সার্বিকভাবে ওজন কমাতে সহায়তা করে।
স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কফি
আমাদের দেশে চা পানকারীর সংখ্যার তুলনায় কফি পানকারীর সংখ্যা অনেকটা কম। কিন্তু পরিমাণমতো কফি পান যে কত উপকারী তা জেনে নেয়া যাক।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়ঃ সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর কফি পান যেমন কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে, তেমনি হৃদরোগ ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে।
টাইপ টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়ঃ যারা অতিরিক্ত কফি পান করেন (দিনে ৬ বা তার বেশি কাপ) তাদের টাইপ টু ডায়াবেটিস হওয়ার শঙ্কা কম থাকে।
গলস্টোনের ঝুঁকি কমায়ঃ পরিমিত কফি পান মহিলাদের গলস্টোনের ঝুঁকি কমায়। পুরুষের জন্য যে উপকারী নয়, তা কিন্তু না। তাদেরও গলব্ল্যাডারের ঝুঁকি কমায়।
হজম শক্তি বাড়ায়ঃ কখনো কি লক্ষ করেছেন সকালে বাথরুমে যাওয়ার আগে ১ বা ২ কাপ কফি পানের পরও পেটে কোনো সমস্যা হয়নি? আসলে কফি হজমেও সহায়ক।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়ঃ নিয়মিত কফি পানে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা ২৫% কমিয়ে দেয়। লিভার ক্যান্সারেরও ঝুঁকি কমায় কফি।
চর্বি পোড়াতে সাহায্য করেঃ কফি খেলে প্রস্রাবের পরিমাণ বেড়ে যায়। এ কারণে অনেকেই কফি এড়িয়ে চলেন। তবে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে একটু ভেবে দেখা উচিত। কেননা চর্বি কমানোর জন্য যখন ব্যায়াম করা, তখন কফি পান উপকারী। কফি চর্বি কমাতে সহায়তা করে।
মাথাব্যথা প্রতিরোধ করেঃ কফি পান মাইগ্রেনের সমস্যায় দারুণ কার্যকরী।
নানা গুণের কফি
গাছের সুরক্ষায়ঃ গাছের গোঁড়া থেকে একটু দূরে টবের চারধারে ব্যবহৃত চা পাতার সঙ্গে কফির গুঁড়া ছড়িয়ে দিন। কাঠি দিয়ে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিন ভালো করে। এতে টবে অতিরিক্ত পানি জমে যাওয়া রোধ হবে। সার হিসেবেও ভালো এই মিশ্রণ।
ফ্রিজের আঁষটে গন্ধঃ ফ্রিজের দুর্গন্ধ দূর করতে ছোট বাটিতে ফ্রিজের এক কোণে রেখে দিন অল্প কফি গুঁড়া। ফ্রিজের ভেতরের দুর্গন্ধ দূর হয়ে যাবে।
পিঁপড়া তাড়াতেঃ বৃষ্টিতে পিঁপড়ার উপদ্রুব বেড়ে যায়। পিঁপড়ার রাস্তায় ছড়িয়ে দিন সমান্য কফির গুঁড়া। পিঁপড়ার আবাস খুঁজে বের করে সেখানেও ছড়িয়ে দিতে পারেন।
রান্নার স্বাদ বাড়াতেঃ মাংসের রোস্ট মেরিনেট করার সময় অল্প কফির গুঁড়া ব্যবহার করতে পারেন। ভেজিটেবল স্যুপের স্বাদ বাড়ানোর জন্য তাতে সামান্য কফি গুঁড়া দিতে পারেন। চকোলেট আইসক্রিম বানানোর সময় সামান্য কফি মিশিয়ে নিন। স্বাদে নতুনত্ব পাবেন।
