॥ পূর্ব প্রকাশিতের পর -৭ ॥
খাবার ছাড়াও ওজন বাড়ে
কৃত্রিম উপাদানঃ জর্জিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় বলা হয়, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণে ব্যবহৃত নানা কৃত্রিম উপাদান বিপাক ক্রিয়ায় ঝামেলা শুরু করে। এসব উপাদানে ব্যবহৃত নানা রাসায়নিক পদার্থ দেহে প্রদাহজনিত কারণ ছাড়াও স্থূল করে দিতে পারে দেহকে।
করণীয়- কৃত্রিম রং ও উপাদান মিশ্রিত খাবার থেকে দূরে থাকুন; খাবার পরিষ্কার করে খান।
কাজের সময় পরিবর্তনঃ কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় বলা হয়, হঠাৎ করে নিয়মিত কাজের সময়সূচি বদলে গেলে ওজন বাড়তে পারে। যারা রাতে কাজ করেন, তাদের কম ক্যালরি খরচ হয়। এক্ষেত্রে বিপাক ক্রিয়াতেও সমস্যা ঘটে।
করণীয়- যদি রাতে কাজ করেন বা বিভিন্ন টাইম জোনে গিয়ে কাজ করতে হয়, তবে উচ্চ পুষ্টিমানসম্পন্ন খাবার খান।
ওজন নিয়ে অন্যের কটাক্ষঃ ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের গবেষকরা জানান- যারা স্বাস্থ্য নিয়ে অন্যের কৌতুকের শিকার হন, তাদের ওজন আরো বাড়তে থাকে। যেসব নারী প্রিয়জনের কাছ থেকে তার ওজন নিয়ে কটু কথা শোনেন, তাদের দেহে আরো কিছু ওজন যোগ হয়। এসব মন্তব্যের কারণে স্ট্রেস বাড়ে, যা স্থূলতার জন্য দায়ী হতে পারে।
করণীয়- অন্যের কথায় সবসময় কান না দেয়া সম্ভব নয়। জার্নাল অব ওবেসিটিতে বলা হয়, অন্যের রসিকতা থেকে বাঁচতে হালকা মেডিটেশন করুন। সেই সঙ্গে স্ট্রেস না বাড়িয়ে ওজন কমাতে সহায়ক খাদ্যতালিকা বেছে নিন।
পরিবেশগত রাসায়নিক পদার্থঃ প্রতিনিয়ত পরিবেশ থেকে যেসব ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ দেহে প্রবেশ করছে, তা বিপাক ক্রিয়াসহ লিভারে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে বলে জানান ইউনিভার্সিটি অব নিউ হ্যাম্পশায়ারের গবেষকরা। এর প্রভাবে ইনসুলিন ক্ষরণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না দেহ। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং ওজনও বাড়তে পারে।
করণীয়- এসব রাসায়নিক উপাদান থেকে দূরে থাকা সম্ভব নয়। তবে কমিয়ে আনতে পারেন। প্রসাধনসামগ্রী বা অন্যান্য যেসব জিনিস ব্যবহার করছেন, তা প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি দেখে ক্রয় করুন। ব্যবহার্য জিনিস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন।
জেনেটিক কারণঃ এটা স্বাভাবিক যে বংশগত কারণে ওজন বেশি বা কম হতে পারে। অন্ত্রে খাবার হজমে সহায়ক ব্যাকটেরিয়া জন্মের বিষয়টিতে জিনের প্রভাব থাকে। এসব ব্যাকটেরিয়া দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিংস কলেজ লন্ডনের গবেষকরা দেখেছেন, অন্ত্রের বিশেষ এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার ওপর জেনেটিক প্রভাব প্রবল। এই ব্যাকটেরিয়া ওজন কমাতে ভূমিকা রাখে।
করণীয়- জিন বদলে ফেলতে পারবেন না আপনি। অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়া বেশি পরিমাণ জন্মানোর উপায় নিয়ে গবেষণা চলছে। সাবধান থাকতে হলে প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন এবং উদ্ভিজ্জ খাবার খান।
ওজন যদি না কমে
