শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) অধ্যাপক ও জনপ্রিয় লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকে নিয়ে কটূক্তিকারী শাবি’র সিনেট সদস্য ও সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ সামাদ চৌধুরীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে শিক্ষার্থীরা।
১২ মে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় লাইব্রেবির সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে এ ঘোষণা দেন তারা। এছাড়া শাবি’র সিনেট থেকে সেই সংসদ সদস্যর অপসারণের দাবিও জানান তারা।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ছাত্রনেতা সুদীপ্ত বিশ্বাস, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাবেক আহবায়ক সারোয়ার তুষার, শাবির সাহিত্য সংসদের সভাপতি রেজাউল করিমসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা জাফর ইকবালের যথাযথ নিরাপত্তা দাবি করেন, পাশাপাশি ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার করার দাবি জানান। এ ধরনের কুৎসিত মানসিকতার লোককে শাবি সিনেটে দরকার নেই বলে মন্তব্য করেন।
এদিকে জাফর ইকবালকে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে এক গণস্বাক্ষর কর্মসূচির আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এতে তাৎক্ষণিক শতাধিক শিক্ষার্থী স্বাক্ষর করেন। পরবর্তীতে তিনদফা দাবিতে শাবি প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা।
তিনদফা দাবি হচ্ছে-উক্ত সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা, এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন আর না ঘটে তার ব্যবস্থা এবং ড. জাফর ইকবালের নিরাপত্তা বিধান। মিছিলের আগে সেখানে মানববন্ধন করেন তারা।
শিক্ষক সমিতির মানববন্ধন
সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর বক্তব্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। ১৪ মে বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরি ভবন চত্বরে এ মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন শেষে বক্তব্যে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. কবির হোসেন বলেন, সংসদ সদস্যের বক্তব্য এ বিশ্ববিদ্যালয় তথা সারাদেশের শিক্ষকদের মনে আঘাত হেনেছে।
এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বক্তারা বলেন, শিক্ষকদের এভাবে অপমান করার অধিকার কারও নেই। আমরা তার এ বক্তব্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানাই।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. কবির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল গণি, সেন্টার অব এক্সিলেন্সের পরিচালক অধ্যাপক মোঃ ইউনুছ, ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম দীপু, অধ্যাপক ড. সাজেদুল করিম, ড. আব্দুল আউয়াল বিশ্বাস, অধ্যাপক নাজিয়া চৌধুরী, ড. আশরাফুল আলম, ড. মোঃ ইকবাল, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর মোঃ এমদাদুল হক প্রমুখ।