বিশেষ খবর



Upcoming Event

সকালে করোনা পজিটিভ আর দুপুরে করোনা নেগেটিভ, করোনা-মুক্তিতে স্রষ্টার অলৌকিক কারিশমা

ক্যাম্পাস ডেস্ক বিশেষ নিবন্ধ

বিভিন্ন দেশে নানা স্টাডিতে প্রমানিত হয়ে গেছে যে, ঘরে-বাংকারে লুকিয়ে থেকে কিংবা আপন-পর সবাইকে ফেলে আকাশসম উচ্চতায় পাহাড়ে পালিয়ে গিয়েও করোনা ভাইরাস থেকে রেহাই পাওয়া যায়নি; এত্ত সুরক্ষার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টার মধ্যেও করোনা তাকে ছোবল মেরেছে কী-ভা-বে, তাও থেকে গেছে অনুদঘাটিত ও রহস্যাবৃত।

অন্যদিকে ঘটেছে বিপরীত ঘটনা। করোনা আক্রান্ত মা’র মৃত্যুযন্ত্রনা উপশমে তারই মেয়ে করেছে এক অভাবনীয় কান্ড। সারারাত ডাক্তার-নার্সহীন আইসিইউতে থাকা মা’র বিছানায় উঠে বসে মেয়ে এবং মা’র শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ অবধি মাথা কোলে নিয়ে বসে থাকে। এত কাছ থেকে করোনাকে স্পর্শ করার পরও সেই মেয়েকে করোনা কেবল ছুঁয়েই দেখেছে অর্থাৎ তার করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। কিন্তু তাকে কোনোরূপ আঘাত করেনি করোনা, এমনকি সামান্য কষ্টও দেয়নি। এই মেয়ে, যে নিজেও তিন সন্তানের মা তার এই অকৃপণ মাতৃপ্রেমের কাছে হার মেনে তাকে যেন অভিনন্দিত করেছে করোনা। আমার নিজের ভূবনেও গত কিছুদিনে ঘটে গেছে করোনা নিয়ে পজিটিভ ও নেগেটিভ নানা মিরাকল। এই স্বল্প পরিসরে একটি ঘটনা শেয়ার করছি। 

সুদীর্ঘ লকডাউনের এক শুক্রবারে বের হয়েছিলাম সেল্ফ ড্রাইভিংয়ে, গাড়ির ভেতর-বাহির সম্পূর্ণ স্যানিটাইজ করে। উদ্দেশ্য ছিলো, দীর্ঘদিনের একঘেয়েমি তাড়িয়ে লেখালেখিতে রিফ্রেশিং এনার্জি তৈরি। গাড়ির ভেতরে নিরাপদ মনে করে এবং রাস্তা সম্পূর্ণ ফাঁকা থাকায় অত্যল্প সময়ের মধ্যেই পূর্বাচল-উত্তরা-আশুলিয়া ঘুরে লাঞ্চ সারলাম জাতীয় স্মৃতিসৌধ সম্মুখস্থ পর্যটন রেস্টুরেন্টে। এরপর সাভার হয়ে ঢাকায় ফিরি। পরদিন সকালে হেভি ব্যায়াম করার পর আমার পেটে ব্যথা, আচমকাই মাথা ঘুরে পড়ে গেলাম। অফিস ভবনের একজন পিয়ন আমাকে নিয়ে গেলো শমরিতা হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে। পেটে প্রচন্ড ব্যাথা নিয়ে নিজ হাতে পেট চেপে ব্যথা সহ্য করার মধ্যেও তাকে কড়াভাবে বলেছি যেন আমার হসপিটালাইজেশনের কথা কাউকেই না জানায়। কারণ করোনার এই মহাআতঙ্কের মধ্যে আমার অসুস্থতার কথা অন্যদের জানালে তারা আরেক আতঙ্কের মধ্যে পড়ে যাবে। তাছাড়া নিজ অসুবিধা অন্যকে না জানিয়ে নিজেই সহ্য-সমাধানের চেষ্টা আমার সংস্কৃতি। এর দ্বিতীয় কারণ নেগেটিভ তথ্য কম ছড়ানো; আর প্রথম কারণ অন্যকে যতটা সম্ভব কষ্ট না দেয়া তথা অন্যের কাছে দায়মুক্ত-ঋণমুক্ত থাকার চেষ্টা করে বরং অন্যদের সেবা-সহযোগিতায় নিবেদিত থাকা। 