অনেকে সঠিক খাবার ও পর্যাপ্ত শারীরিক অনুশীলনের পরও দেহের ওজন কমাতে পারে না। এক্ষেত্রে তাদের দেহে হরমোনজনিত কোনো সমস্যা আছে কিনা, তা পরীক্ষা করতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে কর্টিসল নামের হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে এমন সমস্যা হতে পারে। অনেকেরই দেহের কর্টিসলের মাত্রা বেশি হয়ে যেতে পারে। আর এ কারণে দেহের ওজন সঠিকভাবে বজায় থাকে না।
কর্টিসল হরমোনের উচ্চমাত্রার লক্ষণঃ
- মুড দ্রুত পরিবর্তিত হওয়া; চ রাগ, উদ্বেগ, বিষণ্নতা দ্রুত আসা-যাওয়া,
- স্থায়ী ক্লান্তি ভাব,
- মাথাব্যথা,
- হৃৎস্পন্দন বৃদ্ধি বা হাইপারটেনশন,
- নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই খুব কম বা অতিরিক্ত ক্ষুধা,
- হজমে সমস্যা,
- ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ,
- কোষ্ঠবদ্ধতা ও ডায়রিয়া,
- ঘুমের সমস্যা,
- ভুলে যাওয়া,
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পাওয়া,
- মুখের বলিরেখা বৃদ্ধি,
- মুখ ফুলে যাওয়া,
- ঘাড়ে চর্বি জমা।
যেভাবে কমাবেন কর্টিসলঃ
১। যা খাবেন নাঃ আপনার খাবার তালিকা থেকে ক্যাফেইন, এলকোহল, উচ্চমাত্রায় চিনি, কৃত্রিম চিনি ও অতিরিক্ত পটাশিয়াম বাদ দিন।
২। যেসব খাবার খাবেনঃ মাছ ও ভালো মানের প্রোটিন খান। এ তালিকায় আরো থাকতে পারে মুরগি, ডিম, বাদামি চালের ভাত, মিষ্টি কুমড়া, কলমিদল, শালুক, সয়া, তেলবীজ, খেজুর, সিম, দানাদার খাবার, দুধ ইত্যাদি।
৩। নির্দিষ্ট সময়ে খানঃ প্রতিদিন পাঁচবার করে নির্দিষ্ট সময়ে খাবার খান। এক্ষেত্রে কোনো বেলার খাবার বাদ দেয়া ঠিক হবে না।
৪। শারীরিক অনুশীলনঃ প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে তিনবার শারীরিক অনুশীলন করুন। সময়টি হতে হবে ৫০ মিনিটের কম। অতিরিক্ত অনুশীলনও করা যাবে না।
৫। ভালো ঘুমঃ এ সমস্যায় প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা ঘুমাতে হবে।
৬। বিশ্রাম করুনঃ বাড়তি পরিশ্রম করা যাবে না। দেহ যেন আরামে থাকে সে ব্যবস্থা নিন।
৭। উদ্যম বাড়ানোর পানীয় নয়ঃ বাড়তি উদ্যমের জন্য কোনো ধরনের পানীয় পান করবেন না। এমনকি এনার্জি ড্রিংকস বা চা-কফিও পান করবেন না।
কেন ক্যালসিয়াম খাবেন
ক্যালসিয়ামের অভাবে এটা হয়, সেটা হয় -এমন কথাতো শুনে থাকেন। কিন্তু ক’জন সমস্যাটাকে সেভাবে গুরুত্ব দেয়? সমস্যার গুরুত্ব হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া যায় তখন, যখন ক্যালসিয়ামের অভাবে হাড়ক্ষয় শুরু হয়ে যায়। তবে একবার হাড়ক্ষয় হতে শুরু করলে তার ক্ষতি থেকে বাঁচা বেশ কঠিন। ক্যালসিয়ামের ঘাটতি এড়ানো প্রসঙ্গে সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক রুমানা বিনতে রহমান জানান- কৈশোরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার গ্রহণ করলে পরবর্তীতে ক্যালসিয়ামের ঘাটতিজনিত সমস্যাগুলো কম হবে। আর বিভিন্ন সময়ে প্রয়োজনমতো ক্যালসিয়ামের ওষুধ গ্রহণ করলে সুস্থ থাকা যায়।
বয়স যাদের একটু বেশিঃ ক্যালসিয়ামের ঘাটতিজনিত সমস্যাগুলোয় সাধারণত মেয়েরাই বেশি ভোগে। বয়স একটু বেড়ে গেলে যখন মাসিক বন্ধ হয়ে যায়, সেই সময়টায় শারীরবৃত্তীয় কিছু পরিবর্তন হয় তাদের। ক্যালসিয়ামের অভাবে হাড়ক্ষয় হতে থাকে, হাড়ে হতে থাকে ফুটো (অস্টিওপোরোসিস)। অনেকগুলো ছোট-বড় ফুটোর কারণে ধীরে ধীরে হাড় হতে থাকে দুর্বল। দুর্বল হাড় একটু আঘাতেই ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর বয়স বাড়লে ভাঙা হাড় জোড়া লাগাটাও খুব মুশকিল হয়ে পড়ে।