স্ক্রাবঃ একটি বাটিতে প্রথমে কফি ও চিনি মিশিয়ে নিন। এতে লেবুর রস ভালো করে মেশান। কফি ও চিনি পুরোপুরি গলবে না। এরপর এই মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ৫ মিনিট পর ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ দিন ব্যবহারে ভালো ফল পাবেন।
কন্ডিশনারঃ কন্ডিশনার হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন লেবু আর কফি। এক গ্লাস গরম পানিতে হালকা করে কফির লিকার করুন। ঠান্ডা হলে এর সঙ্গে মেশান ২ টেবিল চামচ লেবুর রস। শ্যাম্পু করার পর চুলে এই পানিটুকু ঢেলে দিন। চুল না ধুয়ে মুছে ফেলুন। শুকিয়ে গেলে চুল খুব নরম আর উজ্জ্বল হবে।
ত্বক আর চুলের বন্ধু আদা
ত্বকের সজীবতাঃ আদায় রয়েছে ৪০ ধরনেরও বেশি এন্টিঅক্সিডেন্ট। এসব এন্টিঅক্সিডেন্ট ত্বক কুঁচকে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। আদা ত্বকের বিষাক্ত উপাদানও দূর করে। বাড়িয়ে দেয় রক্ত চলাচল। সেই সঙ্গে দেহে উৎপাদিত ক্ষতিকর অন্যান্য উপাদান দূর করে ত্বকে আনে সজীবতা।
ব্রণের বিরুদ্ধে লড়াইঃ ব্রণের সমস্যা নিয়ে ভুগছেন -এমন লোকের অভাব নেই। এক্ষেত্রে রাসায়নিক ক্রিমের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে প্রাকৃতিক সমাধান খোঁজা উচিত। আদা হতে পারে কার্যকর একটা উপায়। আদা উচ্চ শক্তির এন্টিসেপটিক উপাদানে পূর্ণ। ত্বকের ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে, যা ব্রণের জন্য দায়ী।
ত্বকের দাগ দূর করেঃ ত্বকে আঁচড় লাগলে সেই দাগ অনেক দিন থেকে যায়। আবার অনেকের ত্বকের কিছু অংশের স্বাভাবিক রং নষ্ট হয়ে যায়। এ ধরনের সমস্যায় আদা ফালি করে কেটে দাগের অংশে দিয়ে রাখুন। ধীরে ধীরে দাগ চলে যাবে। ওই অংশের স্বাভাবিক রং ফিরে আসবে।
এলার্জি বা চুলকানিঃ এক চা চামচ শুকনো আদা গুঁড়ার সঙ্গে এক টেবিল চামচ সরিষা গুঁড়া মিশিয়ে নিন। সরিষায় আছে ভিটামিন এ, কে, ই এবং সি। হালকা গরম পানিতে এটি মিশিয়ে গোসল করতে পারেন। চুলকানি চলে যাবে। বাথটাবেও এই পানি ব্যবহার করতে পারেন।
চুল পড়া কমায়ঃ যাদের চুল পড়ে যাচ্ছে তারা আদা ব্যবহার করে দেখতে পারেন। এটি মাথার ত্বকে রক্ত চলাচল বাড়ায়। ফলে খুশকির সমস্যা দূর হয়। চুলের গোড়া শক্ত হয়, ফলে চুল পড়া কমে আসে।
চুলের মাস্কঃ এক টেবিল চামচ আদা বাটা ও এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন ভালো করে। এবার এটি মাথার ত্বকে আস্তে আস্তে ম্যাসাজ করুন। এতে রক্ত চলাচল আরো বাড়বে।
-চলবে
স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আধুনিক চর্চা ও চিকিৎসা Be Your Own Doctor -3 বইটির
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ২৮৮, মূল্যঃ ২৮০ টাকা
প্রাপ্তিস্থানঃ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস পত্রিকা অফিস
৩৩ তোপখানা রোড, ১৩ তলা, ঢাকা।
ফোনঃ ৯৫৫০০৫৫, ৯৫৬০২২৫