ইমার্জেন্সির ডিউটি ডাক্তার আমার মাথা ঘুরে পড়া কিংবা পেটে ব্যথার কোনো কারণ খুঁজে না পেয়ে একটু এক্সট্রা খাতির দেখিয়ে এবং হসপিটালের এমডি উদারপ্রাণ-মানবতাবাদী ব্যক্তিত্ব ডাঃ এবিএম হারুন আমার ঘনিষ্ঠ বলে তাঁর অনুপস্থিতিতেই স্টাফরা আমাকে খুব ভালো সুউন্নত একটা কেবিনে দেয়। সেই কেবিনের অবস্থান এমনই ছিলো যে হাসপাতালের সাধারণ চলাচল ও কোলাহল থেকে একেবারে আইসোলেটেড। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সাথে সাথেই তারা জরুরিভিত্তিতে ইসিজি-এক্সরে-প্যাথলজি-আল্ট্রাসনোসহ বহু টেস্ট দেয়। কিন্তু সেগুলোর কোনোটিতেই আমার অসুস্থতার কোনো কারণ বুঝতে না পারায় পরদিন আরো নতুন নতুন টেস্ট দেয়া হয়। 

একদিকে ডাক্তাররা কোনো সমস্যা ধরতে পারছেন না, অন্যদিকে করোনাকালীন সময়। মনে পড়ে গেল, করোনার কত কাছে গিয়েছি আমি; তাও মাত্র একবার নয়, কয়েকবার। ভয়ঙ্কর করোনার এ লকডাউনের মধ্যেও আমি নিজে গাড়ি চালিয়ে এ যাবৎ ২ জন করোনা রোগীকে হাসপাতাল থেকে বাসায় এবং ১ জন করোনা রোগীকে হাসপাতালে দিয়ে এসেছি; ১ জন করোনা-পজিটিভ রোগীকে পরীক্ষাগার থেকে বাসায় পৌঁছিয়ে দিয়েছি। তাছাড়া দু’বার করোনা-মৃতদেহ গ্রহণ এবং নিজ স্বাক্ষরে এক মৃত্যু-সনদ গ্রহণ করতে হয়েছে। ডেডবডির পাশে থেকে ছবি তুলে ঐ মৃতের নিরূপায় আপনজনদের স্মৃতিসম্ভারে সাহায্য-সরবরাহ করেছি। অর্থাৎ এই করোনাকালে যেখানে সবাই পালিয়ে বেড়ায়, করোনা রোগাক্রান্তদের কাছে-ধারে যাবার সাহস কিংবা চিন্তাই করে না; সেখানে আমি এরূপ আতংকের রোগকে যেন আলিঙ্গনে প্রস্তুত হয়ে বার বার কাছে গিয়েছি।