এসব সমস্যা এড়াতে ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবারের পাশাপাশি প্রয়োজন ক্যালসিয়ামের ওষুধ। তাই চিকিৎসকের পরামর্শমতো ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খেতে হবে এই বয়সে।
গর্ভাবস্থায় ও শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময়ঃ গর্ভাবস্থায় ও শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় পুষ্টি উপাদানগুলোর চাহিদা বেশি থাকে, এসময় ক্যালসিয়ামের চাহিদাও বাড়ে। ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবারতো খাবেনই, খেতে হবে ক্যালসিয়ামের ওষুধও। এসময় মা পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম না পেলে সন্তানের হাড় ও দাঁতের গঠন সঠিকভাবে হয় না।
একটু সতর্কতাঃ ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট যিনি খাচ্ছে, তাকে হয়ত কোনো কারণে আয়রন ট্যাবলেটও খেতে হচ্ছে। খেয়াল রাখতে হবে, যেন এ দু’টি ওষুধ একই সঙ্গে খাওয়া না হয়। কেউ হয়ত দুপুরে আয়রন ট্যাবলেট খাচ্ছে, তাকে সকালে ও রাতে ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খেতে হবে। এ দু’টি ওষুধ একই সঙ্গে খেলে আয়রন ট্যাবলেট থেকে খানিকটা কম উপকার পাওয়া যাবে।
তবে খেয়াল রাখতে হবে, ক্যালসিয়ামের সঙ্গে যেন অবশ্যই ভিটামিন ডি’র ওষুধও খাওয়া হয়, তা না হলে ক্যালসিয়ামের থেকে উপকার পাওয়া যাবে সামান্যই। আজকাল অবশ্য ক্যালসিয়াম আর ভিটামিন ডি একই সঙ্গে একই ট্যাবলেটের মধ্যে পাওয়া যায়।
অনেকে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খান। চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ সেবন করুন। তবে যাদের আগে কখনো কিডনিতে পাথর হয়েছিল, তারা চিকিৎসককে এই তথ্যটি দিতে ভুলবেন না। কারণ এ তথ্যের ভিত্তিতে চিকিৎসক আপনার জন্য ওষুধের মাত্রা ঠিক করে দেবেন। আপনার সমস্যাটির জন্য বাড়তি যেসব সতর্কতা প্রয়োজন, তা-ও তিনি আপনাকে বলে দেবেন।
কৈশোরেই হোক শুরুঃ বয়স একটু বেড়ে গেলেই ক্যালসিয়ামের ঘাটতির কারণে সমস্যায় পড়তে হয়, এজন্য কৈশোর থেকেই প্রয়োজন সচেতনতা। দুধ ও দুধজাতীয় খাবারের পাশাপাশি খেতে হবে কাঁটাসহ ছোট মাছ। বাড়ন্ত এই বয়সটায় এমন খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুললে শরীরের হাড়ের মূল অংশটা ঠিকমতো তৈরি হবে। এভাবে ভবিষ্যতে হাড়ক্ষয় বা হাড়ে ফুটো হয়ে হাড় দুর্বল হয়ে যাওয়ার সমস্যা এড়ানো সম্ভব।
ঝাল কিন্তু ভালোও
আয়ু বাড়াতে ভূমিকা রাখেঃ গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত ঝাল খাবার খায়, তাদের অকালমৃত্যুর আশঙ্কা প্রায় ১৪ শতাংশ কমে যায়। তাই এ কথা বলা যায়, সুস্থভাবে দীর্ঘদিন বাঁচতে চাইলে সপ্তাহে ৩-৪ দিন ঝাল মসলা দিয়ে খাবার খেলে সমস্যা নেই।
অবসাদ কমায়ঃ হঠাৎ মন খারাপ হয়ে গেলে ঝাল খাবার খাওয়া যেতে পারে। গবেষণা বলছে, এক্ষেত্রে উপকার পাওয়ার নজির আছে। কারণ এ ধরনের খাবার মস্তিষ্কে সেরোটোনিন নামক ফিল গুড হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়।
