মাদক নিয়ন্ত্রণে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে ডোপ টেস্টের ব্যবস্থা করা হবে। একই সঙ্গে সরকারি চাকরিতে সব নিয়োগে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ডোপ টেস্ট করা হবে। এ ছাড়া সরকারি চাকরিতে যাঁরা কর্মরত আছেন, সন্দেহ হলে ডোপ টেস্ট করা হবে তাঁদেরও।
সম্প্রতি আইন-শৃঙ্খলাসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এসব কথা বলেন। তাঁর সভাপতিত্বে সচিবালয়ের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মন্ত্রী জানান, চট্টগ্রাম ও দিনাজপুরকে মাদকমুক্ত জেলা হিসেবে ঘোষণার জন্য পাইলট প্রকল্প চালু করা হবে। এ জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবকে প্রধান করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি জেলা দুটিকে মাদকমুক্ত করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, যত কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ হবে, সেটা বিসিএস হোক আর যাই হোক, প্রত্যেকের ডোপ টেস্ট করা হবে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির ক্ষেত্রেও ডোপ টেস্ট চালু করা হবে। যাঁরা চাকরিতে আছেন তাঁদেরও বিরুদ্ধে মাদক গ্রহণের অভিযোগ পাওয়া গেলে ডোপ টেস্ট করা হবে। এই কার্যক্রম ব্যাপকহারে প্রয়োগ হবে। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। এটা করা হবে যাতে প্রত্যেকের মধ্যে সেলফ কন্ট্রোল তৈরি হয়।
এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, চাকরিতে যাঁরা আছেন, এর মধ্যে যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যাবে কেবল তাঁদের ডোপ টেস্ট হবে। গড় হারে করা হবে না, সবার তো গড় হারে করা সম্ভব না।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, মাদকসেবী, মাদক বিক্রেতা এবং তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতাদের চিহ্নিত করে দমন করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই তিনটি বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণের জন্য ডোপ টেস্টের নীতিমালা করা হচ্ছে।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে জানিয়ে মোজাম্মেল হক বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় বৈঠকে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। আমাদের এখানে রোহিঙ্গারা আছে। আমরাও ’৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় রিফিউজি ছিলাম। রিফিউজিরা কখনো স্থায়ী নাগরিকত্ব পায় না। রোহিঙ্গাদের জন্য ভাসানচরে আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে তাদের কিছু নেওয়া হয়েছে। কক্সবাজারে যারা আছে, এখানে মাঝেমধ্যে ক্রাইমের কথা শোনা যায়। এখানে যাতে কোনো ধরনের ক্রাইম না হয় সে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ক্রাইম নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই ক্রাইম দমন করার জন্য আগামী মে মাসের মধ্যে অত্যাধুনিক যেসব ব্যবস্থার মাধ্যমে ক্রাইম দমন করা হয় সে ব্যবস্থা চালু করা হবে। ক্রাইম পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।