তাই মাথায় এলো করোনা টেস্ট করানোর কথা। যদিও করোনার কোনো উপসর্গ আমি নিজে বা ডাক্তাররা কেউই আমার মাঝে তখনো পর্যন্ত পাইনি। তবুও ডাক্তারগণকে যত দ্রুত সম্ভব আমার করোনা টেস্ট করানোর জন্য অনুরোধ করি। কিন্তু তাঁরা রাজি হন না। তাঁরা বলেন আপনি কেন খামোখা করোনা টেস্ট করাবেন? করোনার কোনো লক্ষণই আপনার মধ্যে দেখছি না। বরং আপনাকে আমরা আজ মুখে তরল খাবার দিয়ে অবজার্ভ করতে চাচ্ছি পেটে ব্যথা উঠে কিনা। তাই আজ স্যালাইন খুলে দেয়ার চিন্তা করছি। আপনি এখন শুধু শুধু করোনা টেস্ট করালে আরেকজন সত্যিকার করোনা রোগীর টেস্টের সুযোগ নষ্ট হবে। হাসপাতালে একা থাকা অসহায় আমার বারংবার অনুরোধে এবং আবেগাপ্লুত চোখের পানি দেখে একপর্যায়ে ডাক্তারগণ বলেন ‘ঠিক আছে, আপনার করোনা টেস্ট করাবো; কয়েক ঘন্টা সময় দিতে হবে। করোনা টেস্টের জরুরি রিপোর্ট পেতেও ২৪ থেকে ৭২ ঘন্টা সময় লেগে যেতে পারে। ডাক্তারদের উপরোক্তরূপ কথায় আমি আশ্বস্ত হই এবং অবশেষে করোনা টেস্ট দেই।

পরদিন সকালে দেখতে পেলাম ভিন্ন চিত্র। অনীতা বিশ্বাস নামের এক হিন্দু নার্স ছাড়া সকল নার্স ও ডাক্তার আমার থেকে দূরত্ব বজায় রাখছেন। সেইক্ষণে আমি অবশ্য এই বিষয়টাকে মালুম করিনি বরং করোনা সতর্কতা হিসেবে স্বাভাবিক ভেবেছি। হসপিটালের ইতিপূর্বেকার প্যাথলজি টেস্টের কোনোটিতে খারাপ কিছু না পেয়ে সিনিয়র ডাক্তার আমাকে বুঝিয়ে বললেন আপনি সম্ভবত কোনো বিষয়ের ঝামেলা নিয়ে খুব বেশি চিন্তান্বিত আছেন। আপনার শারীরিক বিশেষ কোনো অসুবিধা নেই; তবে মানসিক চাপ আছে। আপনার মানসিক অসুবিধা আপনাকেই তাড়াতে হবে; সেই অসুবিধার ডাক্তার আপনি নিজেই। আমরা আপনাকে কিছু ওষুধ দিয়ে রিলিজ দিচ্ছি। 

কিছুক্ষণ পর নার্সরা আমার ডিসচার্জ ফাইল নিয়ে আসে। আমি কেবিন থেকে নিচে নেমে হাসপাতালের মহাব্যবস্থাপক জনাব নূরুল ইসলামের রুমের সামনে দিয়ে যেতেই তিনি দূর থেকে ইশারা করেন আপনি ওখানে দাঁড়ান, আমি আসছি। এরপর তিনি রুম হতে বেরিয়ে আমার থেকে দূরত্ব বজায় রেখে বললেন এই অবস্থার মধ্যে আপনি কোথায় যাচ্ছেন? কেন যাচ্ছেন? আমি আশ্চর্য হয়ে বললাম কেন, কী হয়েছে আমার? তিনি ফ্যালফ্যাল করে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে তারপর বললেন আপনি কি কিছু বুঝতে পারছেন না? আপনাকে ডাক্তার বা নার্স কিছুই বলেনি? যদি অন্য কোনো করোনা হাসপাতালে যেতে চান, তাহলে ঠিক আছে। আর নাহলে আমি আমাদের করোনা ইউনিটে ভালো কেবিন ম্যানেজ করে আপনাকে নিয়ে আসব। আপনি তাহলে দ্রুত বাসায় গিয়ে গরম পানি দিয়ে ভালো করে গোসল করে নিন; গার্গল করা, ভাপ নেয়া এসব করতে থাকুন এবং সবার কাছ থেকে আলাদা থাকুন। আপনি একজন স্বাস্থ্য বিষয়ক গ্রন্থকার হিসেবে যা যা জানেন, তাই করতে থাকুন প্লিজ।

