বইটির নাম রিজিওনাল এনেস্তেুশিয়া এন্ড পেইন ম্যানেজমেন্ট (কারেন্ট পারস্পেকটিভ)। মেডিকেল শিক্ষার্থীদের ওই বইটি লিখেছেন জ্যাঁ লুই ভিন্সেন্ট।
আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি টাকায় বইটির দাম ৭ হাজার ৪৪৫ টাকা। অথচ ওই বইটিই নোয়াখালীর আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ কিনেছে ২১ লাখ ৬৭ হাজার ৫০০ টাকায়! তবে বইটি নাকি সর্বনিম্ন দামে কেনা হয়েছে।
টেন্ডারের মাধ্যমে বইটি সরবরাহ করেছে ‘অরবিটাল ইন্টারন্যাশনাল’। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের মেডিকেল শিক্ষায় প্রয়োজন না থাকলেও প্রতিষ্ঠানটি শুধু অর্থ লোপাটের লক্ষ্যে অবিশ্বাস্য দাম দিয়ে কিনেছে এমনই কিছু বই। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
জানা গেছে, ৯৯৫ টাকা দামের বই কেনা হয়েছে ৪ লাখ ১৭ হাজার টাকায়। ১ লাখ ৭৯ হাজার টাকার বই কেনা হয়েছে ৬ লাখ ৮৮ হাজার ৫০০ টাকায়। ৬ হাজার ৬২৬ টাকার বই কেনা হয়েছে ৯ লাখ টাকায়। প্রকিউরমেন্ট নীতিমালাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এভাবে কেনা হয় ৬ কোটি টাকার বই!
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে বই ও যন্ত্রপাতি কেনার নামে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে শক্তিশালী কয়েকটি চক্র। বই বিক্রি চক্রের নেতৃত্বে রয়েছেন ‘অরবিটাল ইন্টারন্যাশনাল’র মালিক মাহবুবুল ইসলাম। সৌরভ বুক সেন্টার, অরবিটাল ইন্টারন্যাশনালসহ একেক সময় একেক টেন্ডারে অংশ নেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রকৃত মালিক মাহবুবুল ইসলাম। একটি নাম কালো তালিকাভুক্ত হলে টেন্ডারে অংশ নেন নতুন নামে। এভাবে জালিয়াতির মাধ্যমে সর্বশেষ নোয়াখালীর আবদুল মালেক মেডিকেল কলেজকে অপ্রয়োজনীয় কিছু বই গছিয়ে দেন। এর মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন নেন ৬ কোটি টাকা।