ওজন কমেঃ নিয়মিত ঝাল খাবার ওজন নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখে। মরিচের ক্যাপসিসিন নামক উপাদান শরীরে প্রবেশের পর মেটাবলিজেম রেট এতটা বাড়িয়ে দেয় যে, চর্বি জমার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে চর্বি বার্ন করার প্রক্রিয়াকেও ত্বরান্বিত করে।
কমে ক্যান্সারের ঝুঁকিঃ যুক্তরাষ্ট্রে এক গবেষণায় দেখা গেছে, কাঁচা মরিচের ক্যাপসিসিন ক্যান্সার সেল মেরে ফেলতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। ঝাল খাবার তৈরির সময় ব্যবহৃত হলুদ ও সরিষার তেলও এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
রাগ কমায়ঃ একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, ঝাল খাবার খাওয়ামাত্র সেরোটোনিনের মতো হরমোনের ক্ষরণ বাড়তে শুরু করে। ফলে রাগের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখেঃ ঝাল খাবার খাওয়া মাত্র শরীর গরম হয়ে ওঠে। এতে রক্তের প্রবাহ বাড়ে, ফলে রক্তচাপ স্বাভাবিক মাত্রায় নেমে আসতে সময় লাগে না। মরিচের ভিটামিন এ, সি এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
হার্টের জন্য ভালোঃ একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব দেশের মানুষ বেশি ঝাল খায়, তাদের হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। কারণ মরিচে এমন কয়েকটি উপাদান আছে, যেগুলো শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়।
যে খাবার দ্বিতীয়বার গরম করতে নেই
আমরা ফ্রিজের খাবার হরহামেশাই গরম করে খাই। বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন অনেক খাবার রয়েছে যা রান্নার পর দ্বিতীয়বার গরম করতে নেই। এতে উল্টো ক্ষতি হয়ে যায়।
মুরগির মাংসঃ এটি উচ্চমাত্রার প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার। দিনে দুই-তিনবার গরম করলেই এটা হজমে সমস্যা করে। ফ্রিজে রাখলে সালাদ বা স্যান্ডউইচের সঙ্গে খেয়ে নেয়া উচিত। বারবার গরম করা উচিত নয়।
পালং শাকঃ আয়রন ও নাইট্রেটে পূর্ণ এই স্বাস্থ্যকর খাবার দ্বিতীয়বার গরম করলেই ঝামেলা। এতে পালংয়ের নাইট্রেট ক্ষতিকর নাইট্রাইটে পরিণত হয়। ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হতে পারে নাইট্রাইট।
ডিমঃ পুষ্টিতে ভরপুর এই খাবার বারবার গরম হতে পছন্দ করে না। উচ্চ তাপমাত্রায় একে গরম করা হলে খাদ্য উপাদান বিষাক্ত হয়ে ওঠে এবং হজম হতে চায় না।
মাশরুমঃ এতে নানা ধরনের প্রোটিনের জটিল মিশ্রণ থাকে। একবার রান্না করে একবারেই খেয়ে ফেলা উচিত। বারবার গরম করলে এর প্রোটিনের গঠন নষ্ট হয়ে যায়।
ভাতঃ আমাদের প্রধান খাবার সবসময়ই গরম করে খাওয়া হয়। অথচ ভাত বারবার গরম করতে নেই। ভাতে থাকা ব্যাকটেরিয়া গরমের কারণে আরো বেশি ক্ষতিকর হয়ে ওঠে।
শালগমঃ স্যুপ বা তরকারিতে জনপ্রিয় একটি আইটেম। শালগমের নাইট্রেট দ্বিতীয়বার গরম করলেই বিষাক্ত নাইট্রাইট উৎপন্ন করে।
তেলঃ আমরা সাধারণত সয়াবিন, অলিভ বা সরিষার তেল ব্যবহার করি। এসব তেলের নির্দিষ্ট স্মোক পয়েন্ট রয়েছে। এর বেশি তাপমাত্রায় গরম করলেই ক্ষতিকর হয়ে ওঠে।
আলুঃ নানা ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে আলুতে। কিন্তু স্বাভাবিক তাপমাত্রায় একে দীর্ঘসময় রেখে দিলে তা বিষাক্ত হয়ে উঠতে পারে। একই ঘটনা ঘটে যখন বারবার গরম করা হয়। -চলবে