তার এরূপ কথা শুনে হতচকিত আমি আল্লাহ ভরসা বলে বেরিয়ে পড়লাম সাথে থাকা এসিসট্যান্টকে নিয়ে। নিজ স্থানে ফিরতে ফিরতে প্ল্যান করে ফেললাম কীভাবে আমি একা এ করোনা-যুদ্ধ মোকাবেলা করব। আমার সাথের এই অল্পশিক্ষিত অথচ খুবই ধার্মিক, অত্যন্ত সৎ ও নিষ্ঠাবান সহকারীর আশ্চর্য মহানুভবতা ও বিস্ময়কর ভালোবাসা দেখে আমি স্রষ্টার ওপর আরো বেশি ভরসা পাচ্ছিলাম। নিজকে অনবরত অটোসাজেশন দিচ্ছিলাম I am fine, perfect & better than before; I am getting better, better & better.

গাড়িতে এই ছেলেটার কাছ থেকে আমি যত দূরত্বই বজায় রাখার চেষ্টা করি, সে কিন্তু আমার থেকে দূরে যাচ্ছে না। সে বললো স্যার, আজ সকালেই ডাক্তার-নার্স আমাকে গোপনে বলে দিয়েছে, আপনার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। আপনাকে জানাতে নিষেধ করেছে। কিন্তু আমি আল্লাহর ওপর বিশ্বাস নিয়ে সেই সকাল থেকে একটিবারও আপনার সাথে দূরত্ব বজায় রাখিনি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস আপনার মতো একজন ভালো মানুষের মারাত্মক কিছু হবে না। আপনি যেভাবে ইবাদত করেন, মানুষের উপকার করেন, তাতে আপনার কাছাকাছি থাকলে আমারও সমস্যা নেই। তার এসব কথায় কিছু যৌক্তিকতা থাকলেও এ মারাত্মক ছোঁয়াচে ভাইরাস থেকে তাকে রক্ষা করতে ধমক দিয়ে থামালাম এবং আদেশ দিলাম আমার থেকে দূরে থাকতে, দূরত্ব বজায় রেখেই যতটা সম্ভব সহযোগিতা করতে। দূরত্ব রক্ষা নিয়ে বোঝাপড়ার এই সেশন তার সাথে শেষ করে ফেললাম গাড়িতে ফিরতে ফিরতেই। 

গাড়ি থেকে নেমে নিজ রুমে ঢুকেই প্রথমে গোসল করলাম। তারপরই দাঁড়িয়ে গেলাম নামাজে। যোহরের ওয়াক্ত নামাজ শেষ করে স্রষ্টার সাথে আপন মনে এরূপ কথা বললাম হে করুণাময়, করোনা-আক্রান্ত পরীক্ষায় ফেলার জন্য আপনার নিকট আমি কৃতজ্ঞ। কোনোরূপ কষ্ট কিংবা উপসর্গ ছাড়াই আপনি যেভাবে করোনা জীবাণু আমার শরীরে রেখেছেন, সেভাবেই বিনা কষ্টে Effortlessly, Automatically, Naturally & Easily আমার শরীর থেকে তা বের করে দিন; কিংবা নামাজশেষে আমি যেই গরম পানি খাব, সেই পানির সাথে ভাইরাসটি আমার পেটে গিয়ে মরে শরীরের যেকোনো আউটলেট দিয়ে এটিকে বের করে দিন; আর যদি আমার চিরস্থায়ী মঙ্গলে এই ভাইরাস দিয়ে আমাকে নিয়ে যেতেই চান, তাহলে আমি একা এই নির্জন-নিরালায় আছি বলে এবং আপনি ছাড়া আমার কোনো উপায় কিংবা সহযোগী নেই বলে আমাকে বিনা কষ্টে সহজেই নিয়ে যান; আমার জন্য কাউকেই কোনোরূপ কষ্ট দিবেন না, হে মাবুদ। এরপর নফল নামাজের নিয়ত করলাম।

এরইমধ্যে মোবাইল ফোন বেজেই চলেছে। নামাজ-মোনাজাত-দোয়া-দরুদ সব শেষ করে অবিরাম বেজে যাওয়া ঐ ফোন ধীরলয়ে রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে হাসপাতালের নার্স অনীতা বিশ্বাস চিৎকার করে অনবরত বলতে লাগলো স্যার, আপনার নেগেটিভ, আপনার নেগেটিভ। আমিও ততোধিক আবেগে জানতে চাইলাম, আপনি নিজে রিপোর্ট দেখেছেন? বললো জ্বী না; তবে নিশ্চিত করে জেনেছি যে কালকে আমাদের হাসপাতাল থেকে যে দু’টো টেস্ট গেছে তার একটি পজিটিভ, আরেকটি নেগেটিভ। সকালে ল্যাব থেকে ভুল শুনে আপনার করোনা পজিটিভ প্রচার হয়ে গিয়েছিলো; অত্যন্ত দুঃখিত স্যার...; বিকালে কাউকে পাঠিয়ে ল্যাব-রিপোর্ট নিয়ে যেতে পারেন, নিশ্চিত প্রমাণের জন্য।

তার এরূপ কথা শুনে ফোন রেখেই বিছানো থাকা জায়নামাজে পুনরায় দাঁড়ালাম। করোনা পরীক্ষায় ফেলে আমার ইমান পরীক্ষার জন্য যেমনি স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছিলাম, ঠিক তেমনি অলৌকিকভাবে করোনা মুক্তির খবরেও প্রাণভরে স্রষ্টাকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলাম। কত দ্রুত, কত সেকেন্ডের মধ্যে তিনি আমার কথা শুনেছেন; আমাকে করোনা থেকে মুক্ত করে দিয়েছেন। হাসপাতালে থাকতে করোনা পজিটিভ, আর ফিরতে না ফিরতেই করোনা নেগেটিভ; এটি একমাত্র স্রষ্টার কারিশমা ছাড়া কীই বা আর!

এরূপভাবেই আমরা সর্বক্ষেত্রে সর্বতোভাবে স্রষ্টার কৃপার ওপর নির্ভরশীল। তাই আমাদেরকে সব সময়েই সত্য ও ন্যায়ের অনুসারী হয়ে ভালো ভালো কাজগুলো করে যেতে হবে এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। কাউকে কোনোরূপ কষ্ট দেয়া যাবে না; বরং ক্ষমা ও ত্যাগের আদর্শে প্রাণিত হয়ে মানুষ ও মানবতার সেবায় উৎসর্গীকৃত থেকে এবং নিজেকে নির্লোভ ও নিরহঙ্কারে অবিরাম সংস্কারে পূত-পবিত্র করে আল্লাহর ডাকের জন্য প্রস্তুত রাখতে হবে। তবেই স্রষ্টার আনুকূল্য ও নৈকট্য লাভ সম্ভব এবং তখন তাঁর খাস বান্দা হিসেবে তাঁকে ডাকলে কিংবা তাঁর করুণা-কৃপা চাইলে তাঁকে পেয়ে যাবার সৌভাগ্য অর্জন করা যাবে। 

অর্থাৎ আল্লাহর সাথে আমাদের সম্পর্ক এমন হতে হবে যে সবসময়েই তাঁকে আমরা স্মরণে রাখবো, তাঁর নাম জপে যাবো এবং তাঁর প্রতি অমীয় বন্ধুত্বের মতো একটা সম্মোহনী আকর্ষণ বোধ করবো। তাহলে নিজেকেই নিরাপদ ও সফল-কামিয়াব মনে করতে পারব; তাতে পাশে আর কেউ থাকুক বা না থাকুক। কিন্তু যদি আল্লাহর সাথে এই ভরসার বন্ধন না রাখতে পারি, তাহলে কোটি মানুষের মধ্যে থেকেও অসহায়; কোনোকিছুর কোনো ভরসা বা গ্যারান্টি নেই তখন আর।  আল্লাহ আমাদের সবাইকে ভালো কাজ করার এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকার তাওফিক দিন, আমীন। 


বিশ্ববিদ্যালয় কম্পাস পত্রিকার সংখ্যা সমূহ

আরো সংবাদ

শিশু ক্যাম্পাস

বিশেষ সংখ্যা

img img img